ETV Bharat / state

আদালতে দাঁড়িয়ে জঙ্গিযোগের কথা স্বীকার ইজ়াজ়ের - izaz admits his link with terrorist

আজ আদালতে জঙ্গিযোগের কথা স্বীকার করল STF-এর হাতে ধৃত ইজ়াজ় আহমেদ ।

ইজ়াজ়
author img

By

Published : Aug 27, 2019, 5:05 PM IST

Updated : Aug 27, 2019, 6:01 PM IST

কলকাতা, 27 সেপ্টেম্বর: সাধারণত জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ধৃতরা আদালতে দাঁড়িয়ে নিজেদের নির্দোষ প্রমাণের চেষ্টা করে । কিন্তু, রীতিমতো ব্যতিক্রমী স্বীকারোক্তি শোনা গেল জামাতুল মুজাহিদিন ইন্ডিয়ার আমের ইজ়াজ় আহমেদের মুখে ৷ ব্যাঙ্কশাল আদালতের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে সে বলে, "২০১৬-র পর ওদের সঙ্গে যোগাযোগ নেই।" অর্থাৎ জঙ্গিযোগের কথা কার্যত স্বীকার করে সে।

এই সংক্রান্ত আরও খবর : ইজ়াজ়কে ছিনিয়ে নেওয়ার ছক? কড়া নিরাপত্তা ব্যাঙ্কশাল আদালতে

আজ রীতিমতো কড়া নিরাপত্তায় ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হয় ইজ়াজ়কে । দুপুর পৌনে তিনটে নাগাদ ইজ়াজ়ের পুলিশ হেপাজতের জন্য সওয়াল করেন সরকারি আইনজীবী । তিনি আদালতে দাঁড়িয়ে বলেন,“জামাতুল মুজাহিদিনের প্রতিষ্ঠাতা চিফ কওসরকে ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার ছক কষা হয়েছিল । সেই অভিযোগে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে কয়েকজনকে । সেই মামলায় যে ক'জনের নাম পাওয়া গিয়েছিল তাদের একজন ইজ়াজ় । সেই বিষয়ে যে FIR দায়ের হয় তার ৬ নম্বর অভিযুক্ত হিসেবে নাম রয়েছে ইজ়াজ়ের । তাকে আমরা গয়া থেকে গ্রেপ্তার করেছি। এই ইজ়াজ় জামাতুল মুজাহিদিন ইন্ডিয়ার চিফ হিসেবে কাজ করছিল।"

দেখুন ভিডিয়ো

এই সংক্রান্ত আরও খবর : জামাতুল মুজাহিদিন ইন্ডিয়ার শীর্ষনেতা ইজ়াজ় গ্রেপ্তার

এদিকে স্পেশাল টাস্কফোর্স সূত্রে খবর, তার কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি ল্যাপটপ, একটি ট্যাব, ছটি মোবাইল এবং জাল ভোটার কার্ড । যে ভোটার কার্ডটিতে ছবি আছে ইজ়াজ়ের, কিন্তু নাম অন্য । ঠিকানা আরেকটি । অর্থাৎ জাল ভোটার কার্ড বানিয়ে পুলিশের চোখে ধুলো দিতে চেয়েছিল । সেটি ব্যবহার করেই ভারতের পূর্ব থেকে পশ্চিম উত্তর থেকে দক্ষিণ ঘুরে বেড়াচ্ছিল সে । তৈরি করছিল জঙ্গি নেটওয়ার্ক । কওসরের কথায়, তাকে আমের নির্বাচিত করার পর, রিক্রুটমেন্ট ছাড়াও আরও বেশ কিছু কাজ দেখছিল সে । তাকে না জানিয়ে কোনও কাজই করত না জামাত-উল-মুজাহিদিন ইন্ডিয়া ।

এমনিতে ছাপোষা চেহারা । গায়ে টেরিকটের সস্তা জামা । ক্লিন সেভড । রোগা চেহারার ইজ়াজ়কে দেখলে কে বলবে, সে জঙ্গিগোষ্ঠীর ভারত শাখার প্রধান! সরকারি আইনজীবীর সওয়ালের সময় মাঝেমধ্যে মাথা নাড়ছিল সে । বোঝানোর চেষ্টা করছিল কওসরকে ছাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার কোনও প্ল্যান সে করেনি । কিন্তু ইতিমধ্যেই STF-এর হাতে থাকা জঙ্গিদের জেরা করে সেই তথ্য উঠে এসেছে । STF-এর দাবি কওসরকে ছাড়ানোর ছক কষেছিল ইজ়াজ় । জঙ্গি কার্যকলাপ নিয়ে তাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছে STF। আর তাই আদালতের কাছে তার পুলিশ হেপাজত চাওয়া হয় । আদালত তা মঞ্জুর করে । 10 সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ইজ়াজ়ের পুলিশ হেপাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

