কলকাতা, 28 জুন : জামাত-উল মুজাহিদিনের আমের সালাউদ্দিন কোথায়, খোঁজ নেই কারও কাছে । তবে বোমারু মিজ়ান ওরফে কওসর গ্রেপ্তার হওয়ার পর তাদের ইন্ডিয়া চ্যাপ্টার জামাত-উল মুজাহিদিন ইন্ডিয়া বা জামাত-উল মুজাহিদিন হিন্দের অস্থায়ী প্রধান বা আমের হিসেবে কাজ করছিল হাবিবুর রহমান । সেই চালাচ্ছিল সংগঠনের কাজ । বিস্ফোরক তথ্য পেয়েছে NIA ।
শুধু সংগঠন চালানোই নয়, বোমারু মিজ়ানের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হাবিবুর বিস্ফোরক বানাতেও ছিল ওস্তাদ । মিজ়ানের কাছেই সে পেয়েছিল প্রশিক্ষণ । মিজ়ানের অনুপস্থিতিতে জঙ্গিদের বোমা বানানোর প্রশিক্ষণ দিচ্ছিল হাবিবুর ।
NIA সূত্রের খবর, মিজ়ানের সঙ্গে হাবিবুরের পারিবারিক সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল । মিজ়ানের অত্যন্ত বিশ্বস্ত হয়ে উঠেছিল সে । এমন কী তার কথাতেই মুর্শিদাবাদে কওসরের শ্যালিকাকে নিকাহ করেছে হাবিবুর । কওসর গ্রেপ্তার হওয়ার পর একটু একটু করে জামাতুল মুজাহিদিন ইন্ডিয়ার সংগঠন নিজের হাতে তুলে নেয় সে ।
মিজ়ানের সঙ্গে বেঙ্গালুরুতে থাকার সময় রাজমিস্ত্রির কাজ করত হাবিবুর । সূত্র জানাচ্ছে, কওসরের গ্রেপ্তারের খবর পেয়েই কেরালা, তামিলনাড়ু এবং তেলাঙ্গানায় আত্মগোপন করেছিল । তারপর সুযোগ বুঝে আসে কলকাতায় । সেখান থেকে সীমান্ত পেরিয়ে চলে যায় বাংলাদেশ । সূত্রের খবর, সেখানে কওসরের পরিবারের সঙ্গেও দেখা করে । জামাতুল মুজাহিদিনের চিফ সালাউদ্দিনের নির্দেশে তাকে আত্মগোপন করতে সাহায্য করে জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের অন্য জঙ্গিরা । পরে ভারতের তদন্তকারীদের ধরপাকড় কিছুটা স্তিমিত দেখে ফের বেঙ্গালুরুতে ফেরে । শুরু করে সংগঠনের জাল বিস্তারের কাজকর্ম । সঙ্গে বিস্ফোরক বানানোর প্রশিক্ষণও ।
তবে, শেষরক্ষা হয়নি । অবশেষে বেঙ্গালুরু থেকে গ্রেপ্তার হয় মিজ়ান ঘনিষ্ঠ জঙ্গি হাবিবুর ।