কলকাতা পুলিশ, 27 মার্চ : বৈদ্যুতিক ও কেবল লাইনের তারের জালেই অগ্নিকাণ্ডের মতো বিপদের শঙ্কা বাড়ছে মহানগরের বস্তিগুলিতে (electric and cable lines in kolkata slum increasing the risk of fire)। কলকাতা পৌরনিগমের বস্তি বিভাগও মনে করছে, শহরের বুকে বস্তি এলাকাগুলিতে অগ্নিকাণ্ডে দ্রুত আগুন ছড়াচ্ছে বস্তি জুড়ে যথেচ্ছ ভাবে ছড়িয়ে থাকা বিভিন্ন বৈদ্যুতিক তারের কারণেই ৷ এই তারের মধ্যে ইলেক্ট্রিক তারের পাশাপাশি কেবলের তারও রয়েছে ৷ এমন তথ্য মিলেছে লালবাজার সূত্রেও । পুলিশের এই তথ্য উড়িয়ে দিতে পারছেন না কলকাতা কর্পোরেশনের বস্তি বিভাগের মেয়র পারিষদ স্বপন সমাদ্দারও । বস্তি বিভাগের আধিকারিকরাও মানছেন বিষয়টি ৷
সূত্রের খবর, এই সমস্যা সমাধানে সমীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কলকাতা পৌরনিগম ৷ কিন্তু মাস গড়িয়ে গেলেও সমাধান কিছুই হয়নি । শুধু সাধারণ বস্তি নয় মডেল বস্তির তারের এই জালের অবস্থাও বিপজ্জনক । কলকাতা কর্পোরেশনের তথ্য বলছে, শহরের উত্তর, দক্ষিণ মিলিয়ে রয়েছে 3089টি বস্তি । উত্তর কলকাতায় রয়েছে 1419টি এবং দক্ষিণ কলকাতায় রয়েছে 1670টি । দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে শহরের বস্তি গুলির প্রায় 80 শতাংশের বিদ্যুতের তার বা কেবলগুলি বিপজ্জনক অবস্থায় রয়ে গিয়েছে। বিপদের আশঙ্কা নিয়েই বস্তিবাসী মানুষকে দিনের পর দিন কাটাতে হয় । সম্প্রতি কলকাতা পৌরনিগমের মাসিক অধিবেশন এবং বাজেট, দুই জায়গাতেই বস্তির এই অবস্থা এবং অগ্নিনির্বাপণ অব্যবস্থা নিয়ে সমীক্ষা করার কথা জানায় ।
আরও পড়ুন : আইআইটি খড়্গপুরে রাজ্যপালের হাতে সুপার কম্পিউটারের উদ্বোধন
এবিষয় কলকাতা পৌরনিগমের বস্তি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত মেয়র পারিষদ স্বপন সমাদ্দার বলেন, "বেশ কিছু জায়গায় বিদ্যুতের তারগুলো এমনভাবে রয়েছে যখন-তখন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে । তার জন্য আমরা বস্তি বিভাগ, কলকাতা পুলিশ, দমকল বিভাগকে সঙ্গে নিয়ে যৌথভাবে সমীক্ষা করব । যে তারগুলো এদিক-ওদিক ছড়িয়ে আছে সেগুলো একটা নিয়মমাফিক পথে আনা যায় কিনা সেই আমরা ইতিমধ্যে শুরু করেছি । গত বেশ কয়েক বছর ধরে কলকাতায় কয়েকটি বস্তিতে এই কাজ করেছি । এখন এই করোনার জন্য কিছু কাজ বন্ধ রেখেছিলাম । আগামী এপ্রিল মাসের শুরু থেকে আবার সমীক্ষার কাজ শুরু করব ।"
তিনি আরও বলেন, "এই তারগুলো কিন্তু সবই ব্যক্তিগত মালিকানার । সিইএসসি বা কেএমসির নয় । তাই এলাকার কাউন্সিলরদের স্থানীয় মানুষদের আরও সচেতন করতে হবে । তাঁরা সক্রিয়ভাবে সমস্ত তার একসঙ্গে তুলে নিলে আমরা বিকল্প পরিকাঠামো তৈরি করে দেব । কলকাতার অধিকাংশ মডেল বস্তির অবস্থাও প্রায় একই । সব তার বিদ্যুতের তার নয় । কেবলের তার আছে, প্রচুর ইন্টারনেটের তার আছে । এগুলো জরুরি পরিষেবা । যারা এই তার বসাচ্ছে তাদের সঙ্গে কথা বলতে হবে ৷ এতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকে যায় ৷"