কলকাতা 16 মার্চ : আদালত বারবার নির্দেশ দেওয়া সত্বেও কেন পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমার থানা এলাকায় ইলেকট্রিক চুল্লি নির্মাণে তৎপরতা নেই জেলাশাসকের, তা নিয়ে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ প্রধান বিচারপতি। ক্ষুব্ধ প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, "সংবিধানে যে ফর দ্য পিপল শব্দটি রয়েছে এই সমস্ত অফিসাররা সে কথা ভুলে গেছে । কত টাকা লাগবে? আমি টাকা ধার দেবো । না হলে সাধারণ মানুষের থেকে চাঁদা তুলুন দেখবেন তারা টাকা দিয়ে দেবে।" আগামী শুক্রবার এ ব্যাপারে জেলা শাসককে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। না হলে জেলাশাসকের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের।
আরও পড়ুন- প্রার্থী নিয়ে বাড়ছে ক্ষোভ, রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে রাতভর বৈঠক শাহর
সমস্য়া তৈরি হয়েছে একটি শ্মশান তৈরি করা নিয়ে ৷ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দকুমার থানার হাটগাছিয়া গ্রামে কোন শ্মশান না থাকায় খোলা জায়গায় রাস্তার ধারে শবদাহ করছেন গ্রামবাসীরা। এর বিরুদ্ধে গ্রামে একটি পাকা ইলেকট্রিক চুল্লির দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা করেন লক্ষ্মীকান্ত লগর নামে এক ব্যক্তি। সেই মামলায় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ একাধিকবার গ্রামে একটি পাকা চুল্লি নির্মাণের নির্দেশ দেন। কিন্তু জেলা প্রশাসন দিনের পর দিন গাফিলতি করায় অত্যন্ত ক্ষুব্ধ প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
আদালতে রাজ্যে জানিয়েছে, "হাইকোর্টের নির্দেশ মত জেলাশাসক এই ব্যাপারে ইতিমধ্যেই উদ্যোগ নিয়েছেন। এক কোটি টাকার বেশি খরচ হবে এই কাজে। ইঞ্জিনিয়ার ইতিমধ্যেই 74 লাখ টাকার একটি হিসাব দিয়েছেন। সেই টাকা আগামী অর্থ বছরে অনুমোদন পাওয়া যাবে।" তখন ক্ষুব্ধ প্রধান বিচারপতি বলেন, "আপনাদের একজন হিটলার প্রয়োজন ৷ তাহলে নির্দেশ ঠিকঠাক পালন করবেন আপনারা। পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা শাসকের রিপোর্ট আমরা পড়েছি অত্যন্ত ধৈর্যের সঙ্গে কিন্তু এটা অত্যন্ত লজ্জার ব্যাপার যে ভারতীয় সংবিধানের মর্যাদা প্রতিনিয়ত ক্ষুন্ন করা হচ্ছে, বলা হচ্ছে জেলাশাসক এখন নির্বাচনের কাজে ব্যস্ত। মৃত মানুষদের একটু অন্তত সম্মান দিন আপনারা।"
আগামী শুক্রবার ফের মামলাটির শুনানি রয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে।