কলকাতা, 28 মার্চ: শহিদ মিনারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের (Abhishek Banerjee) জনসভার বিরোধিতা করে আদালতের দারস্থ ডিএ নিয়ে আন্দোলনকারীরা (DA Agitators) ৷ আগামিকাল, 29 মার্চ অভিষেকের সভা রয়েছে শহিদ মিনারের পাদদেশে ৷ কিন্তু কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) কাছে আন্দোলনকারীদের আবেদন, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের সভা অন্যত্র করার নির্দেশ দিক আদালত ৷ বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার (Justice Rajasekhar Mantha) দৃষ্টি আকর্ষণ করে মামলা দায়ের করার আবেদন করা হয়েছে আন্দোলনকারীদের তরফে ।
প্রসঙ্গত, আদালতের অনুমতিতেই হাজার পাঁচেক ডিএ আন্দোলনকারী এখন শহিদ মিনারের নিচে ধরনায় বসে আছেন । সেখানে তৃণমূল 40-50 হাজার লোক নিয়ে সভা করলে একটা বড় গোলমালের আশঙ্কা রয়েছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে । মামলাকারী আইনজীবীর বক্তব্য, যেখানে ডিএ মঞ্চ রয়েছে, সেখানে এই সভা হলে সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে । তাই অন্যত্র সভার নির্দেশ দিক আদালত । মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি মান্থা । সব পক্ষকে নোটিস দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে আদালত । আজ দুপুর দু’টোয় শুনানি ।
উল্লেখ্য, শহিদ মিনারে আগামী 29 মার্চ ছাত্র-যুব সমাবেশের ডাক দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় । কিন্তু এই মুহূর্তে শহিদ মিনারের নিচে বকেয়া মহার্ঘ ভাতার দাবিতে আন্দোলন করছেন কয়েক হাজার সরকারি কর্মচারী । সেই জন্য তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে একদিনের জন্য ধরনা বন্ধ রাখার আর্জি জানানো হয়েছিল । কিন্তু ধরনা স্থগিত রাখা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা ।
অন্যদিকে ময়দান-সহ শহিদ মিনার এলাকা সেনাবাহিনীর জায়গা হওয়ার জন্য তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে সেনাবাহিনীর অনুমতি চাওয়া হয়েছে । সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে অনুমতি মিলেছে তাদের । কিন্তু যেখানে হাইকোর্টের নির্দেশেই শহিদ মিনারের নিচে লাগাতার ধরনা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছেন সরকারি কর্মচারীরা । প্রশ্ন উঠেছে, সেখানে কীভাবে অন্য একটি রাজনৈতিক দল তাদের রাজনৈতিক সমাবেশ করে ? আদালতের দ্বিতীয়ার্ধে বিচারপতি মান্থা মামলাটি শুনবেন বলে জানিয়েছেন ।
আরও পড়ুন: 44 দিন পর অনশন তুললেন সরকারি কর্মীরা, জারি থাকবে আন্দোলন