ETV Bharat / state

মাইক্রোসফ্টের সঙ্গে প্রতারণার জাল গভীরে, গ্রেপ্তার 7 - জোয়েব তালাত, খালিদ সুলতান এবং সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়

মাইক্রোসফ্টের নামে চলত প্রতারণা ৷ দুটি সংস্থা নামী এই সংস্থার নাম ভাঁড়িয়ে চালাত তাদের কাজ ৷ বিষয়টি বুঝতে পারে মাইক্রোসফ্টের ভারতীয় শাখা । অভিযোগ দায়ের হয় কলকাতা পুলিশের সাইবার অপরাধদমন থানায় । তল্লাশি চালিয়ে মোট সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ৷

ছবি
author img

By

Published : Oct 19, 2019, 12:01 AM IST

Updated : Oct 19, 2019, 2:42 AM IST

কলকাতা, 19 অক্টোবর : দেওয়া হবে টেকনিক্যাল সাপোর্ট । কলকাতা থেকে ফোন যেত মার্কিন মুলুকে । বলা হত এই সহায়তা না কি দিচ্ছে মাইক্রোসফ্টের মতো বড় কম্পানি । আর সেই নাম নিয়েই চলত প্রতারণা । বিষয়টি বুঝতে পারে প্রকৃত সংস্থার ভারতীয় শাখা । সেই মতো তারা অভিযোগ দায়ের করে লালবাজারের সাইবার অপরাধ দমন থানায় । ঘটনায় প্রাথমিকভাবে উঠে আসে একটি সংস্থার নাম । গ্রেপ্তার করা হয়েছে ওই সংস্থার তিনজনকে । পরে খোঁজ পাওয়া যায় আরও একটি সংস্থার । সেখানে তল্লাশি চালিয়ে মোট সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ৷

দিল্লিবাসী ভূন্দর সিং বিন্দ্রা সম্প্রতি অভিযোগ দায়ের করেন কলকাতা পুলিশের সাইবার অপরাধদমন থানায় । তিনি মাইক্রোসফ্ট কর্পোরেশন ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেডের হয়ে আইনি বিষয়টি দেখাশোনা করেন । দিল্লির বারাখাম্বা রোডে তাঁর অফিস রয়েছে । অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে পুলিশ । প্রথমে তল্লাশি চালানো হয় তপসিয়ার উইজার্ড হাউজ়ে । সেখানে চলছিল একটি বেআইনি কল সেন্টার । কর্মীরা নিজেদের মাইক্রোসফ্ট টেকনিক্যাল এক্সপার্ট পরিচয় দিয়ে মূলত USA-র নাগরিকদের ঠকাচ্ছিল । ঘটনায় উইজার্ট ই-মার্কেটিংয়ের মালিক সিদ্ধার্থ বানথিয়াকে গ্রেপ্তার করে লালবাজার । পরে ইশফাক আহমেদ এবং রিজ়ওয়ান আলি নামে আরও দু'জনকে গ্রেপ্তার করা হয় । এরপর খোঁজ পাওয়া যায় দ্বিতীয় কম্পানিটির ।

গোয়েন্দা সূত্রে খবর, রফি আহমেদ কিদওয়াই রোডে একটি বেসরকারি সংস্থাএই কাজ করছিল । বাটা মোড়ের কাছে সেই অফিসেও চালানো হয় তল্লাশি । দেখা যায় এই কল সেন্টারটিও বেআইনি । এখানেও কলাররা নিজেদের মাইক্রোসফটের প্রযুক্তিগত সহায়ক দলের সদস্য হিসেবে পরিচয় দিয়ে চালাত প্রতারণা । ঘটনাস্থান থেকে উদ্ধার করা হয় একটি ম্যাকবুক, একটি ল্যাপটপ, চারটে হার্ডডিস্ক, দুটো মোবাইল ফোন, ATM কার্ড এবং প্রচুর ডেটা ব্যাঙ্ক । সেখানে গ্রেপ্তার করা হয় মাসুদুর মহম্মদ, জো়য়েব তালাত, খালিদ সুলতান এবং সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়কে । এই চক্রে আরও কেউ জড়িত আছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ ।

কলকাতা, 19 অক্টোবর : দেওয়া হবে টেকনিক্যাল সাপোর্ট । কলকাতা থেকে ফোন যেত মার্কিন মুলুকে । বলা হত এই সহায়তা না কি দিচ্ছে মাইক্রোসফ্টের মতো বড় কম্পানি । আর সেই নাম নিয়েই চলত প্রতারণা । বিষয়টি বুঝতে পারে প্রকৃত সংস্থার ভারতীয় শাখা । সেই মতো তারা অভিযোগ দায়ের করে লালবাজারের সাইবার অপরাধ দমন থানায় । ঘটনায় প্রাথমিকভাবে উঠে আসে একটি সংস্থার নাম । গ্রেপ্তার করা হয়েছে ওই সংস্থার তিনজনকে । পরে খোঁজ পাওয়া যায় আরও একটি সংস্থার । সেখানে তল্লাশি চালিয়ে মোট সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ৷

