কলকাতা, 18 মে: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা আওড়ে দুই দেশের মজবুত সম্পর্কের কথা বললেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস ও হো চি মিন-এর 133তম জন্মবার্ষিকীতে ভারতীয় জাদুঘরে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়। সেই অনুষ্ঠানে গিয়েই ইন্দো-ভিয়েতনাম সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুললেন রাজ্যপাল ৷
ভারত সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রকের সহযোগিতায় ভারত-ভিয়েতনাম সলিডারিটি কমিটি 'ভিয়েতনামে ভারতীয় সংস্কৃতির ছাপ'-এর উপর একটি চিত্র প্রদর্শনী এবং সেমিনারের আয়োজন করে। ছবি গ্যালারির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ৷ ছিলেন ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত নাগুয়ান থানয় হান। সেমিনারে ভারত-ভিয়েতনামের সম্পর্কের বর্তমান এবং আগের সম্পর্কের কথা বলেন রাষ্ট্রদূত নাগুয়ান থানয় হান। রাজ্যে বহুল প্রচলিত 'তোমার নাম আমার নাম ভিয়েতনাম, ভিয়েতনাম' স্লোগানে কলকাতার প্রতি তার ভালোবাসার কথা জানান। সেই সঙ্গে, এই 'তোমার নাম আমার নাম ভিয়েতনাম, ভিয়েতনাম' স্লোগানের মাধ্যমে ভারতীয় তথা বাঙালিরা ভিয়েতনামের দীর্ঘ ইতিহাস বহন করে চলেছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
থানয় হান বলেন, "আমাদের সম্পর্ক আমাদের ইতিহাসের গভীরে প্রোথিত। চাম এবং বৌদ্ধ সংস্কৃতি ঐতিহাসিক সময় থেকে আমাদের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক আন্তঃসম্পর্কের সাক্ষ্য বহন করে। আধুনিক যুগে, পারস্পরিক কূটনৈতিক সহযোগিতা, আদান-প্রদান এবং জনগণের মধ্যে সম্পর্কের মাধ্যমে আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নীতিগুলি আজও কৌশলগত অংশীদারিত্ব এবং জনগণের মধ্যে বিনিময়, তাদের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক সহযোগিতার উপর ভিত্তি করে। এই গভীর বন্ধুত্ব আমাদের উভয় সরকারই লালন-পালন করছে এবং প্রচার করছে এবং অনেক কৌশলগত প্রতিশ্রুতি এবং জনগণের কূটনীতির মাধ্যমে শক্তিশালী সম্পর্কের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।"
রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও ভারত ও ভিয়েতনামের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়ে কথা বলেন। রবিঠাকুরের 'চিত্ত যেথা ভয়শূন্য উচ্চ যেথা শির' আওড়ে দুই দেশের মধ্যে গভীর বন্ধুত্বর কথা বলেন। তিনি বলেন, "দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বর যে দৃঢ় ভিত্তি আধুনিক সময়ে আছে, তা হো চি মিন এবং জওহরলাল নেহরু দ্বারা স্থাপিত হয়েছিল। কিছু মূল্যবোধ, পারস্পরিক বোঝাপড়া, শ্রদ্ধা এবং আবেগের উপর ভিত্তি করে। নেহেরু থেকে মোদি পর্যন্ত, ভারতে দলগত রাজনীতি নির্বিশেষে, সরকার এবং ভারতের জনগণ সবসময় দুই দেশের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ককে সক্রিয়ভাবে সমর্থন করেছে। ভারত ও ভিয়েতনামের মধ্যে পূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক।" এই সম্পর্ক 7 জানুয়ারী 1972 সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রীর সফরের সময় 'কৌশলগত অংশীদারিত্ব'-এর স্তরে উন্নীত হয়েছিল বলেও জানান রাজ্যপাল। এদিন তিনি জানান, 2007 সালের জুলাই মাসে মিস্টার গুয়েন তান ডুং ভারতে আসেন। প্রধানমন্ত্রী এইচই-এর সফরের সময় এটিকে 'বিস্তৃত কৌশলগত অংশীদারিত্ব'-এর পর্যায়ে উন্নীত করেছেন 2016 সালের সেপ্টেম্বরে। এই সম্পর্ক আরও মজবুত করতে দুই দেশকে সব ধরণের পদক্ষেপ নিতে হবে বলেও মনে করেন রাজ্যপাল।
আরও পড়ুন: 28 মে সেন্ট্রাল ভিস্তার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি