ETV Bharat / state

কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষার শিক্ষক নিয়োগে স্থগিতাদেশ তুলে নিল হাইকোর্ট

author img

By

Published : Nov 1, 2019, 8:49 PM IST

এই বছরের 19 ফেব্রুয়ারি কলকাতা হাইকোর্টে স্কুল সার্ভিস কমিশনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন শর্মিলা মণ্ডল ৷ ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীদের পক্ষে তিনি মামলা করেছিলেন ৷ এরপর স্কুল সার্ভিস কমিশনকে হলফনামা দিতে নির্দেশ দেন বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্য । পাশাপাশি নিয়োগের উপর স্থগিতাদেশও বহাল ছিল । আজ স্থগিতাদেশ তুলে নেয় আদালত ৷

ssc

কলকাতা, 1 নভেম্বর : কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষার শিক্ষক নিয়োগে স্থগিতাদেশ তুলে নিল কলকাতা হাইকোর্ট ৷ আজ বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্য এই নির্দেশ দেন ৷ 18 নভেম্বরের মধ্যে সমস্ত তথ্য সহ প্রকাশ করতে হবে মেধা তালিকা । 13 ডিসেম্বরের পর নিয়োগপত্র পাঠাতে পারবে স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC) । কোনও প্রার্থীর অভিযোগ থাকলে তিনি স্কুল সার্ভিস কমিশনকে জানাতে পারবেন । এই ব্যাপারে আজ হাইকোর্ট বলে , "এই স্থগিতাদেশের ফলে কোনও পক্ষই লাভবান হচ্ছে না । তাই এই পদক্ষেপ করা হচ্ছে ।"

এই বছরের 19 ফেব্রুয়ারি কলকাতা হাইকোর্টে স্কুল সার্ভিস কমিশনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন শর্মিলা মণ্ডল ৷ ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীদের পক্ষে তিনি মামলা করেছিলেন ৷ 2016 সালে কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষার শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় মেধা তালিকা প্রকাশিত হয়েছিল কি না সেই বিষয় জানতে চেয়েছিলেন তিনি ৷ এছাড়াও ইন্টারভিউ তালিকায় 1 : 1.4 অনুপাত বজায় রাখা হয়েছিল কি না তাও জানতে চাওয়া হয় । এরপর স্কুল সার্ভিস কমিশনকে হলফনামা দিতে নির্দেশ দেন বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্য । তিনি জানান , পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষায় নিয়োগে স্থগিতাদেশ বজায় থাকবে । এই নির্দেশ খারিজের আবেদন জানিয়ে নিয়োগ পত্র পাওয়া চাকরি প্রার্থীরা পাল্টা মামলা করার আবেদন জানান । হাইকোর্ট মামলা করার অনুমতি দেয়নি ৷ আগের মামলাটিতেই পার্টি হিসাবে যুক্ত হওয়ার অনুমতি দেয় ।

প্রায় 2000 প্রার্থীকে নিয়োগ পত্র দিয়েছিল SSC । তার মধ্যে বেশিরভাগ প্রার্থীই শিক্ষক হিসাবে যোগ দিয়ে দিয়েছেন । মোট 800 জন নিয়োগ পত্র পাওয়ার পরেও যোগ দিতে পারেননি স্কুলে । গত 12 মার্চ তাঁরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন । হাইকোর্ট 8 মার্চ নির্দেশ দেয় , তাঁদের নিয়োগ পত্র বাতিল করতে পারবে না কমিশন ৷ পাশাপাশি 6 সপ্তাহের জন্য নিয়োগের স্থগিতাদেশ দেয় আদালত । এই চাকরি প্রার্থীরা আবার বিচারপতি সম্বুদ্ধ চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানান ৷ কিন্তু ডিভিশন বেঞ্চ আবেদনটি খারিজ করে দেয় । মূল মামলাটি মৌসুমি ভট্টাচার্যর সিংগল বেঞ্চেই শুনানি চলছে ।

