কলকাতা, 26 মার্চ : আবার উত্তরবঙ্গ সফরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । এই সফর এবার ভীষণ তাৎপর্যপূর্ণ । 2011-য় পালাবদলের পর এই প্রথম এককভাবে শিলিগুড়ি পৌরনিগমের দায়িত্ব পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস । কাজেই কলকাতার যমজ শহর শিলিগুড়ির উন্নয়ন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ভাবনা এই সফরে তিনি তুলে ধরতে পারেন ।
একইসঙ্গে পাহাড়ের নতুন রাজনৈতিক দল হামরো পার্টির সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী । সবাইকে চমকে দিয়ে হামরো পার্টি দার্জিলিং পৌরসভায় ক্ষমতায় এসেছে ৷ মুখ্যমন্ত্রী আগেই জানিয়ে ছিলেন, পাহাড়ের উন্নয়নে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে ৷ পাশাপাশি অনুন্নয়নকে সামনে রেখে উত্তরবঙ্গের জন্য আলাদা রাজ্যের দাবি তুলেছিল বিজেপি ৷ যা নিয়ে বিতর্ক চরমে ওঠে ৷ উত্তরবঙ্গে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ বিষয়ে কিছু বলেন কিনা, সেটাই দেখার । ছ'দিনের সফরে আজই রওনা দেবেন মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata Banerjee to visit North Bengal) ৷ ফিরবেন 31 মার্চ ৷
ছ'দিনের সফরে আগামিকাল, 27 মার্চ দুপুরে শিলিগুড়ির উত্তরা গ্রাউন্ডে একটি সরকারি অনুষ্ঠান, দার্জিলিংয়ের ম্যালে আরেকটি সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। এবার উত্তরবঙ্গে বেশিরভাগ সময়টাই তিনি পাহাড়ে কাটাবেন । মুখ্যমন্ত্রীর পাহাড়ে থাকার মধ্যে খুব একটা নতুনত্ব নেই । এর আগেও একাধিকবার তিনি পাহাড়ে থেকেছেন ৷
সম্প্রতি পৌরসভা নির্বাচনে পাহাড়ে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ তৈরি হয়েছে ৷ সুভাষ ঘিসিংয়ের জিএনএলএফ এবং বিমল গুরুংয়ের গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার প্রতিপত্তিকে অনেকটাই ম্লান করে পাহাড়ে উঠে এসেছে হামরো পার্টি । এই অবস্থায় নতুন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ঘাসফুলের সমঝোতা কেমন হবে, সেদিকে নজর রাজনৈতিক মহলের ।
এবছর রাজ্য সরকার দীর্ঘদিন ধরে বাকি থাকা পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং জিটিএ নির্বাচন করতে চাইছে । তাই এইসময় পাহাড়ের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও জনজাতির সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী । নিজের শাসনকালে বহু বার পাহাড়ে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ অশান্ত পাহাড়কে শান্ত করতে তাঁর একটা বড় ভূমিকা রয়েছে । পাহাড়ের উন্নয়ন আর সেখানে গেরুয়া শক্তির উত্থান রুখতে মুখ্যমন্ত্রী নতুন কোনও ছক কষছেন কি ? বলবে আগামী সপ্তাহ ৷