কলকাতা, 17 মে : গণবণ্টন ব্যবস্থাকে আরও অভিযোগহীন করতে রাজ্যের খাদ্য ও সরবরাহ বিভাগ সমস্ত জেলায় রেশন দোকানে চালু করতে চলেছে ওজন পরিমাপক ইলেকট্রনিক যন্ত্রের ব্যবহার । ওজনে কারচুপি এড়াতে রাজ্যর প্রায় 21 হাজার রেশন দোকানে এই মেশিন বসানোর কাজ শুরু হয়েছে ৷ খাদ্য ও সরবরাহ বিভাগ চলতি বছরের জুনের মধ্যে সমস্ত রেশন দোকানে এই জাতীয় মেশিন সরবরাহ করার কাজ শেষ করবে বলে লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে ৷
এই প্রসঙ্গে, রাজ্য খাদ্য দফতরের এক আধিকারিক বলেন, "আমাদের একমাত্র লক্ষ্য সর্বদা রেশনিং ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনা । খাদ্যশস্যের বণ্টনের ক্ষেত্রে উপভোক্তারা যাতে প্রতারিত না হন তা নিশ্চিত করা ৷" রাজ্য খাদ্য দফতরের বণ্টন বা সরবরাহ বিভাগের অন্য এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ইলেক্ট্রনিক ওজনের স্কেলগুলি ই-পজ মেশিনের সঙ্গে সংযুক্ত করা হচ্ছে । ফলে খাদ্যশস্য বিতরণের প্রতিটি লেনদেনের সময় খাদ্য সরবরাহ বিভাগের কেন্দ্রীয় সার্ভারে তৎক্ষণাত ওই পণ্যের ওজন পাওয়া যাচ্ছে । তাই প্রতিটি লেনদেন, বিভাগের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন ৷
সম্প্রতি রাজ্য খাদ্য দফতর থেকে এক নির্দেশিকা জারি করে শহর কলকাতা-সহ বিভিন্ন জেলার শহর এলাকার রেশন দোকানগুলিতে এই যন্ত্র বসানোর জন্য কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে । নোডাল অফিসগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ই-পস মেশিনের সঙ্গে ওই ওজন যন্ত্র প্রতিস্থাপনের পাশাপাশি কোথাও কোনওরকম সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে কি না, বা যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা যাচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে । যান্ত্রিক ত্রুটির কোনও তথ্য পেলে তা সমাধানের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে ।
তবে শুধু ওজনে নজরদারির জন্যই এই মেশিন রেশন দোকানে স্থাপন করা হচ্ছে তা নয়, কর্মী হ্রাসের ক্ষেত্রেও যাতে কাজে কোনওরকম প্রভাব না পড়ে সে দিকটাও গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে । এক বিভাগীয় আধিকারিক বলেন,"সাম্প্রতিক অতীতে আমাদের অনেক পরিষেবা অনলাইনে করার কাজ শুরু হয়েছে । যা কেন্দ্রীয় অফিসে লোকবলের প্রয়োজনীয়তা হ্রাস করেছে । তাই, আমরা জেলা পর্যায়ে আরও কার্যকর ফিল্ড ওয়ার্কের জন্য আরও লোকবল মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি ৷”রাজ্যজুড়ে রেশন দোকানগুলিতে খাদ্যশস্য সরবরাহের জন্য উপভোক্তাদের রেটিনা স্ক্যানিংয়ের মাধ্যমে আধার প্রমাণীকরণের প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়েছে ইতিমধ্যেই ।
আরও পড়ুন: বিনা আধারেই মিলবে রেশন, সকলকে খাদ্যদ্রব্য পৌঁছতে উদ্যোগী রাজ্য