কলকাতা, 19 অক্টোবর : দেওয়া হবে টেকনিক্যাল সাপোর্ট । কলকাতা থেকে ফোন যেত মার্কিন মুলুকে । বলা হত এই সহায়তা না কি দিচ্ছে মাইক্রোসফ্টের মতো বড় কম্পানি । আর সেই নাম নিয়েই চলত প্রতারণা । বিষয়টি বুঝতে পারে প্রকৃত সংস্থার ভারতীয় শাখা । সেই মতো তারা অভিযোগ দায়ের করে লালবাজারের সাইবার অপরাধ দমন থানায় । ঘটনায় প্রাথমিকভাবে উঠে আসে একটি সংস্থার নাম । গ্রেপ্তার করা হয়েছে ওই সংস্থার তিনজনকে । পরে খোঁজ পাওয়া যায় আরও একটি সংস্থার । সেখানে তল্লাশি চালিয়ে মোট সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ৷
দিল্লিবাসী ভূন্দর সিং বিন্দ্রা সম্প্রতি অভিযোগ দায়ের করেন কলকাতা পুলিশের সাইবার অপরাধদমন থানায় । তিনি মাইক্রোসফ্ট কর্পোরেশন ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেডের হয়ে আইনি বিষয়টি দেখাশোনা করেন । দিল্লির বারাখাম্বা রোডে তাঁর অফিস রয়েছে । অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে পুলিশ । প্রথমে তল্লাশি চালানো হয় তপসিয়ার উইজার্ড হাউজ়ে । সেখানে চলছিল একটি বেআইনি কল সেন্টার । কর্মীরা নিজেদের মাইক্রোসফ্ট টেকনিক্যাল এক্সপার্ট পরিচয় দিয়ে মূলত USA-র নাগরিকদের ঠকাচ্ছিল । ঘটনায় উইজার্ট ই-মার্কেটিংয়ের মালিক সিদ্ধার্থ বানথিয়াকে গ্রেপ্তার করে লালবাজার । পরে ইশফাক আহমেদ এবং রিজ়ওয়ান আলি নামে আরও দু'জনকে গ্রেপ্তার করা হয় । এরপর খোঁজ পাওয়া যায় দ্বিতীয় কম্পানিটির ।
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, রফি আহমেদ কিদওয়াই রোডে একটি বেসরকারি সংস্থাএই কাজ করছিল । বাটা মোড়ের কাছে সেই অফিসেও চালানো হয় তল্লাশি । দেখা যায় এই কল সেন্টারটিও বেআইনি । এখানেও কলাররা নিজেদের মাইক্রোসফটের প্রযুক্তিগত সহায়ক দলের সদস্য হিসেবে পরিচয় দিয়ে চালাত প্রতারণা । ঘটনাস্থান থেকে উদ্ধার করা হয় একটি ম্যাকবুক, একটি ল্যাপটপ, চারটে হার্ডডিস্ক, দুটো মোবাইল ফোন, ATM কার্ড এবং প্রচুর ডেটা ব্যাঙ্ক । সেখানে গ্রেপ্তার করা হয় মাসুদুর মহম্মদ, জো়য়েব তালাত, খালিদ সুলতান এবং সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়কে । এই চক্রে আরও কেউ জড়িত আছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ ।