কলকাতা, 18 ডিসেম্বর: শহরে এখন চাহিদা বেড়েছে ফ্ল্যাটের । আর ফ্ল্যাট নিজের মতো করে সাজাতে চান অধিকাংশই । বর্তমান সময় বুকিং করা থেকেই অনেকে নিজে বলে দেন তাদের ডাইনিং একটু বড় থাকবে বা এক ফালি জায়গা বের করতে হবে ঠাকুর ঘর করবেন । তেমনই ইচ্ছা মতো নিজের বাথরুম এদিক ওদিক সরিয়ে নেয় । প্রোমোটাররাও হাতে টাকা পেতে খুব আর কিছু আপত্তি করেন না । আর পরে তৈরি হয় নিচতলার লোকজনের সমস্যা ।
বিশেষ করে উপর তলায় থাকা বাথরুম থেকে জল নিচতলার ফ্ল্যাট ভেসে যাওয়ার অভিযোগে জেরবার পৌর কর্তৃপক্ষ। বেশ কিছু পুরনো বাড়ির ক্ষেত্রে এই অভিযোগ ওঠে ৷ তবে সেখানে নিচতলার অংশে থাকা বাথরুমই ভুক্তভোগী বাসিন্দার কাছে জ্বলন্ত সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় । কিন্তু এখন শহরের ফ্ল্যাটগুলো থেকে বাথরুম সমস্যা নিয়ে একাধিক অভিযোগ জমা পড়ছে কলকাতা পৌরনিগমের (Kolkata Municipal Corporation) কাছে ।
সম্প্রতি প্রসঙ্গটি মাসিক অধিবেশনে তোলেন 121 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রূপক গঙ্গোপাধ্যায় । তিনি বলেন, "বেশ কিছু ফ্ল্যাট থেকেই বাথরুম লিকেজের সমস্যা নিয়ে নাগরিকরা তাঁর সাহায্য চেয়েছেন । তবে বারংবার বলা সত্বেও সদিচ্ছার অভাবে উপরের তলায় বসবাসকারী ফ্ল্যাটটির অধিবাসীরা সমস্যার সমাধানে উদ্যোগী হচ্ছেন না । সুনির্দিষ্ট কোনও আইন না থাকায় পৌর অধিকারিকরাও কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারছেন না ।"
আরও পড়ুন: রয়েছে বাড়ি, নস্করহাটের কয়েক হাজার বাসিন্দাদের নেই নিজস্ব ঠিকানা
এই সমস্যা সমাধানে রূপক প্রস্তাব রাখেন, "মানুষের স্বাস্থ্য সম্মতভাবে বসবাসের অধিকার সুনির্দিষ্ট করতে, কলকাতা পৌরনিগমের (KMC) পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট নীতি নির্ধারণের জন্য সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা গ্রহণ করা হোক ।" এমন গুরুতর সমস্যা প্রসঙ্গে মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Mayor Firhad Hakim) বলেন, "এই অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে আসছে । ফ্ল্যাটে নিজেদের মধ্যে ঝামেলার জন্য অনেকেই গাফিলতি দেখিয়ে সেগুলো ঠিক করেন না । তাই নিয়ম করা হচ্ছে যে বাথরুমের উপরেই বাথরুম বানাতে হবে । এই নিয়ম না মানা হলে কলকাতা কর্পোরেশন অ্যাক্ট 401 ধারায় আমরা ফ্ল্যাট মালিককে নোটিস দিয়ে সেই বাথরুম ভেঙে দেব ।"