কলকাতা, 5 মে: অনুব্রত মণ্ডলকে যখন দিল্লিতে নিয়ে যাচ্ছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা, তখন যাওয়ার পথে বর্ধমানের শক্তিগড়ের একটি খাবারের দোকানে বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতাকে দেখা গিয়েছিল দুই ব্যক্তির সঙ্গে গোপন বৈঠক করতে । এই দুই ব্যক্তি হলেন কৃপাময় ঘোষ এবং তুফান মিদ্দা । এঁরা দুজনেই অনুব্রত মণ্ডলের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ৷ এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছিল রাজ্যজুড়ে ৷ ইডি-র দাবি, সেই বৈঠক হয়েছিল অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের নির্দেশেই ৷
অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তরফ থেকে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে যে, শক্তিগড়ে সে দিনের গোপন বৈঠক সুকন্যা মণ্ডলের নির্দেশেই করেছিলেন অনুব্রত । ইতিমধ্যেই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের গোয়েন্দারা তুফান মিদ্দার সঙ্গে কথা বলেছেন এবং ইডির দাবি, তুফানের দেওয়া বয়ানের ভিত্তিতে তদন্ত প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে তারা ।
তুফান মিদ্দাকে জেরা করে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন যে, আসানসোল সংশোধনাগারের এক জেলরের কাছ থেকে তিনি জানতে পেরেছিলেন পুলিশের গাড়ি শক্তিগড়ে দাঁড়াবে । অনুব্রত মণ্ডল দিল্লি যাওয়ার আগে সুকন্যা মণ্ডল তুফান মিদ্দাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, যাতে তাঁর বাবা অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে তিনি শক্তিগড়ের খাবারের দোকানে গোপন বৈঠক সেরে নেন । এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটর নজরে রয়েছেন সে দিন দায়িত্বে থাকা বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মীও । কারণ গোটা বৈঠকটি হয়েছিল পুলিশের ঘেরাটাপের মধ্যে ।
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের অভিযোগ, গ্রেফতারের আগে এবং পরে অনুব্রত মণ্ডল তাঁদের সঙ্গে অসহযোগিতা করেছেন এবং অ্যারেস্ট মেমোতে সই করতেও তিনি প্রথম দিকে রাজি হননি । সম্প্রতি গরু পাচার কাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডলকে বীরভূম থেকে গ্রেফতার করে সিবিআই । এরপরে গোটা ঘটনার তদন্তে নামেন সিবিআই এবং এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের গোয়েন্দারা । গরু পাচারের টাকা কোথা থেকে কোন জায়গায় গিয়েছিল এবং গরু পাচারের কালো টাকা কীভাবে সাদা করার প্রক্রিয়া চালানো হত, এই সব বিষয়ে খোঁজখবর করতে শুরু করেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা ।
আরও পড়ুন: বাবা জেলে, মাতৃহারা সুকন্যাকে গ্রেফতারের কী খুব প্রয়োজন ছিল ? প্রশ্ন তুললেন কুণাল