কলকাতা, 25 জুন : এবার নব্য JMB । বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন JMB-র কাউন্টার পার্ট । তাদের অস্তিত্বের প্রমাণ মিলল পশ্চিমবঙ্গে। ইসলামিক স্টেটের(IS) ভাবধারায় অনুপ্রাণিত নব্য JMB-র চার সন্দেহভাজন জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করা হল শিয়ালদা এবং হাওড়া স্টেশন চত্বর থেকে। জঙ্গি বিরোধী অভিযানে সাম্প্রতিককালে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের (STF) এটাই সবচেয়ে বড় সাফল্য ।
বুদ্ধগয়া বিস্ফোরণের পর পশ্চিমবঙ্গের জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (JMB) মডিউলের সন্ধান পায় স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। পরে জানা যায়, JMB নয়, তৈরি হয়ে গেছে তাদের ভারতীয় চ্যাপ্টার। জামাতুল মুজাহিদিন ইন্ডিয়া।
সম্প্রতি মোদির নেতৃত্বে NDA ফের ক্ষমতায় আসার পর কেন্দ্র স্বীকার করে নেয় জামাতুল মুজাহিদিন ইন্ডিয়ার অস্তিত্বের কথা। নিষিদ্ধ করা হয় ওই জঙ্গি সংগঠনকে। পাশাপাশি ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়ে দেয়, এদেশে শাখা বিস্তারের চেষ্টা করছে ইসলামিক স্টেট। দক্ষিণের কয়েকটি রাজ্য এবং পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, অসম তাদের টার্গেটে। তারপরই গতরাতে এবং আজ ভোরে IS ভাবধারায় অনুপ্রাণিত 4 নব্য JMB জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করল কলকাতা পুলিশ।
STF সূত্রে জানা গেছে, শিয়ালদা ও হাওড়া স্টেশন থেকে এই চারজনকে পাকড়াও করেছে কলকাতা পুলিশের STF। ধৃতদের নাম মহম্মদ জিয়াউর রহমান ওরফে মহসিন, মামুনুর রশিদ, মহম্মদ শাহিন আলম ওরফে আলামিন এবং রবিউল ইসলাম।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রথমে গতরাতে মহম্মদ জিয়াউর রহমান ও মামুনুর রশিদকে শিয়ালদা স্টেশনের পার্কিং এরিয়া থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারা দু'জনেই বাংলাদেশের নাগরিক। জিয়াউরের বাড়ি বাংলাদেশের চাঁপাই-নবাবগঞ্জ জেলার নিজামপুরে। আর মামুনুর রংপুর জেলার মমিনপুরের বাসিন্দা। তাদের জেরা করেই খোঁজ মেলে রবিউল ও আলামিনের। রবিউল বীরভূমের নয়াগ্রামের বাসিন্দা। আর আলামিন বাংলাদেশের নাগরিক। জানা যায়, ওই দু'জন-ও এই মুহূর্তে আছে কলকাতায়। তারপরই আজ ভোরে হাওড়া স্টেশন চত্বর থেকে রবিউল ও আলামিনকে পাকড়াও করে পুলিশ। ধৃতদের কাছ থেকে মোবাইল-সহ জেহাদ সংক্রান্ত প্রচুর নথি উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। মোবাইল ঘেঁটে প্রচুর ছবি ও ভিডিয়ো পাওয়া গেছে বলে খবর। সঙ্গে পাওয়া গেছে জেহাদি মতাদর্শের বহু বইয়ের PDF এবং লিফলেট।