কলকাতা, 1 ডিসেম্বর: ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় আইআইটি খড়গপুরের অধিকর্তার দায়ের করা রিপোর্টে চূড়ান্ত অসন্তুষ্ট কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা তাই আগামী 20 ডিসেম্বর সকাল 10টা 30 মিনিটে সংশ্লিষ্ট কলেজ অধিকর্তাকে হাইকোর্টে সশরীরের হাজির থেকে জবাবদিহি করার নির্দেশ দিলেন এদিন। ছাত্র মৃত্যুতে 21 নভেম্বর বিচারপতি আইআইটির ডিরেক্টরকে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন (Calcutta high court summons to director in charge of IIT Kharagpur)। সেই রিপোর্ট এদিন আদালতে জমা পড়লে দেখা যায়, ছাত্র মৃত্যুর ব্যাপারে সেখানে কোনও কথাই বলা হয়নি।
এদিন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা বলেন, ‘‘ঘটনা ঘটার পর একটা ইমেল থেকে র্যাগিং-এর ব্যাপারে দু‘জন সিনিয়র ছাত্রের নাম পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে কলেজ কী পদক্ষেপ নিয়েছে তা স্পষ্ট নয়। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, র্যাগিং নিয়ে সচেতনতা ব্রোশিয়রের কথা ৷ কিন্তু ওই ছাত্রের মৃত্যু সম্পর্কিত কোনও তথ্য উল্লেখ নেই রিপোর্টে ৷’’ চলতি বছরের 4 ফেব্রুয়ারি ইমেল মারফৎ র্যাগিং-এর ব্যাপারে কলেজের ডিরেক্টরকে জানিয়েছিল মৃত ছাত্র। পরে ফের 13 সেপ্টেম্বর আক্রান্ত পড়ুয়া কলেজের ডিরেক্টরকে র্যাগিং-এর বিষয়টি সম্পর্কে আবারও জ্ঞাত করে। তারপর কলেজ কী পদক্ষেপ নিয়েছিল ? কলেজের ডিরেক্টর নীরব কেন ছিলেন ? সেই সমস্ত তথ্য জানতেই ডিরেক্টরকে হাজির হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় কী করেছেন, তা জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
আরও পড়ুন: ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে ফুঁসছেন পড়ুয়ারা, ক্ষোভ প্রশমনে মরিয়া আইআইটি খড়্গপুর
অন্যদিকে মৃত ছাত্রের পরিবারের তরফে আইনজীবী বলেন, ‘‘পুলিশের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে ছেলেটি ব্লেড দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু মেডিক্যাল রিপোর্টে তেমন কিছু উল্লেখ নেই। হেভি মেডিসিন ব্যাবহারের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। তবে সেরকমও কিছু পাওয়া যায়নি। এই সমস্ত বক্তব্য তিনি হলফনামা দিয়ে জানাবেন আদালতে। 20 ডিসেম্বর সকালে ডিরেক্টরকে হাজির হওয়ার নির্দেশ। ওইদিন ফের শুনানি মামলার।’’