ETV Bharat / state

Calcutta High Court: অতিরিক্ত শিক্ষকের কী প্রয়োজন ? অর্থের অপচয় হচ্ছে, মন্তব্য বিচারপতি বসুর - wb teacher recruitment

রাজ্যের শিক্ষক বদলি নীতি ও পড়ুয়াদের প্রতি শিক্ষকদের দায়বন্ধতা নিয়ে সোমবার তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু (Justice Biswajit Basu on teacher recruitment)

ETV Bharat
কলকাতা হাইকোর্ট
author img

By

Published : Feb 20, 2023, 4:09 PM IST

কলকাতা, 20 ফেব্রুয়ারি: "যে স্কুলে পড়ুয়া কম রয়েছে সেখানকার ছাত্রদের অন্য স্কুলে পাঠিয়ে দিন । শিক্ষকদের অন্যত্র বদলি করুন । শিক্ষামন্ত্রীকে জানান । আইনে বদল আনুন ।" শিক্ষক বদলি সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানিতে সোমবার এই মন্তব্য করেছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু (Justice Biswajit Basu) ।

এর আগেও রাজ্যর শিক্ষকদের বদলি সংক্রান্ত মামলায় একাধিক মন্তব্য করেছেন বিচারপতি বসু ৷ এদিন ফের তিনি এই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে কড়া মন্তব্য করেন ৷ রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলিতে শিক্ষকদের বদলি ও শিক্ষক নিয়োগ এই দুই প্রক্রিয়া নিয়েই একাধিক মন্তব্য করেছেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু (Calcutta HC on teacher transfer process)।

এদিন রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ প্রসঙ্গেও শিক্ষা দফতরের উদ্দেশ্যে তির্যক মন্তব্য করেন বিচারপতি ৷ তিনি বলেন, "রাজ্যে বর্তমানে দশ হাজার শিক্ষকের প্রয়োজন বলে ঘোষণা করা হয়েছে ৷ আর এদিকে এবার মাধ্যমিকে চার লাখ কম ছাত্র পরীক্ষায় বসছে । তাহলে এই অতিরিক্ত শিক্ষকের কী প্রয়োজন? কী লাভ ? অর্থের অপচয় হচ্ছে ।"

এদিন রাজ্যের শিক্ষকদের উদ্দেশেও মন্তব্য করেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু ৷ তিনি বলেন, "সরকারি টাকায় নিজের সন্তানকে বেসরকারি স্কুলে পাঠাচ্ছেন সরকারি স্কুলের শিক্ষকরা । ভালো কথা, কিন্তু নিজের স্কুলের সন্তানসম পড়ুয়াদের খেয়াল রাখছেন তো? কোন পড়ুয়াকে যদি জিজ্ঞাসা করা যায় যে সে আপনাদের কাছ থেকে কী শিখেছে? সদুত্তর পাব তো ? উত্তর আপনাদের জন্য স্বস্তিদায়ক হবে তো?"

এদিন, শিক্ষা দফতরকে আরও কড়া হয়ে শিক্ষক বদলির বিষয়ে বিবেচনা করার পরামর্শ দেন বিচারপতি ৷ জানান, একাধিক স্কুলে 30, 35, 50 জন পড়ুয়া ৷ অথচ দেখা যাচ্ছে 10-15 জন শিক্ষক আছেন । তাঁদের অন্যত্র বদলি করা দরকার । নিজের অধিকারের এইচআরএ, সিএল, পিএল, সিসিএল চাইছেন শিক্ষকরা, কিন্তু পড়ুয়াদের অধিকার নিয়ে কি তাঁরা সচেতন !"

আরও পড়ুন: চাকরি হারানো গ্রুপ ডি কর্মীদের বেতন ফেরতের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ ডিভিশন বেঞ্চের

কম সংখ্যক ছাত্র বিশিষ্ট স্কুল সম্পর্কে বলতে গিয়ে বিচারপতি বসুর পর্যবেক্ষণ, সরকারি কোষাগারের টাকার অপচয় হচ্ছে । এইসব স্কুল রেখে লাভ কী ? অন্য স্কুলের সঙ্গে মিলিয়ে দেওয়া যায় । এটা না-করতে পারলে পরের নিয়োগ প্রক্রিয়া ঝঞ্ঝাট মুক্ত হবে না । কারণ নিয়োগের সময় এই সব স্কুলে শূন্যপদ দেখাবে । সেখানে নিয়োগ করতে হবে । অর্থের অপচয় হবে ।

