ETV Bharat / state

Abortion of Minor Pregnancy: 11 বছরের মেয়ে 24 সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা, গর্ভপাতের অনুমতি চেয়ে হাইকোর্টে পরিবার

Case in Calcutta High Court for Abortion of Minor Pregnancy: 11 বছরের নাবালিকা, পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী, শারীরিক নির্যাতনের জেরে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে ৷ পরিবার বিষয়টি জেনেছে অনেক পরে ৷ ফলে এখনই সে 24 সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা ৷ কলকাতা হাইকোর্টে গর্ভপাতের আবেদন জানিয়েছে পরিবার ৷

Calcutta High Court
কলকাতা হাইকোর্ট
author img

By

Published : Aug 16, 2023, 8:27 PM IST

Updated : Aug 16, 2023, 11:03 PM IST

কলকাতা, 16 অগস্ট: 11 বছরের মেয়ে 24 সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা । গর্ভপাত করানোর অনুমতি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে পরিবার । পঞ্চম শ্রেণীর ওই ছাত্রীর বাবা-মায়ের অজান্তেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে পরিবারের দাবি । কয়েকমাস শারীরিক ভাবে নির্যাতনের ফলে এই ঘটনা ঘটেছে বলে তারা দাবি করছে । মেয়েটির শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাকে হাসপাতালে ভরতি করলে চিকিৎসকরা জানতে পারেন মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা । তাঁরা পরামর্শও দেন মেয়েটির গর্ভপাত করানোর জন্য ৷ কিন্তু এর জন্য হাইকোর্টের অনুমতি প্রয়োজন । বাধ্য হয়ে পরিবার তাই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে ।

ভারতে আইন অনুযায়ী চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে কোনও 20 সপ্তাহ পর্যন্ত গর্ভপাত করানো যেতে পারে । বিশেষ কোনও রোগ বা জটিল শারীরিক পরিস্থিতিতে তা 24 সপ্তাহ পর্যন্ত বাড়ানো যায় । তার পরে গর্ভপাত করাতে হলে আদালতের অনুমতি প্রয়োজন । সেই কারণেই ওই নাবালিকার পরিবারকে আদালতের দ্বারস্থ হতে হয়েছে ৷ বুধবার এই মামলার শুনানিতে একাধারে অস্বস্তি ও বিস্ময় প্রকাশ করেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য ।

মেয়েটির পরিবারের আইনজীবী প্রতীক ধর আদালতে বলেন , "মেয়েটি শারীরিক নির্যাতনের স্বীকার । সে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চায় । এখন সন্তান জন্ম দেওয়ার মতো তার মানসিক পরিস্থিতি নেই । 24 সপ্তাহের পরে গর্ভপাতের নজির কম । কিন্তু নাবালিকার পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে আদালত যদি অনুমতি দেয় ভালো হয় ।"

তিনি আরও জানান, নাবালিকার পরিবারটি আর্থিক ভাবে অত্যন্ত দুর্বল । সদস্যদের শিক্ষাগত যোগ্যতাও তেমন নেই । আইন সম্পর্কে তাঁরা একেবারেই ওয়াকিবহাল নন । সেই কারণেই গণধর্ষণের ঘটনায় পুলিশে অভিযোগ জানাতেও দেরি করেছেন তাঁরা । গত মাসে রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের সাহায্যে পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাট থানায় এফআইআর দায়ের করা হয় । ওই নাবালিকা এখন একটি হোমে রয়েছে । সে মা হওয়ার মতো পরিস্থিতিতে নেই ।

আদালতে পরিবারের দাবি, মেয়েটি শারীরিক ও মানসিক ভাবে শক্ত নয় । একটি 11 বছরের মেয়ের পক্ষে সন্তানের ভার নেওয়া সম্ভব নয় । আদালতের পর্যবেক্ষণ, ওই নাবালিকা শারীরিক ভাবে সম্পূর্ণ নয় । মেডিক্যাল রিপোর্ট অনুয়ায়ী, মেয়েটির বয়স কম হওয়ায় গর্ভস্থ সন্তানের ওজন কম ও অন্য কিছু সমস্যা রয়েছে ।

আরও পড়ুন: খড়গপুর আইআইটি-র ছাত্রমৃত্যুতে সিটের সদস্য়দের পরিবর্তনের নির্দেশ হাইকোর্টের

এ দিন সকালে বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করে দ্রুত শুনানির আর্জি জানান আইনজীবীরা । বিচারপতি তা মঞ্জুর করেন এবং দুপুর 2টোয় শুনানি করা হবে জানান । বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য জানান, মেডিক্যাল টার্মিনেশন অফ প্রেগন্যান্সি আইনের (1971) 3 নম্বর ধারা অনুযায়ী 24 সপ্তাহ পরে গর্ভপাতের বিষয়ে বাধা রয়েছে । তার পরেও নাবালিকার ভবিষ্যৎ নিয়ে আদালত চিন্তিত । মাত্র 11 বছরের মেয়ে । পাশাপাশি তার পারিবারিক আর্থিক পরিস্থিতিও তেমন ভালো নয় । তাই আগামীকাল সকালেই এ বিষয়ে নির্দেশ দেওয়া হবে ।

