কলকাতা, 27 অগস্ট: এগরার ঘটনার পরেই পুলিশকে কড়া হতে নির্দেশ দিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । কিন্তু তারপরেও রবিবার ঘটে গিয়েছে দত্তপুকুরের নীলগঞ্জে বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনা ৷ যে ঘটনায় কমপক্ষে 7 জনের প্রাণ গিয়েছে ৷ মৃতদের মধ্যে শিশুও রয়েছে। খুব স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দত্তপুকুরের বাজির কারখানায় বিস্ফোরণ নিয়ে রাজ্য পুলিশের ভূমিকায় আদৌ খুশি নন মুখ্যমন্ত্রী । আজ রবিবার হওয়ায় এদিন সন্ধ্যায় তাঁর কালীঘাটের বাড়িতে মুখ্যমন্ত্রী ডেকে পাঠান রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মাল্যব্যকে ।
এদিন বৈঠকের সময় মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলও । সেখানেই তিনি দত্তপুকুরের ঘটনা নিয়ে পুলিশের কাছ থেকে বিস্তারিত রিপোর্ট জানতে চান । প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর রাজ্যে অবৈধ বাজি কারখানা নিয়ন্ত্রণে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছিল রাজ্য পুলিশ । রাজ্য পুলিশের তরফ থেকে 6 দফা নির্দেশিকা জারি করে প্রতিটি থানায় পাঠানো হয়েছিল । এরপরেও কীভাবে এত বড় ঘটনা ঘটে গেল, কেন দত্তপুকুরের ওই অঞ্চলে বাজি কারখানা বন্ধের বিষয়ে রাজ্যের পুলিশ ব্যবস্থা নিল না, এমন সব প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে রাজ্য সরকারকে। খুব স্বাভাবিকভাবেই বিষয়টিকে পুলিশি ব্যর্থতা হিসাবেই দেখছে রাজনৈতিক মহল ।
আরও পড়ুন: বিস্ফোরণস্থল পরিদর্শনে রাজ্যপাল, বোসের সামনে ক্ষোভ উগরে দিলেন স্থানীয়রা
এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রীও দত্তপুকুরের ঘটনা নিয়ে ক্ষুব্ধ বলেই জানা যাচ্ছে । যদিও এদিনের বৈঠকের পর সরকারিভাবে রাজ্য প্রশাসন বা পুলিশের তরফে কোনওরকম বিবৃতি দেওয়া হয়নি ৷ কিন্তু যতদূর জানা গিয়েছে, এই বৈঠকে পুলিশকে রাজনীতির রং না-দেখে কড়া পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । এক্ষেত্রে ওই অঞ্চলে বাজি কারখানা আদৌ বৈধ কি না, তা খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে পুলিশকে । যদি ওই কারখানা অবৈধ হয় সেক্ষেত্রে কার মদতে এই কারখানা চলছিল, প্রয়োজনে তাকে গ্রেফতারেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেই খবর । যতদূর জানা গিয়েছে, এই দুই পুলিশ কর্তার সঙ্গে প্রায় দেড় ঘন্টার বেশি সময় বৈঠক হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর । এবং এই বৈঠকে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান স্পষ্ট করে দিয়েছেন, তদন্তের ক্ষেত্রে কোনও ধরনের ঢিলেমি চাইছেন না তিনি । মুখ্যমন্ত্রীর এই বৈঠকের পর দত্তপুকুর নিয়ে পুলিশ কী ব্যবস্থা নেয়, সেটাই এখন দেখার ।