কলকাতা, 18 জানুয়ারি: খড়গপুরে ছাত্র মৃত্যুর মামলায় ক্ষুব্ধ বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা (Justice Rajasekhar Mantha)। বিশেষ অনুষ্ঠানে বিদেশ যেতে হবে, তাই আদালতে হাজিরা দিতে পারবেন না বলে জানান খড়গপুর আইআইটির অধিকর্তা (Kharagpur IIT Student Death Case)৷ বুধবার এ কথা জানাতেই ক্ষোভপ্রকাশ করেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি (Calcutta High Court News)।
আইআইটি-র অধিকর্তার হাজিরার দিন এগিয়ে আনার আবেদন: 24 জানুয়ারি আদালতের নির্দেশে খড়গপুর আইআইটির অধিকর্তার আদালতে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল ৷ তা এগিয়ে এনে 20 জানুয়ারি তাঁকে হাজিরার সুযোগ দেওয়ার জন্য আদালতের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে ৷ এ ব্যাপারে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে এসে বিচারপতির ভর্ৎসনার মুখে পড়েন আইআইটির আইনজীবী । তিনি জানান, আইআইটির অধিকর্তা টোকিয়ো যাবেন । আন্তর্জাতিক কনফারেন্স আছে । তাই এই মামলা মামলা 24 তারিখ না শুনে অন্য দিন শোনা হোক । এই মর্মেই আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন খড়গপুর আইআইটির আইনজীবী ।
ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতি: উল্লেখ্য, আইআইটি কর্তৃপক্ষ ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় ডিরেক্টর কী পদক্ষেপ করেছে, তা বারবার জানতে চাইলেও খড়গপুর আইআইটি-র তরফে এ বিষয়ে কোনও উচ্চবাচ্য না করায় ক্ষুব্ধ বিচারপতি স্বয়ং অধিকর্তাকেই সশরীরে আদালতে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিলেন । এ দিন এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা আইআইটির আইনজীবীর উদ্দেশে বলেন, "আপনার মক্কেলের কাছে কোনটা বেশি জরুরি ? আদালতের এই মামলা ? নাকি বিদেশে যাওয়া ?"
আরও পড়ুন: খড়গপুর আইআইটি-র ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় কলেজ অধিকর্তাকে হাজিরার নির্দেশ হাইকোর্টের
আদালতের কাছে আর্জি আইআইটি-র আইনজীবীর: আইআইটি-র আইনজীবী জানান, "তাঁকে দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে পাঠানো হচ্ছে ।" জবাবে বিচারপতি মান্থা বলেন, "আর তাই তিনি চলে যাবেন ? তিনি আদালতকে হালকা ভাবে নিচ্ছেন কী করে ?" আইআইটি-র আইনজীবী ফের বলেন, "আদালত অনুমতি দিলে, ডিরেক্টর আগেও আদালতে আসতে পারেন । আমাদের রিপোর্ট রেডি আছে ।" বিচারপতি মান্থা তখন জানান, সমস্ত পক্ষকে নোটিশ দেওয়া হোক । আদালত বিবেচনা করবে ।
আগেও হাজিরা আটকানোর প্রচেষ্টা: এর আগেও আইআইটি কর্তৃপক্ষ রিপোর্ট দিয়ে অধিকর্তার হাজিরা আটকাতে চাইলেও তা খারিজ করে দেয় আদালত । বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা স্পষ্ট জানান, "আপনারা তথ্য লুকনোর চেষ্টা করেছেন ৷ এই ঘটনা এখন আপনাদের হাত থেকে বেরিয়ে গিয়েছে । ডিরেক্টরকে আসতেই হবে ।"