কলকাতা, 3 সেপ্টেম্বর : চিটফান্ড মামলায় গতি বাড়াতে চাইছে CBI । নতুন করে ঢেলে সাজানো হচ্ছে এই মামলার তদন্ত কৌশল । সেই সূত্রে বদলি করা হয়েছে সারদা মামলার তদন্তকারী অফিসারকে । তাঁর জায়গায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদ মর্যাদার এক অফিসার এই মামলার তদন্তভার পাচ্ছেন ।
গত জুলাই মাসে আচমকা বদলি করা হয় CBI-এর যুগ্ম অধিকর্তা পঙ্কজ শ্রীবাস্তবকে । কলকাতা জ়োনের জয়েন্ট ডিরেক্টরকে দিল্লিতে ট্রান্সফার করা হয় । তিনি এখন যুগ্ম অধিকর্তা (ট্রেনিং) হিসেবে কাজ করছেন CBI-র সদর দপ্তরে । এখনও তাঁর বদলে কাউকে পাঠানো হচ্ছে না কলকাতা জ়োনে । তাঁকেই কলকাতা জ়োন এবং তিন নম্বর আর্থিক অপরাধ শাখার অতিরিক্ত দায়িত্বে রাখা হয়েছে ।
পরে সারদা মামলার তদন্তকারী অফিসার তথাগত বর্ধনকেও বদলি করা হয় । তিনি DSP পদমর্যাদার অফিসার । তাঁর থেকে এক উচ্চ পদমর্যাদার অফিসারকে দিল্লি থেকে আনা হচ্ছে কলকাতায় । পাশাপাশি সূত্র জানাচ্ছে, রোজ়ভ্যালির মামলার ক্ষেত্রেও নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য বিহার থেকে আনা হচ্ছে অন্য এক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার অফিসারকে । এই দু'জনই করা ধাতের অফিসার হিসেবে পরিচিত বলে CBI সূত্রে খবর । তাঁদের এনে চিটফান্ড মামলায় গতি বাড়ানোর চেষ্টায় রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে ।
রাজনৈতিক মহলে জল্পনা ছিল, পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের আগে সক্রিয় হবে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট এবং CBI । গতি বাড়ানো হবে চিট ফান্ড কেলেঙ্কারি তদন্তে । এবার কার্যক্ষেত্রেও এমনটাই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে । দিন কয়েক আগে নারদা কান্ডে নোটিশ পাঠানো হয় মুকুল রায়কে । তাঁকে পারিবারিক সম্পত্তি, আয়-ব্যয়ের হিসাব, ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট সাত দিনের মধ্যে জমা করার নির্দেশ দেওয়া হয় । তারপরই তৃণমূলের পাঁচ নেতা-নেত্রীকে নোটিস পাঠানো হয় । এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট সূত্রে খবর এমনই। এই পাঁচ নেতা- নেত্রী হলেন সৌগত রায়, কাকলি ঘোষদস্তিদার, আফরিন অপরূপা পোদ্দার, শুভেন্দু অধিকারী এবং কলকাতা পৌরনিগমের প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় । একইসঙ্গে নোটিস পাঠানো হয় সাসপেন্ডেড IPS মির্জ়াকেও ।
তাঁদের ব্যক্তিগত এবং পারিবারিক সম্পত্তির হিসেব-সহ সব নথি পাঁচ দিনের মধ্যে জমা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । অন্যদিকে, ইতিমধ্যেই সারদা কেলেঙ্কারির খসরা চার্জশিট তৈরি হচ্ছে । সেই কাজ দিল্লিতে বসেই দেখভাল করছেন পঙ্কজ শ্রীবাস্তব ।