কলকাতা, 18 জানুয়ারি: উপনির্বাচনের প্রচারে গিয়ে ধূপগুড়িকে পৃথক মহাকুমা করার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তবে আইনি জটের কারণে তা শেষ পর্যন্ত বাস্তবায়িত হচ্ছিল না। অবশেষে সুখবর দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই। আইনি জট কাটিয়ে পৃথক মহাকুমার স্বীকৃতি পেল ধূপগুড়ি।
বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা উদ্বোধনের পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে অন্য একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ সেখানেই এই সুখবর জানিয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী এদিনও জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই তাঁর সঙ্গে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের এই বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে। প্রধান বিচারপতির সঙ্গে কথা হওয়ার পর তিনি আশা করছেন নতুন মহকুমা গঠনের ক্ষেত্রে আর কোনও বাধা থাকবে না।
প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক অতীতে নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্বের মধ্যেই ধূপগুড়ি মহকুমা গত ডিসেম্বর মাসের মধ্যে গঠন হওয়ার কথা ঘোষণা করার পরেও তা বাস্তবায়িত না-হওয়া নিয়ে ঘনিষ্ঠ মহলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও সে সময় এই নিয়ে প্রশাসন বা দলনেত্রীর তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য থেকে স্পষ্ট সরকারি কর্মচারীদের সঠিক সময়ে ধূপগুড়ি মহকুমা তৈরি করতে না-পারার পেছনে ছিল আইনি জট।
ধূপগুড়ি বিধানসভার উপনির্বাচনে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে জয়ের পিছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল এই মহকুমা তৈরির ঘোষণা। সময় বেঁধে দিয়ে মহকুমা তৈরির কথা বলেছিলেন অভিষেক। খুব স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যে কথা দিয়েছিলেন, সময় তা পূরণ করতে না-পারা লোকসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রে আবার দলের বিরুদ্ধে জনমত তৈরিতে সাহায্য না-করে ৷ সেই জায়গা থেকে এদিনের মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে যে ইঙ্গিত মিলেছে তাতে আপাতত ধূপগুড়ি মহকুমা নিয়ে যাবতীয় জট কেটে গেল।
আরও পড়ুন: