কলকাতা, 15 এপ্রিল : তানিয়া সান্যাল ইন্ডিয়ান অ্যাভিয়েশন ফায়ার সার্ভিস বা AFS-এর প্রথম মহিলা ফায়ার ফাইটার। তারপর আরও একজন মহিলা ফায়ার ফাইটার পেয়েছিল ফায়ার সার্ভিস। অঞ্জলি মিনার পরে এবার একসঙ্গে 14 জন মহিলা ফায়ার ফাইটার পেল AFS। বর্তমানে তাঁরা ফায়ার সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টার কলকাতার নারায়ণপুরে প্রশিক্ষণরত। 10 মার্চ এই ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে আসেন তাঁরা। মাত্র এক মাসেই পুরুষদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দু'মিনিটের মধ্যে আগুনের মোকাবিলা করায় পারদর্শী হয়ে উঠেছেন।
বেঙ্গালুরু ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট 14 জন মহিলাকে নিয়োগ করেছে ফায়ার সার্ভিসে। তাঁদের প্রশিক্ষণের জন্য পাঠানো হয়েছে এয়ারপোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার (AAI) কলকাতা ট্রেনিং সেন্টারে। গতকাল ন্যাশনাল ফায়ার সার্ভিস ডে পালন করা হয় এই ট্রেনিং সেন্টারে। সেখানে বিভিন্ন অত্যাধুনিক যন্ত্রের সাহায্যে মাত্র দু'মিনিটের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে দেখান প্রশিক্ষণরতরা। বর্তমানে এই ট্রেনিং সেন্টারে প্রায় 60 জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। তার মধ্যে রয়েছেন এই 14 মহিলা। আগুনের সঙ্গে মোকাবিলা করার প্রদর্শনীতে পুরুষদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেন তাঁরা। আগামী 5 জুলাই পর্যন্ত চলবে তাঁদের ট্রেনিং। তারপরে বেঙ্গালুরুতে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসে যোগ দেবেন তাঁরা।
বর্তমানে জুনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ফায়ার সার্ভিস হিসাবে প্রশিক্ষণরতদের ট্রেনিং দেন অ্যাভিয়েশনের প্রথম মহিলা ফায়ার ফাইটার তানিয়া সান্যাল। এতদিন পর্যন্ত ইন্ডিয়ান অ্যাভিয়েশনে দ্বিতীয় মহিলা ফায়ার ফাইটার অঞ্জলি মিনা ছাড়া, পুরুষদেরই প্রশিক্ষণ দিয়ে এসেছেন তিনি। এপ্রসঙ্গে তানিয়া সান্যাল বলেন, "ফাইনালি এয়ারপোর্ট ফায়ার সার্ভিসে 14 জন মেয়ে জয়েন করেছেন। এবং তাঁরা সবাই বেঙ্গালুরু থেকে কলকাতা এসেছেন ট্রেনিংয়ের জন্য। আমি খুবই আনন্দিত যে, নতুন প্রজন্মের মেয়েরা আগ্রহী হয়ে উঠছে এই ফিল্ডে।"
এক মাসে কতটা পারদর্শী হয়ে উঠেছে এই প্রমীলা বাহিনী? তানিয়া সান্যাল বলেন, "এক মাসে বিশাল পরিবর্তন এসেছে ওদের মধ্যে। ওরা এখন ফায়ার ফাইটার হয়ে গেছে আমি বলব। যদিও, ওদের ট্রেনিংয়ের এখনও তিন মাস বাকি আছে। এই তিন মাস পর ওরা পুরো ফায়ার ফাইটার হয়ে যাবে।"
প্রশিক্ষণরতদের একজন প্রিয়দর্শিনী বিরাদর বলেন, "আমাদের ধারণা ছিল না ফায়ার সার্ভিসে মহিলাদের ডাকছে। তারপরে কয়েক জায়গা থেকে আমাদের কাছে মেসেজ আসে যে, ফায়ার ফাইটিংয়ে মহিলাদের নিয়োগ করা হচ্ছে। তখন মাইসোরে গেলাম সিলেকশনের জন্য। সিলেকশন প্রক্রিয়ায় আমরা ভালো করেছিলাম। পরে একটু ভয় লেগেছিল। কী করে আগুনের সঙ্গে লড়াই করব, ফায়ার ফাইটিং তো ছেলেরা করে, আমরা কী করে করব? তখন আমাদের তানিয়া ম্যামের ভিডিয়ো দেখানো হয়। আমরা বুকে বল পেলাম যে, আমরাও করতে পারব। উনিই ফায়ার ফাইটার টিমের অ্যাম্বাসাডর।"