কলকাতা, 27 এপ্রিল: গত 3 বছর ধরে টিকা এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এক গুরুত্বপূর্ণ আলোচ্য বিষয় হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তবে এত কথা উঠলেও মানুষজন কতটা সচেতন? কোভিডের দু'টি ডোজ নেওয়া হলেও বহুমানুষের অনীহা দেখা গিয়েছিল বুস্টার নিতে। তাই ওয়ার্ল্ড ইমিউনাইজেশন উইকে দক্ষিণ কলকাতার এক নামজাদা বেসরকারি হাসপাতাল টিকাদান সপ্তাহ পালনের লক্ষ্য নিল। চলতি মাসের 24 থেকে 28 তারিখ পর্যন্ত পালিত হচ্ছে কর্মসূচি। এই কর্মসূচিতে হাসপাতালের প্রধান লক্ষ্য প্রাপ্তবয়স্কদের টিকাদান।
মূলত শিশুদের ক্ষেত্রে একটি সময়সীমা থাকে টিকা দেওয়ার। তবে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই তালিকা আবছা হয়ে যায় সকলের কাছেই। তাই প্রাপ্তবয়স্করাও যাতে শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে পারে সেই নিয়ে এক আলোচনা সভার আয়োজন করেছিল দক্ষিণ কলকাতার ওই বেসরকারি হাসপাতাল। ওই আলোচনাসভায় উপস্থিত ছিলেন চিকিৎসক সৌরভ কোলে, অর্কপ্রভ সরকার, দেবদত্তা হালদার-সহ আরও বেশ কিছুজন। চিকিৎসক দেবদত্তা হালদার জানান, এই কর্মসূচিতে প্রধান লক্ষ্য প্রাপ্তবয়স্ক। তার মধ্যেও গুরুত্বপূর্ণ হল মহিলারা।
অন্যদিকে, মহিলাদের বর্তমানে জরায়ু ক্যানসারের সমস্যা সব থেকে বেশি। তাই সেই টিকা নেওয়া অত্যন্ত দরকারি বলেই মনে করছেন চিকিৎসকরা। 9 থেকে 45 বছর পর্যন্ত সকলের জন্যই এই টিকা দেওয়া যায় বলেই জানিয়েছেন চিকিৎসক সৌরভ কোলে। তবে টিকা নিলে আদেও কি হার্ড ইমিউনিটি তৈরি হচ্ছে? এই বিষয় চিকিৎসক অর্কপ্রভ সরকার জানান, একজনের শারীরিক অবস্থার উপর নির্ভর করে তাঁর শরীরে কতটা হার্ড ইমিউনিটি তৈরি হচ্ছে সেটা দেখা যায়। টিকার ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে। যেমন কেউ যদি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হন তবে সেও নিউমোনিয়ার টিকা নিতে পারেন। তবে তাঁর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এক বছর। তাই চিকিৎসকদের মতে টিকার একটা ডোজ নেওয়ার পরেই তার নিয়ম মেনে পরবর্তী ডোজও নেওয়া দরকার।
আরও পড়ুন: মৃত্যুর পর এবার অসুস্থ এক পড়ুয়া, রুবেলার টিকা নিয়ে চাঞ্চল্য শিলিগুড়িতে