কলকাতা, 8 অগস্ট: বর্ষা নিজে ছন্দে ফিরতেই ফের মাথাচাড়া দিয়েছে ডেঙ্গি উদ্বেগ। ইতিমধ্যেই মশাবাহিত রোগে শহরে মৃত্যু হয়েছে শিশুর। সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে কলকাতার সমস্ত সরকারি, বেসরকারি এমনকী কর্পোরেশন স্কুলগুলিতে ডেঙ্গি অ্যাডভাইজারি নোটিশ পাঠাল কলকাতা পৌরনিগম। স্বাস্থ্য বিভাগের জারি করা ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, পরিষ্কার রাখতে হবে স্কুলের ছাদ কিংবা আশপাশের এলাকা। প্রতিটি ছাত্রছাত্রীকে ফুলহাতা স্কুল ইউনিফর্ম পরে স্কুলে আসতে হবে। শরীরে অনাবৃত জায়গা যত কম থাকবে, তত মশার কামড় থেকে রক্ষা মিলবে।
সরকারি স্কুলে প্রবেশ অবাধ হলেও, একাধিক বেসরকারি স্কুল অভ্যন্তরে কর্পোরেশনের ভেক্টর কর্মীদের ঢুকতে দেয় না। নয়া নির্দেশিকায় স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, বেসরকারি স্কুলে ভেক্টর কর্মীদের মশা নিয়ন্ত্রণের কাজ করতে বাধ্যতামূলকভাবে সহযোগিতা করতে হবে। পরপর দু'বার ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হলে বিপদ বাড়ে। অনেক সময় উপসর্গ তেমন প্রকাশ না-পাওয়ায় ডেঙ্গি হয়েছে কি না, বুঝতে পারা যায় না। শুধুমাত্র আইজিজি টেস্ট করলেই ধরা পড়ে। মূল্যবান সেই আইজিজি কিট কলকাতা কর্পোরেশনকে দিচ্ছে স্বাস্থ্য দফতর। প্রতিটি বরোর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে থাকবে এই আইজিজি কিট।
আরও পড়ুন: বাচ্চা ও পরিবারকে ডেঙ্গির হাত থেকে বাঁচাতে যা করণীয়
মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) অতীন ঘোষ বলেন, "যাঁরা জ্বর নিয়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আসবেন তাঁদের আইজিজি টেস্ট করা হবে। ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত নিয়ে চিন্তিত রাজ্যের স্বাস্থ্য কর্তারাও। কলকাতায় ক্রমেই বাড়ছে ডেঙ্গি। 290 জন ইতিমধ্যেই আক্রান্ত হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার কর্পোরেশনে শহরের ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে হয়।" বৈঠকে হাজির ছিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম, স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডাঃ সিদ্ধার্থ নিয়োগী, জনস্বাস্থ্য বিভাগের যুগ্ম সচিব রূপম বন্দ্যোপাধ্যায়, স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষ-সহ আধিকারিকরা। ছিলেন পৌর কমিশনার বিনোদ কুমারও।
বৈঠক সূত্রে খবর, স্বাস্থ্য দফতরের সচিবের হতে 30টি ছবি-সহ একটি ফটো অ্যালবাম তুলে দেওয়া হয়েছে। এতে রয়েছে শহরের সরকারি ও বেসরকারি আবাসন বা হাসপাতালের অবস্থার উদ্বেগজনক ছবিগুচ্ছ। দ্রুত যাতে সেখানে ব্যবস্থা নেওয়া যায় সেই দাবি জানিয়েছেন কলকাতা কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য কর্তারা। স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম জানিয়েছেন, দ্রুত সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিকদের নামে নোটিশ ইস্যু করতে হবে। মশা জন্মানোর পরিবেশের দায় দফতরের আধিকারিকদেরই নিতে হবে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গি বৃদ্ধিতে দায়ী নগরায়ন, দাবি ফিরহাদের; কটাক্ষ বিরোধীদের