কলকাতা, 27 সেপ্টেম্বর: সাধারণত জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ধৃতরা আদালতে দাঁড়িয়ে নিজেদের নির্দোষ প্রমাণের চেষ্টা করে । কিন্তু, রীতিমতো ব্যতিক্রমী স্বীকারোক্তি শোনা গেল জামাতুল মুজাহিদিন ইন্ডিয়ার আমের ইজ়াজ় আহমেদের মুখে ৷ ব্যাঙ্কশাল আদালতের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে সে বলে, "২০১৬-র পর ওদের সঙ্গে যোগাযোগ নেই।" অর্থাৎ জঙ্গিযোগের কথা কার্যত স্বীকার করে সে।

এই সংক্রান্ত আরও খবর : ইজ়াজ়কে ছিনিয়ে নেওয়ার ছক? কড়া নিরাপত্তা ব্যাঙ্কশাল আদালতে

আজ রীতিমতো কড়া নিরাপত্তায় ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হয় ইজ়াজ়কে । দুপুর পৌনে তিনটে নাগাদ ইজ়াজ়ের পুলিশ হেপাজতের জন্য সওয়াল করেন সরকারি আইনজীবী । তিনি আদালতে দাঁড়িয়ে বলেন,“জামাতুল মুজাহিদিনের প্রতিষ্ঠাতা চিফ কওসরকে ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার ছক কষা হয়েছিল । সেই অভিযোগে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে কয়েকজনকে । সেই মামলায় যে ক'জনের নাম পাওয়া গিয়েছিল তাদের একজন ইজ়াজ় । সেই বিষয়ে যে FIR দায়ের হয় তার ৬ নম্বর অভিযুক্ত হিসেবে নাম রয়েছে ইজ়াজ়ের । তাকে আমরা গয়া থেকে গ্রেপ্তার করেছি। এই ইজ়াজ় জামাতুল মুজাহিদিন ইন্ডিয়ার চিফ হিসেবে কাজ করছিল।"

দেখুন ভিডিয়ো

এই সংক্রান্ত আরও খবর : জামাতুল মুজাহিদিন ইন্ডিয়ার শীর্ষনেতা ইজ়াজ় গ্রেপ্তার

এদিকে স্পেশাল টাস্কফোর্স সূত্রে খবর, তার কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি ল্যাপটপ, একটি ট্যাব, ছটি মোবাইল এবং জাল ভোটার কার্ড । যে ভোটার কার্ডটিতে ছবি আছে ইজ়াজ়ের, কিন্তু নাম অন্য । ঠিকানা আরেকটি । অর্থাৎ জাল ভোটার কার্ড বানিয়ে পুলিশের চোখে ধুলো দিতে চেয়েছিল । সেটি ব্যবহার করেই ভারতের পূর্ব থেকে পশ্চিম উত্তর থেকে দক্ষিণ ঘুরে বেড়াচ্ছিল সে । তৈরি করছিল জঙ্গি নেটওয়ার্ক । কওসরের কথায়, তাকে আমের নির্বাচিত করার পর, রিক্রুটমেন্ট ছাড়াও আরও বেশ কিছু কাজ দেখছিল সে । তাকে না জানিয়ে কোনও কাজই করত না জামাত-উল-মুজাহিদিন ইন্ডিয়া ।

এমনিতে ছাপোষা চেহারা । গায়ে টেরিকটের সস্তা জামা । ক্লিন সেভড । রোগা চেহারার ইজ়াজ়কে দেখলে কে বলবে, সে জঙ্গিগোষ্ঠীর ভারত শাখার প্রধান! সরকারি আইনজীবীর সওয়ালের সময় মাঝেমধ্যে মাথা নাড়ছিল সে । বোঝানোর চেষ্টা করছিল কওসরকে ছাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার কোনও প্ল্যান সে করেনি । কিন্তু ইতিমধ্যেই STF-এর হাতে থাকা জঙ্গিদের জেরা করে সেই তথ্য উঠে এসেছে । STF-এর দাবি কওসরকে ছাড়ানোর ছক কষেছিল ইজ়াজ় । জঙ্গি কার্যকলাপ নিয়ে তাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছে STF। আর তাই আদালতের কাছে তার পুলিশ হেপাজত চাওয়া হয় । আদালত তা মঞ্জুর করে । 10 সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ইজ়াজ়ের পুলিশ হেপাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

