কলকাতা, 4 সেপ্টেম্বর: করোনাপর্ব থেকেই বেহাল অবস্থায় কুমোরটুলির মৃৎশিল্পীরদের । তবে দীর্ঘ 2 বছরের রেশ কাটিয়ে এবার অল্প হলেও ছন্দে ফিরছে পটুয়া পাড়া । প্রযুক্তির সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে বারবারই মুখ থুবড়ে পড়ছেন তাঁরা । শুধু তাই নয়, নতুন প্রজন্ম এই ব্যবসা থেকে কিছুটা হলেও বিমুখ হয়ে যাচ্ছে । তাই এবার ডিজিটাল দুনিয়ায় প্রবেশ করছে কুমোরটুলি । আগে শুধু শহরের নামী শিল্পীদের ওয়েবসাইট ছিল । এখন নতুন প্রজন্মের শিল্পীরা অনেকেই সেই তালিকায় ঢুকছেন (Kumortuli is Now in World of Digital)।
আরও পড়ুন: মা-বোনেরা দূর থেকে দেখেন পুজো, উমার যাবতীয় দায়িত্ব সেনবাড়ির ছেলেদেরই
মৃৎশিল্পী সমিতির সভাপতি বাবু পাল জানান, প্রযুক্তিকে কাজে লাগাতে না পারায় তুলনায় ছোট শিল্পীরা অন্যদের থেকে পিছিয়ে যাচ্ছেন । কিন্তু সেটা হওয়া উচিত নয় । আর তাছাড়া নতুন প্রজন্মও পিছিয়ে যাচ্ছে । তাই একটা পরিবর্তনের প্রয়োজন আছে । সেখানে দাঁড়িয়ে একটি সংস্থা এগিয়ে আসেন আমাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য । তাদের সঙ্গে আমরা হাত মিলিয়েছি এই প্রাচীন শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য ।
এবারে প্রায় 66টি ফাইবারের প্রতিমা বিদেশের পথে রওনা দিয়েছে । অপেক্ষায় রয়েছে আরও বেশ কিছু । এই অনলাইন মাধ্যম চলে আসার পর অনুমান করা হচ্ছে বিক্রির পরিমাণ বেশ কিছুটা বাড়বে । তবে শুধু কুমোরটুলি নয়, এই অ্যাপের মাধ্যমে চন্দননগরের আলোকসজ্জা থেকে মাটির পুতুল সমস্ত কিছুই মানুষ পাবে একটা ক্লিকের মাধ্যমে ।
আরও পড়ুন: নালিকুলের সিংহবাড়িতে পুজোর জোগাড় করেন ছেলেরা, মেয়েরা থাকেন 'ছুটিতে'
এই সংস্থার কর্ণধার প্রত্যয় শূর জানান, আমরা সব শিল্পীদের এক ছাতার তলায় আনার চেষ্টা করছি । শিল্প চিনলেও শিল্পীদের মানুষ চিনতে পারে না । তাই আমরা একটি অ্যাপ তৈরি করছি । করোনাপর্বের আগে থেকেই আমরা এই ভাবনা নিয়ে আসি । তবে করোনার জন্য বেশ কিছুটা দেরি হয়ে যায় । বহু শিল্পী নিজেদের যুক্ত করেছেন । ক্রেতারা সেই অ্যাপ থেকে শিল্পীদের নতুন পুরনো সব কাজ দেখতে পাবেন । অর্ডারও দিতে পারবেন । এই অ্যাপের সাহায্যে সাধারণ মানুষ শিল্পীদের কাজ দেখে তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারবেন । সেই সমস্ত ব্যবস্থা থাকছে । এছাড়াও তাদের প্রচার করার জন্য থাকবে তাদেরই বিভিন্ন ভিডিয়ো ।