এরপর একাধিক বার শুনানি হয়েছে এই মামলার । পাশাপাশি নিয়োগের উপর স্থগিতাদেশও বহাল ছিল । আজ স্থগিতাদেশ তুলে নেয় আদালত ৷

কলকাতা, 1 নভেম্বর : কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষার শিক্ষক নিয়োগে স্থগিতাদেশ তুলে নিল কলকাতা হাইকোর্ট ৷ আজ বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্য এই নির্দেশ দেন ৷ 18 নভেম্বরের মধ্যে সমস্ত তথ্য সহ প্রকাশ করতে হবে মেধা তালিকা । 13 ডিসেম্বরের পর নিয়োগপত্র পাঠাতে পারবে স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC) । কোনও প্রার্থীর অভিযোগ থাকলে তিনি স্কুল সার্ভিস কমিশনকে জানাতে পারবেন । এই ব্যাপারে আজ হাইকোর্ট বলে , "এই স্থগিতাদেশের ফলে কোনও পক্ষই লাভবান হচ্ছে না । তাই এই পদক্ষেপ করা হচ্ছে ।"

এই বছরের 19 ফেব্রুয়ারি কলকাতা হাইকোর্টে স্কুল সার্ভিস কমিশনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন শর্মিলা মণ্ডল ৷ ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীদের পক্ষে তিনি মামলা করেছিলেন ৷ 2016 সালে কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষার শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় মেধা তালিকা প্রকাশিত হয়েছিল কি না সেই বিষয় জানতে চেয়েছিলেন তিনি ৷ এছাড়াও ইন্টারভিউ তালিকায় 1 : 1.4 অনুপাত বজায় রাখা হয়েছিল কি না তাও জানতে চাওয়া হয় । এরপর স্কুল সার্ভিস কমিশনকে হলফনামা দিতে নির্দেশ দেন বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্য । তিনি জানান , পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষায় নিয়োগে স্থগিতাদেশ বজায় থাকবে । এই নির্দেশ খারিজের আবেদন জানিয়ে নিয়োগ পত্র পাওয়া চাকরি প্রার্থীরা পাল্টা মামলা করার আবেদন জানান । হাইকোর্ট মামলা করার অনুমতি দেয়নি ৷ আগের মামলাটিতেই পার্টি হিসাবে যুক্ত হওয়ার অনুমতি দেয় ।

প্রায় 2000 প্রার্থীকে নিয়োগ পত্র দিয়েছিল SSC । তার মধ্যে বেশিরভাগ প্রার্থীই শিক্ষক হিসাবে যোগ দিয়ে দিয়েছেন । মোট 800 জন নিয়োগ পত্র পাওয়ার পরেও যোগ দিতে পারেননি স্কুলে । গত 12 মার্চ তাঁরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন । হাইকোর্ট 8 মার্চ নির্দেশ দেয় , তাঁদের নিয়োগ পত্র বাতিল করতে পারবে না কমিশন ৷ পাশাপাশি 6 সপ্তাহের জন্য নিয়োগের স্থগিতাদেশ দেয় আদালত । এই চাকরি প্রার্থীরা আবার বিচারপতি সম্বুদ্ধ চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানান ৷ কিন্তু ডিভিশন বেঞ্চ আবেদনটি খারিজ করে দেয় । মূল মামলাটি মৌসুমি ভট্টাচার্যর সিংগল বেঞ্চেই শুনানি চলছে ।

এরপর একাধিক বার শুনানি হয়েছে এই মামলার । পাশাপাশি নিয়োগের উপর স্থগিতাদেশও বহাল ছিল । আজ স্থগিতাদেশ তুলে নেয় আদালত ৷

Intro:কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষায় নিয়োগের উপর স্থগিতাদেশ তুলে নিলো হাইকোর্ট Body:
মানস নস্কর

কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষায় নিয়োগের উপর থেকে স্থগিতাদেশ তুলে নিলো হাইকোর্ট

