কলকাতা, 24 মার্চ: নাকতলায় শিক্ষামন্ত্রীর বাড়ির কাছে এসএসসি চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ ৷ ছড়াল উত্তেজনা । জোর করে টেনেহিঁচড়ে বিক্ষোভকারী চাকরিপ্রার্থীদের সরাল পুলিশ ৷ পুলিশের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ তুললেন বিক্ষোভকারীরা ।
গতকাল অতর্কিতে কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কাছে বিক্ষোভ দেখাতে পৌঁছে গেছিলেন স্কুল সার্ভিস কমিশনের নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের ওয়েটিং লিস্টে থাকা চাকরিপ্রার্থীরা । মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কাছে বিক্ষোভের পর আজ নাকতলায় শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ির কাছে বিক্ষোভ দেখাতে পৌঁছে গেছিলেন তাঁরা । এদিন বিকেল 4টে নাগাদ সেখান পৌঁছান তাঁরা । তবে, মেন রোড থেকে শিক্ষামন্ত্রীর বাড়ির রাস্তায় ঢোকার আগেই শক্তি সংঘ ক্লাবের মুখে তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ । পুলিশি বাঁধা পেয়ে সেখানেই রাস্তার মুখে অবস্থান শুরু করে দেন তাঁরা । চলে স্লোগান তুলে বিক্ষোভ । বিক্ষোভরত চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, নবম থেকে দ্বাদশের ওয়েটিং লিস্টে থাকা সকল প্রার্থীদের চাকরি সুনিশ্চিত করতে হবে । গতকাল বা আজ নয়, এর আগেও শিক্ষামন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কাছে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন তাঁরা । সল্টলেকে সেন্ট্রাল পার্কের পাঁচ নম্বর গেটের সামনে বহুদিন ধরেই চলছে অবস্থান-বিক্ষোভ । কিন্তু, দাবি না মেটায় মাঝে মাঝেই মুখ্যমন্ত্রী বা শিক্ষামন্ত্রীর বাড়ির কাছে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তাঁরা । প্রতিবারই পুলিশের বিরুদ্ধে বলপ্রয়োগ করে তাঁদের তোলার অভিযোগ উঠেছে । গতকাল মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কাছেও সেই চিত্র দেখা গিয়েছিল । এদিন আধ ঘণ্টা ধরে বিক্ষোভ চলার পরে পুলিশ এসে বিক্ষোভকারীদের আটক করে প্রিজন ভ্যানে করে তুলে নিয়ে যায় । সেইসময় ধস্তাধস্তি হয় পুলিশের সঙ্গে চাকরিপ্রার্থীদের । যাঁরা সহজে রাস্তা ছেড়ে উঠতে রাজি হচ্ছিলেন না তাঁদের টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যায় পুলিশ । চাকরিপ্রার্থীরা অভিযোগ, এর আগেও বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তাঁরা । এর আগেও পুলিশ তাঁদের তুলে দিয়েছে । কিন্তু, পুলিশের কাছে এই রকম দুর্ব্যবহার আর কোথাও পাননি তাঁরা । এদিন সন্ধে সাড়ে 7টাতেও থানায় আটক হয়ে ছিলেন প্রায় 40 জন চাকরিপ্রার্থী ।
এক চাকরিপ্রার্থী তৃণা হালদার বলেন, "আমাদের জামাকাপড় ছিঁড়ে দিয়েছে । একজনের পা কেটে গিয়ে রক্তারক্তি হয়েছে । আমাদের এখনও থানা থেকে ছাড়েনি । বসিয়ে রেখেছে । ঠিক করে বসার জায়গা দেয়নি, নোংরার মধ্যে রেখেছে । প্রচণ্ড দুর্ব্যবহার করেছে আমাদের সঙ্গে । আমরা রাস্তাও আটকায়নি আজ । রাস্তার ধারে বসেছিলাম । আধ ঘণ্টা পর পুলিশ আমাদের এসে তুলে দেয় । কিন্তু, তার আগেই দুর্ব্যবহার করতে শুরু করেছিল । আমরা মেয়েরা ছেলেদের আগলে গোল করে রেখেছিলাম । সেখানে থেকে মেয়েদের উপর দিয়ে ছেলেদের টানতে টানতে নিয়ে গেছে । আমাদের মেরেছে । মেয়ে পুলিশরা নখ দিয়ে আঁচড়ে দিয়েছে । এতো জায়গায় আমরা বিক্ষোভ দেখিয়েছি । এখানকার মতো ভায়োলেন্স আমরা কোথাও দেখিনি । একদম জঘন্য । এদের মধ্যে শিক্ষা-দীক্ষা কিছু নেই ।"