ETV Bharat / state

ধীরে ধীরে সুস্থ হচ্ছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য - rabin deb on buddhadeb Bhattacharya

আগের থেকে ধীরে ধীরে শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর । সাড়া দিচ্ছেন চিকিৎসায় ।

ফাইল ফোটো
author img

By

Published : Aug 1, 2019, 11:42 PM IST

কলকাতা, 1 অগাস্ট : আগের থেকে অনেকটাই সুস্থ বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য । ঘরের মধ্যেই একটু আধটু হাঁটাচলা করছেন তিনি । যদিও অক্সিজেন সিলিন্ডার তাঁর সর্বক্ষণের সঙ্গী । চোখের সমস্যা থাকায় দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হয়ে এলেও, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে সম্পূর্ণ ওয়াকিবহল রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী । দক্ষিণ কলকাতার পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতেই এখনও থাকেন তিনি ।

শীতকাল এলেই আতঙ্কে থাকতে হয় বুদ্ধদেববাবুর পরিবারকে । এই বুঝি শরীর খারাপ হল । রয়েছে COPD (ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজ়িস)-র সমস্যা । শুষ্ক হয়ে আসছে চোখ । দুইয়ে মিলে কার্যত নাজেহাল অবস্থা তাঁর । দীর্ঘদিন ডাক্তারের নির্দেশে তরল জাতীয় খাবার খেয়ে রয়েছেন । মাছ, মাংস তিনি খান না । তাঁর দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সঙ্গী রবীন দেব জানান, বুদ্ধদেববাবুর শারীরিক অবস্থা একইরকম রয়েছে । তিনি চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন । শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে । বাড়িতেই থাকেন বেশিরভাগ সময় । চলাফেরা ঘরের মধ্যেই করেন । তবে, বেশি হাঁটাচলা করতে পারেন না । চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হয় তাঁকে । পার্টির নেতৃত্ব নিয়মিত তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলে । এখনও রাজ্যে বিভিন্ন বামপন্থী কর্মসূচি গ্রহণ করা হয় তাঁর পরামর্শ মেনেই ।

বাড়িতে থেকে এখনও নিয়মিত পড়াশোনা করেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী । পড়াশোনার ক্ষেত্রে চোখের সমস্যা থাকলেও, বাড়িতে সর্বক্ষণের কর্মী রয়েছেন । যিনি তাঁকে বিভিন্ন সংবাদপত্র ও বই পড়ে শোনান । বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে সম্পূর্ণ ওয়াকিবহল তিনি । পরিস্থিতি নির্ধারণ করবে আগামী নির্বাচনগুলিতে বুদ্ধদেববাবুর পরামর্শ কীভাবে বামেদের কাজে লাগে । পার্টির নেতৃত্ব তাঁকে সামনে আনতে চাইবে । এবারও বামেদের ব্রিগেডে তাঁকে উপস্থিত থাকতে দেখা গেছিল । সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্য । কিন্তু ধুলো ও রোদের কারণে গাড়ি থেকে নামতে পারেননি তিনি । চিকিৎসকদের নিষেধ ছিল । লাগানো ছিল অক্সিজেনের নল । সাদা পায়জামা পাঞ্জাবি পরেই তিনি গেছিলেন ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে । সঙ্গে ছিলেন পারিবারিক চিকিৎসক তথা আর এক বাম নেতা ফুয়াদ হালিম । এবার লোকসভা নির্বাচনে তাঁর পরামর্শ অনেকটাই উজ্জীবিত করেছিল দলের নেতা-কর্মীদের । রাজ্যের রাজনীতিতে তাঁর অবদানের কথা অনস্বীকার্য বলে জানিয়েছেন রবীন দেব । তবে, আগামী দিনে তাঁকে কতটা পাশে পাবে দল সেটা ঠিক করবে তাঁর শারীরিক অবস্থা ।

দলে তাঁর অবদানের কথা একবাক্যে স্বীকার করেছেন CPI(M) নেতা সুজন চক্রবর্তী । দেশের সংকট মোকাবিলায় তাঁর পরামর্শ এবং উপস্থিতি খুবই জরুরি এবং প্রয়োজনীয় বলে মনে করেন তিনি ৷ জানান, শ্রমজীবী মানুষ এখনও শুনতে চান তাঁরই বক্তব্য ।

কলকাতা, 1 অগাস্ট : আগের থেকে অনেকটাই সুস্থ বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য । ঘরের মধ্যেই একটু আধটু হাঁটাচলা করছেন তিনি । যদিও অক্সিজেন সিলিন্ডার তাঁর সর্বক্ষণের সঙ্গী । চোখের সমস্যা থাকায় দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হয়ে এলেও, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে সম্পূর্ণ ওয়াকিবহল রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী । দক্ষিণ কলকাতার পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতেই এখনও থাকেন তিনি ।

