কলকাতা, ১১ মার্চ: 2018 সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Polls) হিংসার পুনরাবৃত্তি চাইছে না কংগ্রেস (Congress) । তারা আসন্ন 2023 এর পঞ্চায়েত ভোট সুষ্ঠু, সুশৃংখল ও শান্তিপূর্ণভাবে হোক ৷ তাই তারা মনে করে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজন রয়েছে । শনিবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের (Governor CV Ananda Bose) কাছে এই দরবার করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury) । কারণ, রাজ্যের পুলিশ ও প্রশাসনের উপর কোনোরকম আস্থা নেই কংগ্রেসের ৷
তবে সুষ্ঠুভাবে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে রাজ্য প্রশাসন সক্ষম নয়, এটাও অধীররা বলতে চাইছেন না । বরং ঘুরিয়ে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের (Trinamool Congress) বিরুদ্ধে প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে শান্তিপূর্ণ ভোটের বিশৃঙ্খলা ও বিরোধীদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগে বাধাদানের অভিযোগ তোলা হচ্ছে । 2013 সালের ভোটের সময় নির্বাচনের কমিশনের দায়িত্বে থাকা মীরা পাণ্ডের উদাহরণ টানছে কংগ্রেস ৷ তাদের বক্তব্য, একই রকমভাবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন চাইলে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে সক্ষম ৷
শনিবার রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করার পর অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, "আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ করতে রাজ্যপালের কাছে কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইলাম । কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে সুষ্ঠু অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করানো যায়, তা সাগরদিঘি উপনির্বাচনে প্রমাণিত ।’’ তাই পঞ্চায়েতেও কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরদারিতে ভোটের দাবি তুলেছেন তিনি ৷ বলেছেন, ‘‘কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকলে রাজ্যের শাসক দল বেশি উশৃঙ্খলতা বা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন ভণ্ডুল করতে পারবে না ।"
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে অধীর বলেন, "যদি কেন্দ্রীয় বাহিনী পঞ্চায়েত নির্বাচনে না আসে, তবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কোর্ট পেপারে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করার কথা দিতে হবে । কারণ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখের কথায় আমরা বিশ্বাসী নই । তিনি যদি হাইকোর্টের কোর্ট পেপারে লিখে দেন আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণভাবে হবে, তা আমরা মানতে বাধ্য । পুরোপুরি অবৈধ শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে এ কথা মেনে নিতে পারবো না ৷ কিছুটা হলেও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্ভব হবে ।"
উল্লেখ্য, রাজ্যপালের দ্বারস্থ হওয়ার আগেই কলকাতা হাইকোর্টে পঞ্চায়েত নির্বাচনের কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে মামলা করেছে প্রদেশ কংগ্রেস ।
আরও পড়ুন: মমতাকেও যে হারানো যায় দেখিয়ে দিল সাগরদিঘি, তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি অধীরের