ETV Bharat / state

ইস্তফাপত্র গ্রহণ করল না AICC, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেনই - politics

লোকসভা ভোটে দলের শোচনীয় ফলের দায় স্বীকার করে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ সোমেন মিত্রর । তবে, সেই পদত্যাগ গ্রহণ করেনি AICC ।

ইস্তফা সোমেন মিত্রের
author img

By

Published : Jul 9, 2019, 1:01 PM IST

Updated : Jul 9, 2019, 3:51 PM IST

কলকাতা, 9 জুলাই : দলের এক সন্ধিক্ষণে তাঁর উপর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল । চ্যালেঞ্জ ছিল লোকসভা ভোটে প্রায় ডুবতে বসা প্রদেশ কংগ্রেসকে তুলে ধরা । চ্যালেঞ্জও নিয়েছিলেন । কিন্তু শেষ অবধি সফল হননি । লোকসভা ভোটে দলের শোচনীয় ফলের দায় স্বীকার করে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করলেন সোমেন মিত্র । কিন্তু, সোমেন মিত্রর সেই পদত্যাগপত্র গ্রহণ করল না AICC। পশ্চিমবঙ্গের কংগ্রেস পর্যবেক্ষক গ‌ৌরব গগৈ জানিয়েছেন, নতুন সর্বভারতীয় সভাপতি এলে তিনিই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। ততদিন পর্যন্ত সোমেন মিত্রকে কাজ চালিয়ে যেতে বলা হয়েছে ।

গত বছর সেপ্টেম্বরে অধীররঞ্জন চৌধুরিকে সরিয়ে আচমকাই বাংলায় কংগ্রেসের মুখ করা হয়েছিল সোমেনকে । প্রদীপ ভট্টাচার্য, দীপা দাশমুন্সিদের মতো হেভিওয়েটরা থাকলেও সে সময় রাহুল ব্রিগেড ভরসা রেখেছিল সোমেনের উপরই । লোকসভা ভোটে দেশজুড়ে কংগ্রেসের ভরাডুবির পর সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন রাহুল গান্ধি (যদিও সেই ইস্তফাপত্র গ্রহণ নিয়ে এখনও টালবাহানা চলছে) । রাহুলের পথে হেঁটে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, মিলিন্দ দেওরার মতো অনেকেই পদ ছেড়েছেন । এবার সেই পথে হেঁটেই পদত্যাগ করলেন সোমেন । আজ দিল্লিতে নিজের পদত্যাগপত্র জমা দেন সোমেন ।

1992-1998 পর্যন্ত প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ছিলেন সোমেন । সে সময়ই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে তৃণমূল তৈরি করেছিলেন । 1998 সালে লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় কংগ্রেস একটি মাত্র আসন পাওয়ায় পরাজয়ের দায় স্বীকার করে সভাপতির পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন সোমেন মিত্র ।

2008-এ কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে তিনি গড়েছিলেন প্রগতিশীল ইন্দিরা কংগ্রেস । 2009 সালে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন । সে বছরই ডায়মন্ডহারবার থেকে তৃণমূল সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হন । 2014 সালে জানুয়ারি মাসে সোমেন আবার কংগ্রেসে ফিরেছিলেন । তার আগেই অবশ্য তৃণমূলের সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন তিনি ।

দায়িত্ব পাওয়ার পরই সোমেন বুঝিয়েছিলেন অধীরের মতো কট্টর তৃণমূল বিরোধিতার পথে তিনি হাঁটবেন না । দিল্লির নেতৃত্ব যেমন সিদ্ধান্ত নেবে সেই পথেই হাঁটবেন । যদিও বাংলায় লোকসভা ভোটে কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের কোনও জোট হয়নি । রাজনৈতিক মহলের অভিমত, তৃণমূলের সঙ্গে জোট বা রাজ্যে কংগ্রেসকে হৃত মর্যাদায় ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা সোমেনের হাত ধরে করা হয়েছিল তাতে সাফল্য আসেনি । ইতিমধ্যেই লোকসভায় গুরুত্ব বেড়েছে অধীরের । পরিস্থিতি বিচার করেই দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক কান্ডারি দায়িত্ব ছাড়ার পথই বেছে নিলেন ।

কলকাতা, 9 জুলাই : দলের এক সন্ধিক্ষণে তাঁর উপর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল । চ্যালেঞ্জ ছিল লোকসভা ভোটে প্রায় ডুবতে বসা প্রদেশ কংগ্রেসকে তুলে ধরা । চ্যালেঞ্জও নিয়েছিলেন । কিন্তু শেষ অবধি সফল হননি । লোকসভা ভোটে দলের শোচনীয় ফলের দায় স্বীকার করে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করলেন সোমেন মিত্র । কিন্তু, সোমেন মিত্রর সেই পদত্যাগপত্র গ্রহণ করল না AICC। পশ্চিমবঙ্গের কংগ্রেস পর্যবেক্ষক গ‌ৌরব গগৈ জানিয়েছেন, নতুন সর্বভারতীয় সভাপতি এলে তিনিই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। ততদিন পর্যন্ত সোমেন মিত্রকে কাজ চালিয়ে যেতে বলা হয়েছে ।

গত বছর সেপ্টেম্বরে অধীররঞ্জন চৌধুরিকে সরিয়ে আচমকাই বাংলায় কংগ্রেসের মুখ করা হয়েছিল সোমেনকে । প্রদীপ ভট্টাচার্য, দীপা দাশমুন্সিদের মতো হেভিওয়েটরা থাকলেও সে সময় রাহুল ব্রিগেড ভরসা রেখেছিল সোমেনের উপরই । লোকসভা ভোটে দেশজুড়ে কংগ্রেসের ভরাডুবির পর সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন রাহুল গান্ধি (যদিও সেই ইস্তফাপত্র গ্রহণ নিয়ে এখনও টালবাহানা চলছে) । রাহুলের পথে হেঁটে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, মিলিন্দ দেওরার মতো অনেকেই পদ ছেড়েছেন । এবার সেই পথে হেঁটেই পদত্যাগ করলেন সোমেন । আজ দিল্লিতে নিজের পদত্যাগপত্র জমা দেন সোমেন ।

1992-1998 পর্যন্ত প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ছিলেন সোমেন । সে সময়ই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে তৃণমূল তৈরি করেছিলেন । 1998 সালে লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় কংগ্রেস একটি মাত্র আসন পাওয়ায় পরাজয়ের দায় স্বীকার করে সভাপতির পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন সোমেন মিত্র ।

2008-এ কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে তিনি গড়েছিলেন প্রগতিশীল ইন্দিরা কংগ্রেস । 2009 সালে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন । সে বছরই ডায়মন্ডহারবার থেকে তৃণমূল সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হন । 2014 সালে জানুয়ারি মাসে সোমেন আবার কংগ্রেসে ফিরেছিলেন । তার আগেই অবশ্য তৃণমূলের সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন তিনি ।

দায়িত্ব পাওয়ার পরই সোমেন বুঝিয়েছিলেন অধীরের মতো কট্টর তৃণমূল বিরোধিতার পথে তিনি হাঁটবেন না । দিল্লির নেতৃত্ব যেমন সিদ্ধান্ত নেবে সেই পথেই হাঁটবেন । যদিও বাংলায় লোকসভা ভোটে কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের কোনও জোট হয়নি । রাজনৈতিক মহলের অভিমত, তৃণমূলের সঙ্গে জোট বা রাজ্যে কংগ্রেসকে হৃত মর্যাদায় ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা সোমেনের হাত ধরে করা হয়েছিল তাতে সাফল্য আসেনি । ইতিমধ্যেই লোকসভায় গুরুত্ব বেড়েছে অধীরের । পরিস্থিতি বিচার করেই দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক কান্ডারি দায়িত্ব ছাড়ার পথই বেছে নিলেন ।

Intro: নিউ টাউনের নাম জ্যোতি বসুর নামে করার প্রস্তাব নিয়ে আজ ফের বিধানসভায় সরব হলেন বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে ফের চিঠি দিলেন তিনি।


Body:রাজ্যে বামফ্রন্ট সরকারের সময় কালে কলকাতার উপকন্ঠে রাজারহাট এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি পরিকল্পিত আধুনিক শহর নতুন করে প্রতিষ্ঠিত হয়। নতুন একটি শহরের মর্যাদা প্রাপ্ত এই প্রকল্প পরিকল্পনা, নির্মাণ এবং দৃষ্টিভঙ্গি বিবেচনায় এই রাজ্যের মধ্যে তো বটেই, দেশে এবং বিদেশে যথেষ্ট সমাদৃত হয়। বামফ্রন্ট সরকারের তৎকালীন আবাসনমন্ত্রী গৌতম দেবের বিশেষ তৎপরতায় এই শহর প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে মূল পরামর্শ, উদ্যোগ এবং উৎসাহ দান করেছেন স্বয়ং জ্যোতি বসু। যিনি দীর্ঘদিন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এবং সারা দেশে রেকর্ড সময়ের জন্য টানা এক টানা ২৩ বছর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন।
সঙ্গত কারণেই তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকার পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার সিদ্ধান্তক্রমে নবগঠিত এই শহরটির " জ্যোতি বসু নগর " নামকরণ করে।
কলকাতার উপকন্ঠে গড়ে ওঠা সল্টলেক শহরকে "বিধান নগর" হিসেবে নামাঙ্কিত করা হয় বামফ্রন্ট সরকারের সময়কালেই। এর মূল উদ্যোক্তা তৎকালীন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু। জ্যোতি বসু যখন বিরোধী দলের নেতা বিধান চন্দ্র রায় তখন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। বিধান নগর নামকরণের মধ্যে দিয়ে জ্যোতি বসু উন্নত গণতান্ত্রিক বোধ এবং প্রশাসনিক যথার্থ ভাবধারার পরিচয় রেখেছিলেন। চিঠিতে সুজন চক্রবর্তী আরো লিখেছেন এটা বড়ই পরিতাপের বিষয় যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকার "জ্যোতি বসু নগর" নামকরণ বাতিল করে দেয়। সংশ্লিষ্ট বিষয়টিকে বড়ই বেমানান। পরম্পরা বিরোধী। এবং কোন ভাবেই প্রশাসনিক পরিচালনায় গণতান্ত্রিক বোধ সম্পন্ন নয়, বলে মন্তব্য করেছেন সুজন চক্রবর্তী।


Conclusion:আজ জ্যোতি বসুর ১০৬ তম জন্ম দিবস। বিধানসভায় সাড়ম্বরে পালিত হল জ্যোতি বসুর জন্মদিন। বিধানসভার লবিতে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান, বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী সহ অন্যান্য বিধায়ক এবং মন্ত্রীরা জ্যোতি বাবুর তৈলচিত্রে শ্রদ্ধা জানান। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সুজন চক্রবর্তীর দাবি, জ্যোতি বসুর প্রতি স্বাভাবিক শ্রদ্ধা এবং প্রশাসন পরিচালনার ন্যূনতম বোধের পরিচয় হিসেবে "জ্যোতি বসু নগর" নামটি ফিরিয়ে দেবার জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদক্ষেপ গ্রহণ করুন।
Last Updated : Jul 9, 2019, 3:51 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.