কলকাতা ১ নভেম্বর ঃ
কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষায় নিয়োগের উপর যে স্থগিতাদেশ ছিল তা তুলে নিলো কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য এই নির্দেশ দিয়েছেন। ১৮ নভেম্বরের মধ্যে প্রকাশ করতে বলা হয়েছে মেরিট লিস্ট। সমস্ত ডিটেল সহ প্রকাশ করতে হবে মেরিট লিস্ট।১৩ ডিসেম্বরের পর নিয়োগপত্র দিতে পারবে কমিশন। তার মধ্যে যদি কোনো প্রার্থী কিছু অভিযোগ থাকে তা তিনি জানাতে পারবেন সার্ভিস কমিশনকে।


মুলত চলতি বছরের গত ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬সালের কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষার শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় মেরিট লিস্ট আদৌ পাবলিশ করা হয়েছিল কিনা, ইন্টারভিউ লিস্টে ১ঃ১.৪রেশিও মেনে চলা হয়েছিল কিনা।পাশাপাশি ক্যাটেগরি কি ভাবে মেনটেন করা হয়েছে (মেল- ফিমেল) ও সংরক্ষণের নীতি, এই সমস্ত বিষয়কে চ্যলেঞ্জ জানিয়ে মামলা দায়ের করে ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীদের তরফে শর্মিলা মণ্ডল। তাতে হাইকোর্ট স্কুল সার্ভিস কমিশনকে হলফনাম দিতে নির্দেশ দেয় বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য। এবং পরবর্তী অর্ডার না দেওয়া পর্যন্ত কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষায় নিয়োগের উপর স্থগিতাদেশ বজায় থাকবে বলে নির্দেশ দেন তিনি।এরপর এই নির্দেশ খারিজের আবেদন জানিয়ে পাল্টা মামলা করার আবেদন জানায় ইতিমধ্যেই রেকমেন্ডেশন পাওয়া চাকরিপ্রার্থীরা।কিন্ত হাইকোর্ট মামলা করার অনুমতি না দিয়ে এদেরকে পার্টি হিসাবে যুক্ত হওয়ার অনুমতি দেয়।

মোট ২০০০মত প্রার্থীকে রেকমেন্ডেশন লেটার দিয়েছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। তার মধ্যে বেশিরভাগ প্রার্থীই শিক্ষক হিসাবে যোগ দিয়ে দিয়েছেন ।নিয়োগ প্রক্রিয়া চলাকালীন কিছু প্রার্থীর দায়ের করা মামলায় নিয়োগের উপর স্থগিতাদেশ দেয় হাইকোর্ট।কিন্ত কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষায় মোট ৮০০জন রেকমেন্ডেশন লেটার পাওয়ার পরও যোগ দিতে পারেননি স্কুলে।গত ১২ মার্চ তারা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তারা আবেদন জানিয়েছিলেন যে মামলাটি হাইকোর্টে শুনানি চলছে সেই মামলায় যোগ দিতে।তাদের আবেদন মেনে ও নেয় হাইকোর্ট।তাদের রেকমেন্ডেশন লেটার ইনভ্যালিড করতে পারবে না কমিশন বলে ৮ মার্চ একটা নির্দেশ দেয়।পাশাপাশি ৬ সপ্তাহের জন্য নিয়োগের উপর স্থগিতাদেশ দেয় কোর্ট।এরপর এই চাকরিপ্রার্থী রা আবার বিচারপতি সম্বুদ্ধ চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানান সিংগল বেঞ্চের স্থগিতাদেশের নির্দেশ খারিজের আবেদন জানিয়ে।কিন্ত ডিভিশন বেঞ্চ মামলাটি খারিজ করে
দেন। মুল মামলাটি মৌসুমি ভট্টাচার্যর সিংগল বেঞ্চেই শুনানি চলছে।

এরপর একাধিক বার শুনানি হয়েছে এই মামলার। পাশাপাশি নিয়োগের উপর স্থগিতাদেশও বহাল ছিলো। এই ব্যাপারে আজ হাইকোর্টের অভিমত," এই স্থগিতাদেশের ফলে কোনো পক্ষই লাভবান হচ্ছে না। "তাই নিয়োগের উপর থেকে স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়া হচ্ছে।Conclusion:
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.