কলকাতা, 16 অগস্ট: 11 বছরের মেয়ে 24 সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা । গর্ভপাত করানোর অনুমতি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে পরিবার । পঞ্চম শ্রেণীর ওই ছাত্রীর বাবা-মায়ের অজান্তেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে পরিবারের দাবি । কয়েকমাস শারীরিক ভাবে নির্যাতনের ফলে এই ঘটনা ঘটেছে বলে তারা দাবি করছে । মেয়েটির শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাকে হাসপাতালে ভরতি করলে চিকিৎসকরা জানতে পারেন মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা । তাঁরা পরামর্শও দেন মেয়েটির গর্ভপাত করানোর জন্য ৷ কিন্তু এর জন্য হাইকোর্টের অনুমতি প্রয়োজন । বাধ্য হয়ে পরিবার তাই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে ।

ভারতে আইন অনুযায়ী চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে কোনও 20 সপ্তাহ পর্যন্ত গর্ভপাত করানো যেতে পারে । বিশেষ কোনও রোগ বা জটিল শারীরিক পরিস্থিতিতে তা 24 সপ্তাহ পর্যন্ত বাড়ানো যায় । তার পরে গর্ভপাত করাতে হলে আদালতের অনুমতি প্রয়োজন । সেই কারণেই ওই নাবালিকার পরিবারকে আদালতের দ্বারস্থ হতে হয়েছে ৷ বুধবার এই মামলার শুনানিতে একাধারে অস্বস্তি ও বিস্ময় প্রকাশ করেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য ।

মেয়েটির পরিবারের আইনজীবী প্রতীক ধর আদালতে বলেন , "মেয়েটি শারীরিক নির্যাতনের স্বীকার । সে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চায় । এখন সন্তান জন্ম দেওয়ার মতো তার মানসিক পরিস্থিতি নেই । 24 সপ্তাহের পরে গর্ভপাতের নজির কম । কিন্তু নাবালিকার পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে আদালত যদি অনুমতি দেয় ভালো হয় ।"

তিনি আরও জানান, নাবালিকার পরিবারটি আর্থিক ভাবে অত্যন্ত দুর্বল । সদস্যদের শিক্ষাগত যোগ্যতাও তেমন নেই । আইন সম্পর্কে তাঁরা একেবারেই ওয়াকিবহাল নন । সেই কারণেই গণধর্ষণের ঘটনায় পুলিশে অভিযোগ জানাতেও দেরি করেছেন তাঁরা । গত মাসে রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের সাহায্যে পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাট থানায় এফআইআর দায়ের করা হয় । ওই নাবালিকা এখন একটি হোমে রয়েছে । সে মা হওয়ার মতো পরিস্থিতিতে নেই ।

আদালতে পরিবারের দাবি, মেয়েটি শারীরিক ও মানসিক ভাবে শক্ত নয় । একটি 11 বছরের মেয়ের পক্ষে সন্তানের ভার নেওয়া সম্ভব নয় । আদালতের পর্যবেক্ষণ, ওই নাবালিকা শারীরিক ভাবে সম্পূর্ণ নয় । মেডিক্যাল রিপোর্ট অনুয়ায়ী, মেয়েটির বয়স কম হওয়ায় গর্ভস্থ সন্তানের ওজন কম ও অন্য কিছু সমস্যা রয়েছে ।

আরও পড়ুন: খড়গপুর আইআইটি-র ছাত্রমৃত্যুতে সিটের সদস্য়দের পরিবর্তনের নির্দেশ হাইকোর্টের

এ দিন সকালে বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করে দ্রুত শুনানির আর্জি জানান আইনজীবীরা । বিচারপতি তা মঞ্জুর করেন এবং দুপুর 2টোয় শুনানি করা হবে জানান । বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য জানান, মেডিক্যাল টার্মিনেশন অফ প্রেগন্যান্সি আইনের (1971) 3 নম্বর ধারা অনুযায়ী 24 সপ্তাহ পরে গর্ভপাতের বিষয়ে বাধা রয়েছে । তার পরেও নাবালিকার ভবিষ্যৎ নিয়ে আদালত চিন্তিত । মাত্র 11 বছরের মেয়ে । পাশাপাশি তার পারিবারিক আর্থিক পরিস্থিতিও তেমন ভালো নয় । তাই আগামীকাল সকালেই এ বিষয়ে নির্দেশ দেওয়া হবে ।

Last Updated : Aug 16, 2023, 11:03 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.