কলকাতা, 9 মে : করোনা আবহে সব জায়গায় বন্ধ রাখা হয়েছে রবীন্দ্রজয়ন্তীর অনুষ্ঠান ৷ অন্যদিকে থমথমে শান্তিনিকেতনও ৷ প্রতি বছর নাচ গানে মেতে উঠত জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি ৷ তবে এবারের ছবিটা একদম অন্যরকম ৷ নিষিদ্ধ করা হয়েছে সাধারণের প্রবেশও ৷ আজ কবিগুরুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে সেখানে গিয়ে তাঁর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করেলেন রাজ্যের পুর নগর উন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
আক্ষেপ করে বললেন, " যখন খুব ছোট ছিলাম ,তখন দুটো তিনটে ইট দিয়ে বেদি করে রবীন্দ্র পুজো করতাম ৷ বাঙালি পরিবারে জন্ম নিয়েছিলাম বলেই হয়তো প্রথম থেকে রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন করাটা রক্তে ছিল ৷ তারপর থেকে রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন করি ৷ দিনটাকে উৎসবের ন্যায় উদযাপন করি ৷ এখন এমন পরিস্থিতি মানুষ মানুষকে দেখলে ছিটকে দূরে চলে যাচ্ছে ৷ রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন করতে পারছি না ৷ মনের মধ্যে সেই আনন্দ আসছে না ৷ তারপরও কবিগুরুকে শ্রদ্ধা জানাতে সকালবেলা দৌড়ে এলাম ৷ কারণ হৃদয় তো আর মানে না ৷ "
পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারকে আরও একবার একহাত নিলেন তিনি ৷ বললেন," কোভিড নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার রাজনীতি করছে। রাজ্যে যে পরিমাণে ভ্যাকসিনের প্রয়োজন রয়েছে তা এখনও পর্যন্ত যোগান দিয়ে উঠতে পারেনি কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় সরকার যে অপদার্থ, তা বারবার চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে । যখন ভ্যাকসিন নিয়ে সিরাম বা বায়োটেকের সঙ্গে কথা বলা উচিত ছিল তখন প্রধানমন্ত্রী থালা বাজিয়ে, প্রদীপ জ্বালিয়ে করোনা তাড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন। ওঁর জন্য আজ গোটা দেশটা শ্মশানে পরিণত হয়েছে ৷ "
আরও পড়ুন : ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ শুভেন্দুর
ফিরহাদের কথায় এদিন ফের উঠে এসেছে বহিরাগত প্রসঙ্গ ৷ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রসঙ্গ তুলে মোদি সরকারকে তুলোধনা করতেও ছাড়েননি তিনি ৷ বললেন, " মোদি সরকার চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে ৷ ভারতবর্ষের ডিজেল-পেট্রোলের দাম বৃদ্ধি থেকে, শস্যের দাম বৃদ্ধি , রাজ্য সরকারকে টিকা বেশি দামে দেওয়া সব কিছুর জন্য দায়ী গেরুয়া শিবির ৷ কেবলমাত্র পুঁজিবাদকে সমর্থন করতে গিয়ে পুরো দেশটাকে শেষ করে দিল ৷ প্রধানমন্ত্রী দেশের এই পরিস্থিতি বুঝতে পারছেন না। "