কলকাতা, 14 অক্টোবর: বিশ্বকাপে একদিকে ভারত এবং পাকিস্তানের ম্যাচ চলছে ৷ আর সেই ম্যাচকে ঘিরে প্রতিবারের মতো এবারেও জুয়া ও শাট্টার আসরের রমরমা ৷ এই জুয়া বন্ধ করতে শহরের বিভিন্ন হোটেল এবং গেস্ট হাউসগুলিতে নজরদারি চালাচ্ছে কলকাতা পুলিশ ৷ ধর্মতলার নিউমার্কেট, দক্ষিণ কলকাতার একাধিক হোটেল, পঞ্চসায়র এবং যাদবপুরের একাধিক হোটেলে নজরদারি চালাচ্ছে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ ৷ লালবাজার সূত্রে খবর, অতীত অভিজ্ঞতা থেকে গত কয়েকদিন ধরে হোটেলগুলিতে নজরদারি চালাচ্ছে পুলিশ ৷
গত আইপিএল এবং তার আগে টি-20 বিশ্বকাপে ভারত বনাম পাকিস্তান ম্যাচে কলকাতার একাধিক হোটেল থেকে জুয়ার চক্র চালানোর অভিযোগে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছিল লালবাজারের গুন্ডা দমন শাখা এবং স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন ৷ সেখানে অধিকাংশই অনলাইন বেটিং চক্র চালাচ্ছিল ৷ এবার সেই সকল হোটেলগুলিতে আগাম নজরদারি শুরু করেছিল লালবাজার ৷ হোটেলে কর্তৃপক্ষগুলির সঙ্গে আলোচনা করে লালবাজারের গোয়েন্দারা লাগাতার নজরদারি চালাচ্ছিল ৷
মূলত, গত কয়েক সপ্তাহে কারা হোটেলগুলিতে আসছেন ? হোটেলে আসা গ্রাহকদের আচরণে কোনও সন্দেহজনক কিছু নজরে এসেছে কিনা ? এমন একাধিক বিষয়ে হোটেলের কর্মীদের নজরদারি রাখতে বলা হয়েছে লালবাজারের তরফে ৷ বিশেষত, অনলাইন জুয়া ঠেকাতে বাড়তি নজরদারি চলছে লালবাজারের ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, নিউমার্কেট, দক্ষিণ কলকাতার একাধিক হোটেল এবং পঞ্চসায়রের একাধিক হোটেল থেকে মূলত এই জুয়া ও শাট্টার খেলা নিয়ন্ত্রণ করা হয় বলে অভিযোগ ৷ গত দুই থেকে তিনদিন ধরে ওই হোটেলগুলিতে কারা আসছে ? তারা কোথা থেকে আসছে ? কতদিনের জন্য তারা থাকছে ? এই সকল তথ্য ইতিমধ্যেই সংগ্রহ করেছে কলকাতা পুলিশ ৷
আরও পড়ুন: বুমরা-সিরাজদের সামনে 'থরহরি কম্প', বিশ্বকাপে ভারতের বিরুদ্ধে তৃতীয় সর্বনিম্ন স্কোর পাকিস্তানের
এই নজরদারিতে লালবাজারের সাইবার ক্রাইম বিভাগের গোয়েন্দাদেরও নিয়োগ করা হয়েছে ৷ তাঁরা মূলত, অনলাইন বেটিংয়ে নজরদারি চালাচ্ছে ৷ কলকাতা পুলিশের তরফে নিউ মার্কেট-সহ দক্ষিণ কলকাতার হোটেলগুলির সিসিটিভি ক্যামেরা খতিয়ে দেখা হচ্ছে ৷ এই বিষয় কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেন, ‘‘ভারত পাকিস্তান খেলা অন্য শহরে হলেও কলকাতার হোটেলে বসে বিভিন্নভাবে অনলাইনের মাধ্যমে চলতে পারে বেটিং চক্র বা জুয়ার আসর ৷ ফলে আগে থেকেই আমরা বিভিন্ন হোটেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে রেখেছি ৷ নজরদারিতে শুধু পুলিশ কর্মীরা নন, যদি কারও আচরণ অস্বাভাবিক লাগে, সে ক্ষেত্রে স্থানীয় থানা এবং লালবাজারে সরাসরি জানানোর কথা বলা হয়েছে ৷’’