কলকাতা, 4 অগস্ট: বেহালার দুর্ঘটনায় ঘাতক লরিটিকে বাজেয়াপ্ত করল পুলিশ ৷ শুক্রবার ভোর সাড়ে 6টা নাগাদ খুদে পড়ুয়াকে চাপা দিয়ে চলে যায় ঘাতক লরি ৷ যার জেরে রণক্ষেত্র চেহারা নেয় বেহালা । ঘটনার দেড় ঘণ্টার মধ্যে জিপিএস ট্র্যাকিং করে ঘাতক লরিটিকে শনাক্ত করে হাওড়ার সাঁতরাগাছি ব্রিজ থেকে আটক করে কলকাতা পুলিশ ৷ পরে সেটিকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৷ এই ঘটনায় বেহালা থানায় একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
তবে এই দুর্ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে, শিশুকে চাপা দেওয়ার পর কীভাবে ওই লরিটি দ্বিতীয় হুগলি সেতু হয়ে হাওড়ার সাঁতরাগাছিতে গেল ? আজ সকালে বেহালা চৌরাস্তায় প্রাথমিক বিভাগের এক শিশু এবং তার বাবাকে চাপা দেয় একটি লরি ৷ সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় বেহালার জেমস লং সরণি ৷
এলাকার বাসিন্দারা পরপর একাধিক সরকারি ও বেসরকারি বাসে অগ্নিসংযোগ করতে থাকে ৷ পুলিশ ও আমজনতার মধ্যে খণ্ডযুদ্ধ বাধে ৷ তখন উন্মত্ত জনতা কলকাতা পুলিশের গাড়িতেও আগুন ধরিয়ে দেয় ৷ এলাকাবাসীর অভিযোগ, ঘাতক লরিটিকে কীভাবে ঘটনাস্থল থেকে ছেড়ে দিল কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা ?
ভোরেই ঘাতক লরির খোঁজ চালাতে শুরু করে লালবাজারের ট্রাফিক কন্ট্রোল বিভাগের কর্মীরা ৷ এলাকার প্রতিটি সিসিটিভি ক্যামেরা ভালোভাবে পরীক্ষা করে জিপিএস ট্রাকিংয়ের মাধ্যমে পুলিশকর্মীরা লরিটিকে দেখতে পায় ৷ সেই সময় লরিটি শিশুটিকে চাপা দিয়ে দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে উঠে হাওড়ার দিকে যাচ্ছে ৷
এরপর হাওড়া সিটি পুলিশের কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে যোগাযোগ করে কলকাতা পুলিশ ৷ লরিটিকে সাঁতরাগাছি ব্রিজের কাছে দাঁড় করায় হাওড়া পুলিশের আধিকারিকরা ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, ওই লরির চালক এবং এক সহকারীকে আটক করা হয়েছে ৷ এর সঙ্গে লরিটিকেও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৷
আরও পড়ুন: পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু বাবা ও ছেলের, মৃতদেহ আটকে বিক্ষোভ বেহালায়
বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুলিশ নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে ৷ যখন ঘটনাটি ঘটছে, তখন রাস্তার এক পাশে নীরব দর্শকের মতো দাঁড়িয়েছিল কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা ৷ পরে লালবাজারের উচ্চাধিকারিকরা এসে পরিস্থিতি সামাল দেন ৷