Intro:কলকাতা, 27 সেপ্টেম্বর: রীতিমত ব্যতিক্রমী স্বীকারোক্তি। সাধারণভাবে জঙ্গি কার্যকলাপের যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার ষড়যন্ত্রকারীরা আদালতে দাঁড়িয়ে নিজেদের নির্দোষ প্রমাণ করার চেষ্টা করে। জামাতুল মুজাহিদীন ইন্ডিয়ার আমের বলে কথা! ব্যতিক্রমী স্বীকারোক্তি স্বাভাবিক। ইজাজ আহমেদের মুখ থেকে শোনাও গেল ব্যতিক্রমী স্বীকারোক্তি! ব্যাঙ্কশাল আদালতের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে আদালতে দাঁড়িয়ে বললেন, “ ২০১৬ র পর ওদের সঙ্গে যোগাযোগ নেই।" অর্থাৎ জঙ্গি সংসর্গের কথা নিজের মুখেই কবুল করলেন ইজাজ। Body:রীতিমতো কড়া নিরাপত্তায় ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হয় ইজাজকে। দুপুর পৌনে তিনটে নাগাদ রিয়াজের পুলিশ হেফাজতে সওয়াল করেন সরকারি আইনজীবী। তিনি আদালতে দাঁড়িয়ে বলেন,“ জামাতুল মুজাহিদিনের প্রতিষ্ঠাতা চিফ কওসরকে ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার ছক কষা হয়েছিল। সেই অভিযোগে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে কয়েকজনকে। সেই কেসে যে ক'জনের নাম পাওয়া গিয়েছিল তাদের একজন ইজাজ। সেই বিষয়ে যে এফআইআর দায়ের হয় তার ৬ নম্বর অভিযুক্ত হিসেবে নাম রয়েছে ইজাজের। তাকে আমরা গয়া থেকে গ্রেপ্তার করেছি। এই ইজাজ জামাতুল মুজাহিদীন ইন্ডিয়ার চিফ হিসেবে কাজ করছিল।" Conclusion:স্পেশাল টাস্কফোর্স সূত্রে খবর, গাছের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি ল্যাপটপ, একটি ট্যাব, ছটি মোবাইল এবং জাল ভোটার কার্ড। যে ভোটার কার্ডটিতে ছবি আছে ইজাজের, কিন্তু নাম অন্য। ঠিকানা আরেকটি। অর্থাৎ জাল ভোটার কার্ড বানিয়ে পুলিশের চোখে ধুলো দিতে চেয়েছিল। সেটি ব্যবহার করেই ভারতের পূর্ব থেকে পশ্চিম উত্তর থেকে দক্ষিণ ঘুরে বেড়াচ্ছিল সে। তৈরি করছিল জঙ্গি নেটওয়ার্ক। কৌশলের কথায় তাকে আমের নির্বাচিত করার পর, রিকুটমেন্ট ছাড়াও আরো বেশ কিছু কাজ দেখছিল সে।য় তাকে না জানিয়ে কোনো কাজই করছো না জামাত-উল-মুজাহিদীন ইন্ডিয়া।

এমনিতে ছাপোষা চেহারা। গায়ে টেরিকটের সস্তা জামা। ক্লিন সেভড। রোগা চেহারার ইজাজকে দেখলে কে বলবে, সে জঙ্গিগোষ্ঠীর ভারত শাখার প্রধান! সরকারি আইনজীবীর সওয়ালের সময় মাঝেমধ্যে মাথা নাড়ছিল ছিল সে। বোঝানোর চেষ্টা করছিল কওসরকে ছাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার কোন প্ল্যান সে করেনি। কিন্তু ইতিমধ্যেই STF হাতে থাকা জঙ্গিদের জেরা করে সেই তথ্য উঠে এসেছে। STF এর দাবি কওসরকে ছাড়ানোর ছক কষেছিল ইজাজ। জঙ্গী কার্যকলাপ নিয়ে তাকে আরো জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন বলে মনে করছে স্পেশাল টাস্কফোর্স। আর তাই আদালতের কাছে পুলিশ-হেফাজত চাওয়া হয়। আদালত তা মঞ্জুর করে। ইজাজকে 10 সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Last Updated : Aug 27, 2019, 6:01 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.