কলকাতা, 25 মে: নিয়ম মেনে হয়নি আবেদন ৷ আর যার জেরে এবার জনসভা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্মাটেও ধাক্কা খেলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৷ তাঁর সভা সংক্রান্ত মামলা খারিজ করে দিল হাইকোর্ট। পুলিশ আগেই বিজেপির আবেদন বাতিল করেছিল। বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি বিবেক চৌধুরীও তাঁর পর্যবেক্ষণে জানিয়ে দিলেন হাইকোর্টের নির্দেশ মতো গাইডলাইন থাকলেও মামলাকারী সেই নিয়ম মেনে 15 দিন আগে আবেদন জানাননি। সেইজন্য আদালতের পক্ষে মামলাকারীর আবেদনে আদালত সন্মতি দিচ্ছে না বলেও জানান বিচারপতি ।
বিজেপির মালদা মণ্ডলের তরফে আগামী 27 মে কেন্দাপুকুর হাই স্কুলের ফুটবল মাঠে সকাল 10টা থেকে বিকাল 4টে পর্যন্ত জনসভা করার আবেদন জানানো হয়েছিল ৷ জনসভার প্রধান বক্তা ছিলেন বিরোধী দলনেতা। পুলিশ অবশ্য প্রথমেই সেই আবেদনে সাড়া দেয়নি বলে বিজেপির অভিযোগ ৷ মূলত শুভেন্দু অধিকারীর জন্যই সেই অনুমতি দেওয়া হয়নি বলেই অভিযোগ বিজেপির ৷ দলের তরফে দাবি করা হয়, 17 মে বিজেপি সংশ্লিষ্ট স্কুলের থেকে অনুমতি নিয়েছিল ৷ এরপর পুলিশকেও জানানো হয় 18 মে । কিন্তু 24 মে হাবিবপুর থানার পুলিশের তরফে জানানো হয়, হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে আবেদন না জানানোর জন্য এই সভার অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়। পাশাপাশি মানিকচকে বিরোধী দলনেতার আরও একটি জনসভা করার কথা। সেখানে অবশ্য পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হবে।
এরপরই, বাধ্য হয়ে বিজেপির তরফে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়। বিজেপির তরফে আইনজীবী আদালতে জানান, পুলিশ বাহিনীর লোকজন নেই বলে অজুহাত দিয়েছে ৷ যা পুলিশ দিতে পারে না বলেও আদালতে সওয়াল করেন বিজেপির আইনজীবী। কারণ, এর আগে পুলিশ অনুমতি দিয়ে আবার পরে তা প্রত্যাহার করেছে। জনসভা করা মৌলিক অধিকার বলেও আদালতে জানান আইনজীবী। তাকে অস্বীকারও করা যায় না।
আরও পড়ুন: ডিএ আন্দোলনে ভয় পেয়ে 2 কঠোর নির্দেশ জারি রাজ্যের, যা ইমার্জেন্সির সময়ও হয়নি: শুভেন্দু
বিচারপতি বিবেক চৌধুরী সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পর অবশ্য অনুমতি দিতে অস্বীকার করেন। কিছুদিন আগেই হাইকোর্টে একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যে কোনও জনসভা করার আগে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা সংস্থাকে অন্তত 15 দিন আগে পুলিশের কাছে আবেদন জানাতে হবে। কিন্তু এখানে তা করা হয়নি। আর সেকারণে সভার অনুমতি দেয়নি আদালত ৷