কলকাতা, 16 অগস্ট: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রমৃত্যুর তদন্তে এবার ডাক পড়ল রেজিস্ট্রার এবং ডিন অফ স্টুডেন্টসের ৷ বুধবার বেলা 3টেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু এবং ডিন অফ স্টুডেন্টস রজত রায়কে তলব করেছে লালবাজার ৷ আজ তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করবেন কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান শঙ্খ শুভ্র চক্রবর্তী ৷ এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান এবং প্রাক্তন পড়ুয়া মিলে মোট 9 জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷
9 অগস্ট যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন হস্টেলের নীচ থেকে প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার হয় ৷ তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে 10 অগস্ট ওই পড়ুয়ার মৃত্যু হয় ৷ এই ঘটনায় ব়্যাগিংয়ের অভিযোগ সামনে এসেছে ৷ জানা গিয়েছে, প্রথম বর্ষের ওই পড়ুয়া ব়্যাগিং নিয়ে ডিন অফ স্টুডেন্টসের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন ৷ তারপরও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি ৷
আরও পড়ুন: 'উপাচার্য না থাকলে সমস্যা হয়', যাদবপুরের রেজিস্ট্রারের মন্তব্যে রাজ্যপালের ভূমিকায় প্রশ্ন
বিশ্ববিদ্যালয়ে নবাগত পড়ুয়াদের ব়্যাগিংয়ের খুঁটিনাটি তথ্য হোস্টেলের রাঁধুনি জানতেন ৷ তা কেন জানতে পারল না বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন ৷ ঘটনার চারদিন পর হঠাৎ বিশ্ববিদ্যালয়ে উপস্থিত হন রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু ৷ একজন পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনায় রেজিস্ট্রার কেন চার দিন পর বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলেন ? প্রশ্ন উঠেছে সেখানেও ৷ সবমিলিয়ে এই মৃত্যুর ঘটনায় বারংবার খুনের অভিযোগ সামনে আসছে ৷
স্নেহমঞ্জু বসু ঘটনাটি কবে জেনেছিলেন ? ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন কোন আধিকারিকের সঙ্গে রেজিস্ট্রারের কথা হয়েছিল ? এই সব বিষয়ে জানতেই আজ বেলা 3টের সময় লালবাজারে ডাকা হয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে ৷ জিজ্ঞাসাবাদের সময় কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড বিভাগের তদন্তকারী আধিকারিকরাও সেখানে উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গিয়েছে ৷
ডাকা হয়েছে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় ডিন অফ স্টুডেন্টস রজত রায়কেও ৷ সূত্রের খবর, তাঁর কাছ থেকে তদন্তকারীরা জানতে চাইবেন, ঘটনার রাতে হস্টেলের আবাসিকদের তরফে রজত রায়ের সঙ্গে ফোনে কারা যোগাযোগ করেছিল ৷ এছাড়া রজত রায়ের কাছ থেকে তদন্তকারীরা জানতে চাইবেন, ওই পড়ুয়াকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছেই একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ সেই সময় তাঁর পদক্ষেপ কী ছিল ?
আরও পড়ুন: যাদবপুর কাণ্ডে গ্রেফতার আরও 6 পড়ুয়া, তালিকায় প্রাক্তনীরাও
জানা গিয়েছে, হস্টেলের পড়ুয়ারা তাঁর সঙ্গে তিনবার যোগাযোগ করতে চেয়েছিলেন ৷ তখন মাত্র দু'বার তাঁর সঙ্গে পড়ুয়াদের কথা হয়েছিল ৷ কিন্তু তৃতীয়বার তিনি ফোন ধরেননি ৷ কেন তিনি ফোন ধরলেন না ? কেউ তাকে ফোন ধরতে বারণ করেছিলেন নাকি তিনি নিজের ইচ্ছেয় ফোন ধরেননি ?
এইসব প্রশ্নের উত্তর জানতে লালবাজারে তলব করা হয়েছে ডিন অফ স্টুডেন্টসকে ৷