কলকাতা, 22 অগস্ট: যাদবপুর কাণ্ডে ধৃত সৌরভ চৌধুরী, দীপশেখর দত্ত ও মনতোষ ঘোষকে আজ মঙ্গলবার আলিপুর আদালতে তোলা হয় ৷ আদালত চত্বরে পৌঁছে কলকাতা পুলিশের প্রিজন ভ্যান থেকে নেমে সৌরভ চৌধুরী দাবি করেন, ‘‘আমি অপরাধী নই ৷ আমাকে অপরাধী সাজানো হয়েছে ।’’ এরপরেই আদালতে ঢুকে যান সৌরভ । এ দিন তিন অভিযুক্তকেই আগামী 26 অগস্ট পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত ৷
এর আগেও সৌরভ চৌধুরীর গলায় এই ধরনের সাফাই শোনা গিয়েছিল । কিছুদিন আগেই যাদবপুর থানার প্রিজন ভ্যানে বসে মুখ লুকিয়ে সৌরভ চৌধুরী বলেছিল, "আমাকে ফাঁসানো হয়েছে । আমরা গরিব তাই আমাদের ফাঁসানো হচ্ছে । সেদিন কোনও ব়্যাগিং হয়নি ।"
ইতিমধ্যেই যাদবপুর থানার তরফ থেকে এই ঘটনায় যুক্ত থাকা সন্দেহে মোট 13 জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে । এই 13 জনের মধ্যে অধিকাংশই রয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন । বাকিরা বর্তমান ছাত্র ৷
গত 9 অগস্ট যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের তিনতলার নিচ থেকে উদ্ধার হয় সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বছরের বাংলা অনার্সের এক ছাত্রের রক্তাক্ত দেহ । যদিও ওই পড়ুয়াকে উপর থেকে কেউ ঠেলে ফেলেছে, নাকি পড়ুয়া নিজেই ঝাঁপ দিয়েছেন, সেই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট হয়নি ।
অভিযোগ, এরপরই দ্রুত সৌরভ চৌধুরীর নেতৃত্বে একদল ছাত্র একটি ট্যাক্সি করে ওই পড়ুয়াকে রক্তাক্ত অবস্থায় যাদবপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায় । এরপর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের একটি নির্জন মাঠে সৌরভ চৌধুরীর নেতৃত্বে বসেছিল চারবার জেনারেল বডি মিটিং । সেখানেই বলা হয়েছিল, এই ঘটনায় যদি পুলিশ আসে, তাহলে ছাত্রদের পুলিশকে কী কী বয়ান দিতে হবে ।
আরও পড়ুন: অ্যান্টি র্যাগিংয়ের স্কোয়াড তৈরির কথা ভাবছে যাদবপুর, বৈঠকে নয়া উপাচার্য
এরপরই ভোররাতে মৃত্যু হয় ওই ছাত্রের । পরিবারের তরফে খুনের মামলা ও ব়্যাগিংয়ের অভিযোগ করা হয় । তদন্ত নেমে পুলিশ এই ঘটনায় যুক্ত থাকা সন্দেহে এখনও পর্যন্ত 13 জনকে গ্রেফতার করেছে ।