ETV Bharat / state

" অনেক দিন বন্ধ, কতদিন সংসার টানতে পারব জানি না ", বলছেন কফি হাউস কর্মী - kolkata

কেমন আছেন কফি হাউসের কর্মীরা । জানালেন ETV ভারতকে ।

ছবি
ছবি
author img

By

Published : Apr 26, 2020, 3:37 PM IST

কলকাতা, 26 এপ্রিল : দীর্ঘ 62 বছরে এই প্রথমবার একটানা বন্ধ কলকাতা কফি হাউস । যার জেরে সমস্যায় পড়েছেন সেখানকার কর্মীরা । চরম আর্থিক অনটনের মধ্যে দিয়ে দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা ।

এখানকার সবচেয়ে পুরোনো কর্মী জাহিদ হুসেন । যিনি প্রায় 40 বছর ধরে কর্মরত এখানে । তিনি বলেন " বছরে মাত্র 2 দিন বন্ধ থাকে কফি হাউস । হোলি ও 1 মে বাদে সারা বছর খোলা থাকে এটি । বর্তমানে এখানে মোট 65 জন কর্মী কাজ করেন । আমরা সবাই কো-অপারেটিভের সদস্য। তাই সারা মাসে যা আয় হয় তার থেকেই সবার বেতন হয় । আজ দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ হয়ে রয়েছে । তাই সব কর্মীরাই চরম আর্থিক অনটনের মধ্যে পড়েছেন । এভাবে আমরা কতদিন সংসার টানব জানি না । পরিস্থিতি কবে আবার স্বাভাবিক হবে এবং কবে লকডাউন উঠবে কিছুই এখন বলা যাচ্ছে না ।"

তিনি আরও বলেন, " কোরোনার জেরে মার্চ মাসের মাঝামাঝি থেকেই ভিড় কম ছিল । যেখানে প্রতিদিন গড়ে প্রায় 1500 থেকে 2000 মানুষ আসেন, সেখানে বন্ধ হয়ে যাওয়ার আগের দিনে এসেছিলেন মোটে 50 জন ।" কো - অপারেটিভের সম্পাদক তপন কুমার পাহাড়ি বলেন, " এখানে এক টেবিলে পাশাপাশি বসে আড্ডা দেওয়ার রেওয়াজ । তাই জমায়েত এড়াবার জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল কফি হাউস । টানা এতগুলো বছর প্রতিদিন এখানে আসছি । কোনও দিন কল্পনা করতে পারিনি যে কফি হাউস বন্ধ থাকবে। " তবে কফি হাউস খুলে গেলেও কোরোনার ভয় কাটিয়ে কবে থেকে আবার খদ্দের আসে তা নিয়ে সন্ধিহান তপনবাবু ।

যাদবপুর ও কলেজ স্ট্রিটের দুটি কফি হাউসই ইন্ডিয়ান কফি ওয়ার্কার্স কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের পরিচালনায় চলে । এর মধ্যে কলেজ স্ট্রিটের কফি হাউসটি 1958-এ প্রথম চালু হয় । এরপর একদিনও বন্ধ থাকেনি কফি হাউস । এরপর রাজ্যে শুরু হয় কোরোনা । সংক্রমণ রোধের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয় কফি হাউস । সেই জনতা কারফিউয়ের আগে থেকেই বন্ধ এটি । সমস্ত কর্মীদের ছুটিতে পাঠানো হয়েছে ।

এই দীর্ঘ সময় ধরে সপ্তাহের একটি দিনও বাকি থাকে না এখানে আড্ডার আসর জমতে । আজ সেই কফি হাউসের চেয়ারগুলো ফাঁকা পড়ে রয়েছে । 'কফি হাউজের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই...' জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী মান্না দের গানের লাইনগুলো আজ একেবারে বাস্তব ।

কলকাতা, 26 এপ্রিল : দীর্ঘ 62 বছরে এই প্রথমবার একটানা বন্ধ কলকাতা কফি হাউস । যার জেরে সমস্যায় পড়েছেন সেখানকার কর্মীরা । চরম আর্থিক অনটনের মধ্যে দিয়ে দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা ।

এখানকার সবচেয়ে পুরোনো কর্মী জাহিদ হুসেন । যিনি প্রায় 40 বছর ধরে কর্মরত এখানে । তিনি বলেন " বছরে মাত্র 2 দিন বন্ধ থাকে কফি হাউস । হোলি ও 1 মে বাদে সারা বছর খোলা থাকে এটি । বর্তমানে এখানে মোট 65 জন কর্মী কাজ করেন । আমরা সবাই কো-অপারেটিভের সদস্য। তাই সারা মাসে যা আয় হয় তার থেকেই সবার বেতন হয় । আজ দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ হয়ে রয়েছে । তাই সব কর্মীরাই চরম আর্থিক অনটনের মধ্যে পড়েছেন । এভাবে আমরা কতদিন সংসার টানব জানি না । পরিস্থিতি কবে আবার স্বাভাবিক হবে এবং কবে লকডাউন উঠবে কিছুই এখন বলা যাচ্ছে না ।"

তিনি আরও বলেন, " কোরোনার জেরে মার্চ মাসের মাঝামাঝি থেকেই ভিড় কম ছিল । যেখানে প্রতিদিন গড়ে প্রায় 1500 থেকে 2000 মানুষ আসেন, সেখানে বন্ধ হয়ে যাওয়ার আগের দিনে এসেছিলেন মোটে 50 জন ।" কো - অপারেটিভের সম্পাদক তপন কুমার পাহাড়ি বলেন, " এখানে এক টেবিলে পাশাপাশি বসে আড্ডা দেওয়ার রেওয়াজ । তাই জমায়েত এড়াবার জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল কফি হাউস । টানা এতগুলো বছর প্রতিদিন এখানে আসছি । কোনও দিন কল্পনা করতে পারিনি যে কফি হাউস বন্ধ থাকবে। " তবে কফি হাউস খুলে গেলেও কোরোনার ভয় কাটিয়ে কবে থেকে আবার খদ্দের আসে তা নিয়ে সন্ধিহান তপনবাবু ।

যাদবপুর ও কলেজ স্ট্রিটের দুটি কফি হাউসই ইন্ডিয়ান কফি ওয়ার্কার্স কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের পরিচালনায় চলে । এর মধ্যে কলেজ স্ট্রিটের কফি হাউসটি 1958-এ প্রথম চালু হয় । এরপর একদিনও বন্ধ থাকেনি কফি হাউস । এরপর রাজ্যে শুরু হয় কোরোনা । সংক্রমণ রোধের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয় কফি হাউস । সেই জনতা কারফিউয়ের আগে থেকেই বন্ধ এটি । সমস্ত কর্মীদের ছুটিতে পাঠানো হয়েছে ।

এই দীর্ঘ সময় ধরে সপ্তাহের একটি দিনও বাকি থাকে না এখানে আড্ডার আসর জমতে । আজ সেই কফি হাউসের চেয়ারগুলো ফাঁকা পড়ে রয়েছে । 'কফি হাউজের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই...' জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী মান্না দের গানের লাইনগুলো আজ একেবারে বাস্তব ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.