কলকাতা, 14 মার্চ: আইআইটি ছাত্রমৃত্যুর মামলায় ফের ক্ষুব্ধ কলকাতা হাইকোর্ট (Kharagpur IIT Student Death Case at Calcutta High Court)। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা মঙ্গলবার মামলার শুনানিতে হাইকোর্টের নিয়োগ করা ফরেনসিক বিশেষজ্ঞকে এখনও টাকা না-দেওয়ায় তিনি বলেন, "এই অসহযোগিতা কেন ? এত অজুহাত কীসের ? একটা ড্রাফট করে ওনার সাম্মানিক তাঁর বাড়ির ঠিকানায় পৌঁছে দেওয়া যেত না ? সামান্য এটার জন্য গোটা প্রক্রিয়া আটকে থাকল !" ]
আইআইটি-র ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে ময়নাতদন্তের দ্বিতীয় মতামত জানতে হাইকোর্টের নিয়োগ করা বিশেষজ্ঞ অজয় গুপ্তাকে তাঁর পারিশ্রমিক এতদিনেও না-দেওয়ায় আইআইটি অধিকর্তার উদ্দেশ্যে এই ভাষাতেই ক্ষোভ প্রকাশ করল হাইকোর্ট । বিচারপতি মান্থার লিখিত পর্যবেক্ষণ, একটা অজুহাত খাড়া করেছে খড়গপুর আইআইটি । যা গ্রহণযোগ্য নয় । এটা ভালোভাবে নিচ্ছে না আদালত ।
আদালতের নির্দেশ, 11 হাজার টাকার একটা ড্রাফট তাঁর বাড়ির ঠিকানায় পৌঁছে দেবে আইআইটি । রাজ্য পুলিশ তাঁর কাছে কেস ডাইরি-সহ এই মামলার সব নথির কপি পৌঁছে দিয়েছে । কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী সন্দীপ ভট্টাচার্যকে তাঁর আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ করে আদালত । বিচারপতির নির্দেশ, আইআইটি খড়গপুর অজয় গুপ্তাকে সেখানে গিয়ে সব খতিয়ে দেখে সবরকম সহযোগিতা করবে । 11 এপ্রিল মামলার পরবর্তী শুনানি ।
প্রসঙ্গত, গত 20 ফেব্রুয়ারি খড়গপুর আইআইটির ছাত্র ফাইজান আহমেদের মৃত্যুতে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট নিয়ে নতুন করে মতামত জানতে অবসরপ্রাপ্ত ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অজয় গুপ্তাকে দায়িত্ব দেন বিচারপতি । কারণ পুলিশ রিপোর্ট দিয়ে জানায় ফাইজান অবসাদে আত্মহত্যা করেছে । বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এই রিপোর্ট নিয়ে সন্দিহান হওয়ায় চিকিৎসক গুপ্তাকে সমস্ত নথি খতিয়ে দেখে দ্বিতীয় মতামত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন । কিন্তু এতদিনে এখনও চিকিৎসক পারিশ্রমিক কিছু দেয়নি আইআইটি । আর এতেই ক্ষুব্ধ হয় হাইকোর্ট ৷
আরও পড়ুন : খড়গপুর আইআইটি-তে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় কেস ডাইরি তলব হাইকোর্টের