দিল্লিবাসী ভূন্দর সিং বিন্দ্রা সম্প্রতি অভিযোগ দায়ের করেন কলকাতা পুলিশের সাইবার অপরাধদমন থানায় । তিনি মাইক্রোসফ্ট কর্পোরেশন ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেডের হয়ে আইনি বিষয়টি দেখাশোনা করেন । দিল্লির বারাখাম্বা রোডে তাঁর অফিস রয়েছে । অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে পুলিশ । প্রথমে তল্লাশি চালানো হয় তপসিয়ার উইজার্ড হাউজ়ে । সেখানে চলছিল একটি বেআইনি কল সেন্টার । কর্মীরা নিজেদের মাইক্রোসফ্ট টেকনিক্যাল এক্সপার্ট পরিচয় দিয়ে মূলত USA-র নাগরিকদের ঠকাচ্ছিল । ঘটনায় উইজার্ট ই-মার্কেটিংয়ের মালিক সিদ্ধার্থ বানথিয়াকে গ্রেপ্তার করে লালবাজার । পরে ইশফাক আহমেদ এবং রিজ়ওয়ান আলি নামে আরও দু'জনকে গ্রেপ্তার করা হয় । এরপর খোঁজ পাওয়া যায় দ্বিতীয় কম্পানিটির ।

গোয়েন্দা সূত্রে খবর, রফি আহমেদ কিদওয়াই রোডে একটি বেসরকারি সংস্থাএই কাজ করছিল । বাটা মোড়ের কাছে সেই অফিসেও চালানো হয় তল্লাশি । দেখা যায় এই কল সেন্টারটিও বেআইনি । এখানেও কলাররা নিজেদের মাইক্রোসফটের প্রযুক্তিগত সহায়ক দলের সদস্য হিসেবে পরিচয় দিয়ে চালাত প্রতারণা । ঘটনাস্থান থেকে উদ্ধার করা হয় একটি ম্যাকবুক, একটি ল্যাপটপ, চারটে হার্ডডিস্ক, দুটো মোবাইল ফোন, ATM কার্ড এবং প্রচুর ডেটা ব্যাঙ্ক । সেখানে গ্রেপ্তার করা হয় মাসুদুর মহম্মদ, জো়য়েব তালাত, খালিদ সুলতান এবং সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়কে । এই চক্রে আরও কেউ জড়িত আছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ ।

Intro:কলকাতা, 18 ডিসেম্বর: দেওয়া হবে টেকনিক্যাল সাপোর্ট। কলকাতা থেকে ফোন যেত মার্কিন মুলুকে। বলা হতো এই সাপোর্ট নাকি দিচ্ছে মাইক্রোসফটের মতো জগদ্বিখ্যাত কম্পানি। আর সেই নাম নিয়েই চলত প্রতারণা। বিষয়টি বুঝতে পারে কোম্পানির ভারতীয় শাখা। সেই মতো তারা অভিযোগ দায়ের করে লালবাজারের সাইবারক্রাইম থানায়। ঘটনায় প্রাথমিক ভাবে উঠে আসে একটি কোম্পানির নাম। গ্রেপ্তার করা হয় ওই কোম্পানির তিনজনকে। পরে খোঁজ পাওয়া যায় আরও একটি কোম্পানির। সেখানে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে চারজনকে। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, এই চক্রের জাল অনেক গভীরে।Body:লালবাজার সূত্রে খবর, দিল্লিবাসী ভূপিন্দর সিং বিন্দ্রা সম্প্রতি অভিযোগ দায়ের করেন কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম থানায়। তিনি মাইক্রোসফট কর্পোরেশন ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেডের হয়ে আইনি বিষয়টি দেখাশোনা করেন। দিল্লির বারাখাম্বা রোডে তার অফিস রয়েছে। তিনি অভিযোগ দায়ের করেন লালবাজারে। তার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে পুলিশ। প্রথমে তল্লাশি চালানো হয় তপসিয়ার উইজার্ড হাউসে। সেখানে চলছিল একটি বেআইনি কল সেন্টার। কর্মীরা নিজেদের মাইক্রোসফট টেকনিক্যাল এক্সপার্ট পরিচয় দিয়ে মূলত USAর নাগরিকদের ঠকাচ্ছিল। ঘটনায় উইজার্ট ই মার্কেটিংয়ের মালিক সিদ্ধার্থ বানথিয়াকে গ্রেপ্তার করে লালবাজার। ঘটনায় ইশফাক আহমেদ এবং রিজওয়ান আলি নামে আরো দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে খোঁজ পাওয়া যায় দ্বিতীয় কোম্পানিটির।
Conclusion:গোয়েন্দা সূত্রে খবর, রফি আহমেদ কিদওয়াই রোডে ভীষণ কল সার্ভিসেস প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি কোম্পানি একই কাজ করছিল। বাটা মোড়ের কাছে সেই অফিসটিও চালানো হয় তল্লাশি। দেখা যায় এই কল সেন্টারটিও বেআইনি। এখানেও কলাররা নিজেদের মাইক্রোসফট এর টেকনিক্যাল সাপোর্ট টিমের পরিচয় দিয়ে চালাত প্রতারণা। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয় একটি ম্যাকবুক, একটি ল্যাপটপ, চারটে হার্ডডিস্ক, দুটো মোবাইল ফোন, এটিএম কার্ড এবং প্রচুর ডাটা ব্যাংক। সেখানে গ্রেপ্তার করা হয় মাসুদুর মহম্মদ, জোয়েব তালাত, খালিদ সুলতান এবং সৌরভ ব্যানার্জিকে। এই চক্রে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
Last Updated : Oct 19, 2019, 2:42 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.