কলকাতা, 9 নভেম্বর: দীপাবলি এবং ছটপুজোয় নিষিদ্ধ শব্দবাজি নিয়ে রীতিমত ধন্দে খোদ লালবাজার । দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ থেকে বলা হচ্ছে, সবুজবাজি পরিবেশবান্ধব । অর্থাৎ, এই বাজি ফাটানো যাবে ৷ কিন্তু সবুজবাজির আড়ালে চকলেট বোমা বা শব্দবাজি ফাটানো হলে সেক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, সেই নিয়ে পুলিশই ধন্দে রয়েছে ।
লালবাজার সূত্রের জানা গিয়েছে, এই বছর দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ 125 ডেসিবেল পর্যন্ত শব্দবাজি ফাটানোর অনুমতি দিয়েছে । কিন্তু বলা হচ্ছে সেই 125 ডেসিবেলের বাজি অবশ্যই সবুজবাজি হতে হবে । আর তাতেই ধন্দে লালবাজার । এই বিষয়ে নিজের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলকাতা পুলিশের একজন অফিসার ইনচার্জ পদমর্যাদার পুলিশ আধিকারিক বলেন, "কোন বাজি 125 ডেসিবেল শব্দ অতিক্রান্ত করছে এবং বাজি ফেটে যাওয়ার পর সেটি সবুজ বাজি ছিল নাকি অন্য কোনও নিষিদ্ধ বাজি ছিল সেটিও বোঝা প্রায় দুষ্কর । এই বিষয়ে লালবাজারে কালীপুজো এবং ছটপুজোর দিন কলকাতা পুলিশের কন্ট্রোলরুমে একাধিক অভিযোগ আসে যে, বিভিন্ন এলাকায় দেদার শব্দবাজি ফাটছে । সেক্ষেত্রে পুলিশ পদক্ষেপ নেয় । কিন্তু এই ফেটে যাওয়া শব্দবাজিগুলি আদৌ সবুজবাজি ছিল কি না, সেই বিষয়ে আমাদের হাতে কোনও তথ্য প্রমাণ থাকছে না ।"
এক্ষেত্রে কলকাতা পুলিশের এবারের স্ট্যাট্রেজি হল, শহরের প্রত্যেকটি বাজি গোডাউনে তল্লাশি অভিযান চালানো । এর মধ্যে লাইসেন্সপ্রাপ্ত গোডাউনগুলির ক্ষেত্রে কোনও আইনি পদক্ষেপ না নিলেও লাইসেন্সবিহীন গোডাউনগুলির মালিক এবং গোডাউনের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে । যদিও লালবাজারের তরফে জানানো হয়েছে তল্লাশি অভিযান শুরু হলেও শহর থেকে এখনও নিষিদ্ধ শব্দবাজি উদ্ধারের খবর সামনে আসেনি । তবে প্রায় প্রতিদিনই বড়বাজার, পোস্তা শিয়ালদা, ধর্মতলা, জোড়াবাগান, এন্টালি ও রাজাবাজার-সহ একাধিক জায়গায় বিভিন্ন বাজি গোডাউনে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে স্থানীয় থানা ।
আরও পড়ুন: