ETV Bharat / state

পুলিশের সামনেই ধাক্কা ব্যবসায়ীকে ! মমতার দপ্তরের ফোনেও হল না কাজ

2014 সাল থেকে বিজয়গড় এলাকায় ব্যবসা করছেন মণীশ পাণ্ডে । এক ব্যবসায়ীর থেকে দোকান ভাড়া নিয়ে ব্যবসা করছিলেন তিনি । 25 বছরের লিজ়ে বিনোদবিহারী সাহা নামে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে দোকানটি নিয়েছিলেন বলে দাবি মণীশের । কয়েক মাস আগে দোকানে জল সরবরাহ বন্ধ করে দেন বিনোদবিহারী । সঙ্গে দোকান খালি করার জন্য চাপ দেওয়া শুরু হয় । এই নিয়ে CMO অফিস থেকে যাদবপুর থানায় ফোন করে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বললেও কাজ হয়নি কিছুই ।

এই সেই পুলিশ
author img

By

Published : Jul 12, 2019, 9:00 PM IST

Updated : Jul 12, 2019, 9:08 PM IST

কলকাতা, 12 জুলাই : দাঁড়িয়েছিল পুলিশ । দেখছিল সবটাই । শুনছিল, ব্যবসায়ীকে হুমকি দিচ্ছে প্রোমোটারের লোকজন । সঙ্গে চলছে ধাক্কাধাক্কি । অভিযোগ, তাদের সামনে ব্যবসায়ীর উপর চড়াও হলেও চুপচাপ দাঁড়িয়েছিল পুলিশ । সমস্যার সমাধানের জন্য এমন কী খোদ মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর থেকে ফোন গেলেও সুরাহা হয়নি ।

police
এই সেই অভিযোগপত্র

2014 সাল থেকে বিজয়গড় এলাকায় ব্যবসা করছেন মণীশ পাণ্ডে । এক ব্যবসায়ীর থেকে দোকান ভাড়া নিয়ে ব্যবসা করছিলেন তিনি । 25 বছরের লিজ়ে বিনোদবিহারী সাহা নামে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে দোকানটি নিয়েছিলেন বলে দাবি মণীশের । কিন্তু, কয়েক মাস আগে হঠাৎ ছন্দপতন । দোকানে জল সরবরাহ বন্ধ করে দেন বিনোদ বিহারী । সঙ্গে দোকান খালি করার জন্য চাপ দেওয়া শুরু হয় । মণীশের কথায়, "বিভিন্ন ভাবে আমাকে দোকান খালি করার জন্য চাপ দেওয়া শুরু হয় । অথচ আমি চুক্তির সব নিয়ম মেনে দোকান চালাচ্ছিলাম । হঠাৎ বিনোদবিহারীবাবু দোকানের ভাড়া নেওয়া বন্ধ করে দেন । আমি তখন মানি অর্ডার করে টাকা পাঠাতে শুরু করি । এরপরই শুরু হয় হুমকি । সবচেয়ে বড় কথা বর্তমানে ওই ব্যবসায়ীকে মদত দিচ্ছেন স্থানীয় কাউন্সিলর তথা মেয়র পরিষদ দেবব্রত মজুমদার ।"

বিষয়টি চরমে ওঠে গত 6 এবং 12 জুন । অভিযোগ, স্থানীয় প্রোমোটার বুদ্ধ চৌধুরির নেতৃত্বে ওইদিন মণীশ এবং তাঁর স্ত্রী অর্পিতাকে নিগ্রহ করা হয় । বিষয়টি নিয়ে তাঁরা যাদবপুর থানায় অভিযোগ জানাতে যান । কিন্তু, এবিষয়ে পুলিশ প্রাথমিকভাবে অভিযোগ নিতে চায়নি বলে অভিযোগ । তাঁর দাবি, “অভিযোগপত্র থেকে কাউন্সিলরের নাম বাদ দেওয়ার জন্য আমায় চাপ দেওয়া হয় । সেই নাম বাদ দেওয়ার পর এই অভিযোগ গ্রহণ করে যাদবপুর থানা । কিন্তু, থানার তরফে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি ।"

অভিযোগ জমা নেওয়ার দিন কয়েকের মধ্যে দুই পুলিশকর্মী ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে দোকানে যান । তাঁদের সামনেই আবার মাণীশকে হুমকি দেওয়া শুরু হয় । অভিযোগ, তখনও চুপচাপ ছিলেন দুই পুলিশকর্মী । পুলিশ নিষ্ক্রিয়তা এবং কাউন্সিলরের যোগসূত্রে ব্যবসায়ীর অত্যাচারের কথা বলতে কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে যান মণীশ । সঙ্গে ছিলেন অর্পিতা । মণীশের দাবি, “পুরো ঘটনা শোনার পর মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে উপস্থিত CMO-র কর্তারা ফোন করেন যাদবপুর থানায় । বলা হয় দ্রুত এবিষয়ে পদক্ষেপ নিতে । কিন্তু, তারপরেও একই অবস্থা।" যদিও, পুরো বিষয়টিতে মদত দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কাউন্সিলর দেবব্রত মজুমদার ।

কলকাতা, 12 জুলাই : দাঁড়িয়েছিল পুলিশ । দেখছিল সবটাই । শুনছিল, ব্যবসায়ীকে হুমকি দিচ্ছে প্রোমোটারের লোকজন । সঙ্গে চলছে ধাক্কাধাক্কি । অভিযোগ, তাদের সামনে ব্যবসায়ীর উপর চড়াও হলেও চুপচাপ দাঁড়িয়েছিল পুলিশ । সমস্যার সমাধানের জন্য এমন কী খোদ মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর থেকে ফোন গেলেও সুরাহা হয়নি ।

police
এই সেই অভিযোগপত্র

2014 সাল থেকে বিজয়গড় এলাকায় ব্যবসা করছেন মণীশ পাণ্ডে । এক ব্যবসায়ীর থেকে দোকান ভাড়া নিয়ে ব্যবসা করছিলেন তিনি । 25 বছরের লিজ়ে বিনোদবিহারী সাহা নামে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে দোকানটি নিয়েছিলেন বলে দাবি মণীশের । কিন্তু, কয়েক মাস আগে হঠাৎ ছন্দপতন । দোকানে জল সরবরাহ বন্ধ করে দেন বিনোদ বিহারী । সঙ্গে দোকান খালি করার জন্য চাপ দেওয়া শুরু হয় । মণীশের কথায়, "বিভিন্ন ভাবে আমাকে দোকান খালি করার জন্য চাপ দেওয়া শুরু হয় । অথচ আমি চুক্তির সব নিয়ম মেনে দোকান চালাচ্ছিলাম । হঠাৎ বিনোদবিহারীবাবু দোকানের ভাড়া নেওয়া বন্ধ করে দেন । আমি তখন মানি অর্ডার করে টাকা পাঠাতে শুরু করি । এরপরই শুরু হয় হুমকি । সবচেয়ে বড় কথা বর্তমানে ওই ব্যবসায়ীকে মদত দিচ্ছেন স্থানীয় কাউন্সিলর তথা মেয়র পরিষদ দেবব্রত মজুমদার ।"

বিষয়টি চরমে ওঠে গত 6 এবং 12 জুন । অভিযোগ, স্থানীয় প্রোমোটার বুদ্ধ চৌধুরির নেতৃত্বে ওইদিন মণীশ এবং তাঁর স্ত্রী অর্পিতাকে নিগ্রহ করা হয় । বিষয়টি নিয়ে তাঁরা যাদবপুর থানায় অভিযোগ জানাতে যান । কিন্তু, এবিষয়ে পুলিশ প্রাথমিকভাবে অভিযোগ নিতে চায়নি বলে অভিযোগ । তাঁর দাবি, “অভিযোগপত্র থেকে কাউন্সিলরের নাম বাদ দেওয়ার জন্য আমায় চাপ দেওয়া হয় । সেই নাম বাদ দেওয়ার পর এই অভিযোগ গ্রহণ করে যাদবপুর থানা । কিন্তু, থানার তরফে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি ।"

অভিযোগ জমা নেওয়ার দিন কয়েকের মধ্যে দুই পুলিশকর্মী ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে দোকানে যান । তাঁদের সামনেই আবার মাণীশকে হুমকি দেওয়া শুরু হয় । অভিযোগ, তখনও চুপচাপ ছিলেন দুই পুলিশকর্মী । পুলিশ নিষ্ক্রিয়তা এবং কাউন্সিলরের যোগসূত্রে ব্যবসায়ীর অত্যাচারের কথা বলতে কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে যান মণীশ । সঙ্গে ছিলেন অর্পিতা । মণীশের দাবি, “পুরো ঘটনা শোনার পর মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে উপস্থিত CMO-র কর্তারা ফোন করেন যাদবপুর থানায় । বলা হয় দ্রুত এবিষয়ে পদক্ষেপ নিতে । কিন্তু, তারপরেও একই অবস্থা।" যদিও, পুরো বিষয়টিতে মদত দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কাউন্সিলর দেবব্রত মজুমদার ।

Intro:কলকাতা, ১২ জুলাই: দাঁড়িয়েছিল পুলিশ। দেখছিলেন সবটাই। শুনছিলেন, ব্যবসায়ীকে হুমকি দিচ্ছে প্রোমোটারের লোকজন। সঙ্গে চলছে ধাক্কাধাক্কি। অথচ যাদবপুর থানার দুই পুলিশ কর্মী গিয়েছিলেন অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে। অভিযোগ, তাদের সামনে ব্যবসায়ীর উপর কয়েকজন চড়াও হলেও নিস্পৃহ ছিলেন তারা। বিষয়টি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে খোদ মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর থেকে ফোন করতে হয়েছে থানায়। সি এম ও সূত্রে খবর এমনটাই। Body:2014 সাল থেকে বিজয়গড় এলাকায় ব্যবসা করছেন মণীশ পান্ডে। এক ব্যবসায়ীর থেকে দোকান ভাড়া নিয়ে ব্যবসা। 25 বছরের লিজে বিনোদবিহারী সাহা নামে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে দোকানটি নিয়েছিলেন বলে দাবি মণীশের। কিন্তু কয়েক মাস আগে হঠাৎ ছন্দপতন। দোকানে জল সরবরাহ বন্ধ করে দেন বিনোদ বিহারী। সঙ্গে দোকান খালি করার জন্য চাপ দেওয়া শুরু হয়। মণীশের কথায়, “ বিভিন্ন ভাবে আমাকে দোকান খালি করার জন্য চাপ দেওয়া শুরু হয়। অথচ আমি চুক্তির সব নিয়ম মেনে দোকান চালাচ্ছিলাম। হঠাৎই বিনোদ বিহারীবাবু দোকানের ভাড়া নেওয়া বন্ধ করে দেন। আমি তখন মানি অর্ডার করে টাকার পাঠাতে শুরু করি। এরপরই শুরু হয় হুমকি। সবচেয়ে বড় কথা ওই ব্যবসায়ীকে মদত দিচ্ছেন স্থানীয় কাউন্সিলর তথা মেয়র পরিষদ দেবব্রত মজুমদার।"

বিষয়টি চরমে ওঠে গত 6 এবং 12 জুন। ওইদিন মণীশ এবং তাঁর স্ত্রী অর্পিতাকে নিগ্রহ করা হয় স্থানীয় প্রোমোটার বুদ্ধ চৌধুরীর নেতৃত্বে। অভিযোগ এমনটাই। বিষয়টি নিয়ে যাদবপুর থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে, পুলিশ প্রাথমিকভাবে অভিযোগ নিতে চায়নি বলে অভিযোগ। তাঁর দাবি, “ আমায় চাপ দেওয়া হয়, অভিযোগপত্র থেকে কাউন্সিলর এর নাম বাদ দেবার জন্য। সেই নাম বাদ দেবার পর এই অভিযোগ গ্রহন করে যাদবপুর থানা। কিন্তু থানার তরফে কোনও অ্যাকশন নেওয়া হয়নি।" Conclusion:অভিযোগ জমা নেওয়ার দিন কয়েকের মধ্যে দুই পুলিশ কর্মী ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে দোকানে যান। তাদের সামনেই আবার মাণীশকে হুমকি দেওয়া শুরু হয়। অভিযোগ তখন নিস্পৃহ ছিলেন দুই পুলিশ কর্মী। পুলিশ নিষ্ক্রিয়তা এবং কাউন্সিলরের যোগসূত্রে ব্যবসায়ীর অত্যাচারের কাহিনী শোনাতে কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে চলে যান মণীশ। সঙ্গে ছিলেন অর্পিতা। মনীশের দাবি, “ পুরো ঘটনা শোনার পর মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে উপস্থিত CMO র কর্তারা ফোন করেন যাদবপুর থানায়। বলা হয় দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপ করতে। কিন্তু তার পরেও একই অবস্থা।" পুরো বিষয়টিতে মদদ দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কাউন্সিলার দেবব্রত মজুমদার।



Last Updated : Jul 12, 2019, 9:08 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.