কলকাতা, 12 জুলাই : দাঁড়িয়েছিল পুলিশ । দেখছিল সবটাই । শুনছিল, ব্যবসায়ীকে হুমকি দিচ্ছে প্রোমোটারের লোকজন । সঙ্গে চলছে ধাক্কাধাক্কি । অভিযোগ, তাদের সামনে ব্যবসায়ীর উপর চড়াও হলেও চুপচাপ দাঁড়িয়েছিল পুলিশ । সমস্যার সমাধানের জন্য এমন কী খোদ মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর থেকে ফোন গেলেও সুরাহা হয়নি ।
2014 সাল থেকে বিজয়গড় এলাকায় ব্যবসা করছেন মণীশ পাণ্ডে । এক ব্যবসায়ীর থেকে দোকান ভাড়া নিয়ে ব্যবসা করছিলেন তিনি । 25 বছরের লিজ়ে বিনোদবিহারী সাহা নামে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে দোকানটি নিয়েছিলেন বলে দাবি মণীশের । কিন্তু, কয়েক মাস আগে হঠাৎ ছন্দপতন । দোকানে জল সরবরাহ বন্ধ করে দেন বিনোদ বিহারী । সঙ্গে দোকান খালি করার জন্য চাপ দেওয়া শুরু হয় । মণীশের কথায়, "বিভিন্ন ভাবে আমাকে দোকান খালি করার জন্য চাপ দেওয়া শুরু হয় । অথচ আমি চুক্তির সব নিয়ম মেনে দোকান চালাচ্ছিলাম । হঠাৎ বিনোদবিহারীবাবু দোকানের ভাড়া নেওয়া বন্ধ করে দেন । আমি তখন মানি অর্ডার করে টাকা পাঠাতে শুরু করি । এরপরই শুরু হয় হুমকি । সবচেয়ে বড় কথা বর্তমানে ওই ব্যবসায়ীকে মদত দিচ্ছেন স্থানীয় কাউন্সিলর তথা মেয়র পরিষদ দেবব্রত মজুমদার ।"
বিষয়টি চরমে ওঠে গত 6 এবং 12 জুন । অভিযোগ, স্থানীয় প্রোমোটার বুদ্ধ চৌধুরির নেতৃত্বে ওইদিন মণীশ এবং তাঁর স্ত্রী অর্পিতাকে নিগ্রহ করা হয় । বিষয়টি নিয়ে তাঁরা যাদবপুর থানায় অভিযোগ জানাতে যান । কিন্তু, এবিষয়ে পুলিশ প্রাথমিকভাবে অভিযোগ নিতে চায়নি বলে অভিযোগ । তাঁর দাবি, “অভিযোগপত্র থেকে কাউন্সিলরের নাম বাদ দেওয়ার জন্য আমায় চাপ দেওয়া হয় । সেই নাম বাদ দেওয়ার পর এই অভিযোগ গ্রহণ করে যাদবপুর থানা । কিন্তু, থানার তরফে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি ।"
অভিযোগ জমা নেওয়ার দিন কয়েকের মধ্যে দুই পুলিশকর্মী ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে দোকানে যান । তাঁদের সামনেই আবার মাণীশকে হুমকি দেওয়া শুরু হয় । অভিযোগ, তখনও চুপচাপ ছিলেন দুই পুলিশকর্মী । পুলিশ নিষ্ক্রিয়তা এবং কাউন্সিলরের যোগসূত্রে ব্যবসায়ীর অত্যাচারের কথা বলতে কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে যান মণীশ । সঙ্গে ছিলেন অর্পিতা । মণীশের দাবি, “পুরো ঘটনা শোনার পর মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে উপস্থিত CMO-র কর্তারা ফোন করেন যাদবপুর থানায় । বলা হয় দ্রুত এবিষয়ে পদক্ষেপ নিতে । কিন্তু, তারপরেও একই অবস্থা।" যদিও, পুরো বিষয়টিতে মদত দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কাউন্সিলর দেবব্রত মজুমদার ।