কলকাতা, 12 অগস্ট: অল্প বৃষ্টিতেই কলকাতা শহর জলমগ্ন হয়ে পড়ে । শহর লাগোয়া 17টি খালের নাব্যতা কমে যাওয়াতেই এই বিপত্তি বলে মনে করা হচ্ছে । শহর থেকে জমা জল ঠিকমতো সরানো যাচ্ছে না । এই খালগুলি সংস্কার না হলে শহর জল যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবে না । তাই এবার সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রের কাছে খাল সংস্কারের অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিলেন কলকাতা পৌরনিগমের মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম ।
কলকাতা পৌরনিগম এলাকার বিভিন্ন প্রান্তে পাম্পিং স্টেশন রয়েছে । এই পাম্পিং স্টেশনগুলি রাস্তার বিভিন্ন অংশ থেকে জমা জল তুলে শহর লাগোয়া এইসব খালগুলিতে ফেলে । কিন্তু খালগুলিতে নাব্যতা কমে যাওয়ায় খাল থেকে জল ঠিকমতো গঙ্গায় গিয়ে পড়ছে না । ফলে জল জমার সমস্যা থেকেও মুক্তি মিলছে না শহরবাসীর । এছাড়াও এই খালগুলির বহু অংশ জবর দখল হয়ে গিয়েছে । কল বন্ধ করে দোকান ঘর তৈরি করেছে দখলকারীরা । এরফলে জল যন্ত্রণা ক্রমশই বাড়ছে শহরে ।
নাগরিকদের এই দুর্ভোগ থেকে রেহাই দিতেই এবার খাল সংস্কারের জন্য সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রকে চিঠি দিলেন কলকাতা পৌরনিগমের মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম । শহরকে ঘিরে থাকা 17টি খালের গভীরতা বৃদ্ধি করতে দ্রুত হস্তক্ষেপের আর্জি জানিয়েছেন এই চিঠিতে । একটু ভারী বৃষ্টি হলে কলকাতায় জমা জল নিয়ে মানুষকে দুর্ভোগে পড়তে হয় ৷ তা নিয়েই গত 18 জুন নবান্নে মুখ্যসচিবের সঙ্গে খাল সংস্কারের বিষয় নিয়ে বৈঠক করেন তিনি । মুখ্যসচিব কলকাতা ও উত্তর 24 পরগনা, দক্ষিণ 24 পরগনার ছোট-বড় 30টি খালের সংকীর্ণ হয়ে যাওয়ার কারণ জানার নির্দেশ দিয়েছেন ।
আরও পড়ুন: শহরের দূষণ নিয়ন্ত্রণে পরিবেশবিদ নিয়োগের পরিকল্পনা কলকাতা পৌরনিগমের
এই চিঠিতে ফিরহাদ হাকিম উল্লেখ করেছেন, কলকাতার দক্ষিণে চড়িয়াল খাল, বেগোর খাল ও নিউ মনি খালের অবস্থা খারাপ । কলকাতার উত্তরে সুতি খাল ও ঘুনিগাছি খাল সহ বেশ কয়েকটি খালের অবস্থা শোচনীয় । দক্ষিণ কলকাতার ওয়েস্টার্ন খাল ও কেওড়াপুকুর ক্যানেল দুটি দিয়ে টালি নালায় মিশেছে । দ্রুত এই খালগুলি সংস্কার করে নাব্যতা বৃদ্ধি করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সেচমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছেন ফিরহাদ হাকিম ।