উল্লেখ্য কিছুদিন আগে রাজ্যে শিক্ষক বদলিতে রাজ্যকে নতুন নির্দেশিকা জারি করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু । তার নির্দেশের পরই শিক্ষা দফতর এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানায় শিক্ষক বদলিতে এবার ছাত্র ও শিক্ষকের অনুপাত বিচার্য হবে । কোনও শিক্ষক নিজের ইচ্ছেমত বদলি চাইতে পারবেন না।

কলকাতা, 20 ফেব্রুয়ারি: "যে স্কুলে পড়ুয়া কম রয়েছে সেখানকার ছাত্রদের অন্য স্কুলে পাঠিয়ে দিন । শিক্ষকদের অন্যত্র বদলি করুন । শিক্ষামন্ত্রীকে জানান । আইনে বদল আনুন ।" শিক্ষক বদলি সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানিতে সোমবার এই মন্তব্য করেছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু (Justice Biswajit Basu) ।

এর আগেও রাজ্যর শিক্ষকদের বদলি সংক্রান্ত মামলায় একাধিক মন্তব্য করেছেন বিচারপতি বসু ৷ এদিন ফের তিনি এই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে কড়া মন্তব্য করেন ৷ রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলিতে শিক্ষকদের বদলি ও শিক্ষক নিয়োগ এই দুই প্রক্রিয়া নিয়েই একাধিক মন্তব্য করেছেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু (Calcutta HC on teacher transfer process)।

এদিন রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ প্রসঙ্গেও শিক্ষা দফতরের উদ্দেশ্যে তির্যক মন্তব্য করেন বিচারপতি ৷ তিনি বলেন, "রাজ্যে বর্তমানে দশ হাজার শিক্ষকের প্রয়োজন বলে ঘোষণা করা হয়েছে ৷ আর এদিকে এবার মাধ্যমিকে চার লাখ কম ছাত্র পরীক্ষায় বসছে । তাহলে এই অতিরিক্ত শিক্ষকের কী প্রয়োজন? কী লাভ ? অর্থের অপচয় হচ্ছে ।"

এদিন রাজ্যের শিক্ষকদের উদ্দেশেও মন্তব্য করেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু ৷ তিনি বলেন, "সরকারি টাকায় নিজের সন্তানকে বেসরকারি স্কুলে পাঠাচ্ছেন সরকারি স্কুলের শিক্ষকরা । ভালো কথা, কিন্তু নিজের স্কুলের সন্তানসম পড়ুয়াদের খেয়াল রাখছেন তো? কোন পড়ুয়াকে যদি জিজ্ঞাসা করা যায় যে সে আপনাদের কাছ থেকে কী শিখেছে? সদুত্তর পাব তো ? উত্তর আপনাদের জন্য স্বস্তিদায়ক হবে তো?"

এদিন, শিক্ষা দফতরকে আরও কড়া হয়ে শিক্ষক বদলির বিষয়ে বিবেচনা করার পরামর্শ দেন বিচারপতি ৷ জানান, একাধিক স্কুলে 30, 35, 50 জন পড়ুয়া ৷ অথচ দেখা যাচ্ছে 10-15 জন শিক্ষক আছেন । তাঁদের অন্যত্র বদলি করা দরকার । নিজের অধিকারের এইচআরএ, সিএল, পিএল, সিসিএল চাইছেন শিক্ষকরা, কিন্তু পড়ুয়াদের অধিকার নিয়ে কি তাঁরা সচেতন !"

আরও পড়ুন: চাকরি হারানো গ্রুপ ডি কর্মীদের বেতন ফেরতের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ ডিভিশন বেঞ্চের

কম সংখ্যক ছাত্র বিশিষ্ট স্কুল সম্পর্কে বলতে গিয়ে বিচারপতি বসুর পর্যবেক্ষণ, সরকারি কোষাগারের টাকার অপচয় হচ্ছে । এইসব স্কুল রেখে লাভ কী ? অন্য স্কুলের সঙ্গে মিলিয়ে দেওয়া যায় । এটা না-করতে পারলে পরের নিয়োগ প্রক্রিয়া ঝঞ্ঝাট মুক্ত হবে না । কারণ নিয়োগের সময় এই সব স্কুলে শূন্যপদ দেখাবে । সেখানে নিয়োগ করতে হবে । অর্থের অপচয় হবে ।

উল্লেখ্য কিছুদিন আগে রাজ্যে শিক্ষক বদলিতে রাজ্যকে নতুন নির্দেশিকা জারি করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু । তার নির্দেশের পরই শিক্ষা দফতর এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানায় শিক্ষক বদলিতে এবার ছাত্র ও শিক্ষকের অনুপাত বিচার্য হবে । কোনও শিক্ষক নিজের ইচ্ছেমত বদলি চাইতে পারবেন না।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.