কলকাতা, 12 এপ্রিল: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার জড়িয়ে গেল জাতীয়স্তরের এক রাজনীতিবিদের নাম ৷ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের সূত্রে এমন খবর মিলেছে ৷ ওই সূত্রের দাবি, নিয়োগ দুর্নীতি থেকে পাওয়া কালো টাকা সাদা করার জন্য বিএড কলেজ তৈরি করেছিলেন কুন্তল ঘোষ ৷ সেই কলেজের সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে লোকসভার প্রাক্তন মহিলা স্পিকারের নাম ৷ বিষয়টি আদালতে পেশ করা চার্জশিটেও জানিয়েছে ইডি ৷ সেখানে জানানো হয়েছে, হুগলির ধনেখালিতে ডিডি সিএল নামে ওই প্রাক্তন স্পিকারের যে ট্রাস্ট রয়েছে, সেখানেই রমরমিয়ে চলত কুন্তলের এই কলেজ ।
এখন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের কাছে সবথেকে বড় প্রশ্ন হল কুন্তল ঘোষ যুব তৃণমূল নেতা হয়ে কীভাবে কোটি কোটি টাকার সাম্রাজ্য গড়ে তুললেন ? তদন্তকারীদের অনুমান, এই ক্ষেত্রে রাজ্যে শিক্ষা দফতরের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা ছাড়াও যুক্ত থাকতে পারে রাজ্যের শীর্ষস্তরের প্রভাবশালীদের মধ্যে একাংশ ।
তদন্তকারীদের আরও অনুমান, লোকসভার প্রাক্তন মহিলা স্পিকারের যে ট্রাস্ট ছিল, সেই ট্রাস্টকে অন্ধকারে রেখে দুর্নীতির জাল বিস্তার করেছিল কুন্তল । সঙ্গে যুক্ত ছিল তাপস মণ্ডলও । লোকসভার প্রাক্তন মহিলা স্পিকারের সেই ট্রাস্টের আধিকারিকদের সঙ্গে এবার কথা বলতে চান ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা ।
তদন্তকারীদের অভিযোগ, সেই কলেজ থেকে মাসে মাসে 40 হাজার টাকা করে বেতন পেতেন কুন্তল ঘোষ । ইন্দ্রাণী দেবী ইনস্টিটিউট অফ এডুকেশন নামে এই কলেজটি 32 লক্ষ টাকায় তৈরি করেছিলেন হুগলির তৎকালীন যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ ।
এছাড়াও তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, পশ্চিম মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া এলাকায় 42 কোটি টাকা দিয়ে লিজ নিয়ে একটি হাসপাতাল কিনেছিলেন কুন্তল ঘোষ ও তাপস মণ্ডল । কুন্তল ঘোষ ও তাপস মণ্ডলকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করে একাধিক নতুন তথ্য সামনে আসতে পারে বলে দাবি করছেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটর গোয়েন্দারা । ইতিমধ্যেই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত অয়ন শীলকে জেরা করেও বিস্তারিত তথ্য সামনে এসেছে বলে দাবি করছেন ইডির গোয়েন্দারা ।
আরও পড়ুন: ডকুমেন্ট ভেরিফাই করতে চাকরিপ্রার্থী পিছু 4 লক্ষ টাকা নিতেন গোপাল, দাবি ইডি'র