কলকাতা, 22 সেপ্টেম্বর: পড়ুয়াদের বিক্ষোভের মাঝেই অবশেষে মাটিতে বসে পড়লেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বতী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। অরবিন্দ ভবনের সামনে তাঁকে শুক্রবার বসে পড়তে দেখা যায়। "বারবার হেনস্থা শিকার হচ্ছেন" বলেও শুক্রবার আফসু'র দিকে আঙুলও তুলেছেন অন্তর্বতী উপাচার্য। তাঁকে পদত্যাগ করানোর জন্যই এই আচরণ বলেও মনে করছেন তিনি। তবে উপাচার্যই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান তাই সমস্যা হলে তাকেই বলতে হবে সাফাই আফসু'র। অল স্টেক হোল্ডার বৈঠকের ডাককে ঘিরে এদিন উত্তেজনা ছড়ায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে।
26 সেপ্টেম্বর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল (ইসি)-এর বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়েছে। তবে এই বৈঠকের আগে অল স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে হবে বলেই দাবি জানিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনগুলি। সেই দাবি নিয়েই এদিন আফসু 'অরবিন্দ ভবন চলো' অভিযানের ডাক দিয়েছে। অরবিন্দ ভবনে পৌঁছে অন্তর্বতী উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলার জন্য তারা একাধিকবার আর্জি জানিয়েছে বলেও দাবি আফসুর সদস্যদের। তবে অভিযোগ কোনওভাবেই কথা বলতে চাননি উপাচার্য ৷
আফসু'র সদস্য অনুষ্ণা দাস বলেন, "ইসি'র আগে একটা অল স্টেক হোল্ডার বৈঠক আমরা চেয়েছিলাম। সেই জন্যই 22 সেপ্টেম্বর আমাদের মৌখিকভাবে কথা দিয়ে রাখল লিখিত কোন নির্দেশ কর্তৃপক্ষ দেয়নি। তাই অবশেষে আমরা উপাচার্যের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলতে গিয়েছিলাম। কিন্তু সেখানে উনি আমাদের সঙ্গে কোনও রকম কথা বলেননি। অদ্ভুত একটা আচরণ করে বেরিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। তখন আমরা অনিচ্ছা-সহ তাঁকে ঘেরাও করতে বাধ্য হই।" ওই সময়েই অন্তর্বর্তী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ নিজের গাড়ি থেকে নেমে এসে পড়ুয়াদের মাঝে মাটিতে বসে পড়েন। একাধিক কথাবার্তার পর অবশেষে 26 সেপ্টেম্বর ইসি বৈঠকের আগে সকাল 10 টায় অল স্টেক হোল্ডার বৈঠকও ডাকেন উপাচার্য। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ বেশ ক্ষুদ্ধ।
আরও পড়ুন: দরকার নেই জয়েন্ট এন্ট্রান্সের, বিজ্ঞান নিয়ে পড়লেই ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সুযোগ রাজ্যে
অল স্টেক হোল্ডার বৈঠকের দায়িত্বও বুদ্ধদেব সাউ দিয়েছিলেন সহউপাচার্য অমিতাভ দত্তর হাতে বলেই জানান তিনি। ইটিভি ভারতের পক্ষ থেকে অন্তর্বতী উপাচার্যকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, "সহউপাচার্যকে আমি অল স্টেক হোল্ডার বৈঠকের কথা বলেছিলাম। কিন্তু দেখছি পড়ুয়ারা কিছুই মানছে না। আমি বারবার দেখছি আফসু আমাকে হেনস্থা করছে। আমার পারিবারিক একটি সমস্যার কারণে আজকে আমার দ্রুত বেরিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন ছিল। সেই সময় একাধিকবার তাদেরকে আমি অনুরোধ করলেও তারা আমার পথ আটকায়। আসলে ওরা চাইছে আমি যেন পদত্যাগ করি। যে অশ্রাব্য ভাষায় কথা বলেছে আমি ভাবতেও পারি না। ওরা ওদের পছন্দমত উপাচার্যকে এই আসনে বসাতে চায়। মূলত সিসিটিভি লাগাতে চায় না ওরা, তাই জন্যই এত কিছু।"