শীতকাল এলেই আতঙ্কে থাকতে হয় বুদ্ধদেববাবুর পরিবারকে । এই বুঝি শরীর খারাপ হল । রয়েছে COPD (ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজ়িস)-র সমস্যা । শুষ্ক হয়ে আসছে চোখ । দুইয়ে মিলে কার্যত নাজেহাল অবস্থা তাঁর । দীর্ঘদিন ডাক্তারের নির্দেশে তরল জাতীয় খাবার খেয়ে রয়েছেন । মাছ, মাংস তিনি খান না । তাঁর দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সঙ্গী রবীন দেব জানান, বুদ্ধদেববাবুর শারীরিক অবস্থা একইরকম রয়েছে । তিনি চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন । শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে । বাড়িতেই থাকেন বেশিরভাগ সময় । চলাফেরা ঘরের মধ্যেই করেন । তবে, বেশি হাঁটাচলা করতে পারেন না । চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হয় তাঁকে । পার্টির নেতৃত্ব নিয়মিত তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলে । এখনও রাজ্যে বিভিন্ন বামপন্থী কর্মসূচি গ্রহণ করা হয় তাঁর পরামর্শ মেনেই ।

বাড়িতে থেকে এখনও নিয়মিত পড়াশোনা করেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী । পড়াশোনার ক্ষেত্রে চোখের সমস্যা থাকলেও, বাড়িতে সর্বক্ষণের কর্মী রয়েছেন । যিনি তাঁকে বিভিন্ন সংবাদপত্র ও বই পড়ে শোনান । বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে সম্পূর্ণ ওয়াকিবহল তিনি । পরিস্থিতি নির্ধারণ করবে আগামী নির্বাচনগুলিতে বুদ্ধদেববাবুর পরামর্শ কীভাবে বামেদের কাজে লাগে । পার্টির নেতৃত্ব তাঁকে সামনে আনতে চাইবে । এবারও বামেদের ব্রিগেডে তাঁকে উপস্থিত থাকতে দেখা গেছিল । সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্য । কিন্তু ধুলো ও রোদের কারণে গাড়ি থেকে নামতে পারেননি তিনি । চিকিৎসকদের নিষেধ ছিল । লাগানো ছিল অক্সিজেনের নল । সাদা পায়জামা পাঞ্জাবি পরেই তিনি গেছিলেন ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে । সঙ্গে ছিলেন পারিবারিক চিকিৎসক তথা আর এক বাম নেতা ফুয়াদ হালিম । এবার লোকসভা নির্বাচনে তাঁর পরামর্শ অনেকটাই উজ্জীবিত করেছিল দলের নেতা-কর্মীদের । রাজ্যের রাজনীতিতে তাঁর অবদানের কথা অনস্বীকার্য বলে জানিয়েছেন রবীন দেব । তবে, আগামী দিনে তাঁকে কতটা পাশে পাবে দল সেটা ঠিক করবে তাঁর শারীরিক অবস্থা ।

দলে তাঁর অবদানের কথা একবাক্যে স্বীকার করেছেন CPI(M) নেতা সুজন চক্রবর্তী । দেশের সংকট মোকাবিলায় তাঁর পরামর্শ এবং উপস্থিতি খুবই জরুরি এবং প্রয়োজনীয় বলে মনে করেন তিনি ৷ জানান, শ্রমজীবী মানুষ এখনও শুনতে চান তাঁরই বক্তব্য ।

Intro:আগের থেকে অনেকটাই সুস্থ হয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। ঘরের মধ্যেই হাঁটাচলা করছেন তিনি। যদিও অক্সিজেন সিলিন্ডার তাঁর সর্বক্ষণের সঙ্গী। চোখের সমস্যা থাকায় দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হয়ে এলেও, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে সম্পূর্ণ ওয়াকিবহাল তিনি। দক্ষিণ কলকাতার পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতেই থাকেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য।


Body:শীতকালেই আতঙ্কে থাকতে হয় তাঁকে এবং তাঁর পরিবারের স্বজনদের। শুষ্ক হয়ে আসছে চোখ। সেই সঙ্গে রয়েছে সিওপিডির সমস্যা। দুইয়ে মিলে নাজেহাল অবস্থা হয়েছিল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী‌র। দীর্ঘদিন তিনি তরল জাতীয় খাবার খেয়েছেন। মাছ, মাংস বা ওই ধরনের খাবার তিনি খান না। সহজ পাচ্য, ডাক্তারের নির্দেশ অনুযায়ী খাদ্য তালিকা মেনে তাঁর খাবার তৈরি হয়। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক শিষ্য রবিন দেব জানান, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শারীরিক অবস্থা একই রকম রয়েছে। তিনি চিকিৎসায় সাড়া দিয়েছেন। শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। বাড়িতেই থাকেন বেশিরভাগ সময়। চলাফেরা ঘরের মধ্যেই। তবে বেশি চলাফেরা করতে পারেন না। চিকিৎসকদের পরামর্শ নিয়ে হাঁটাচলা করেন। পার্টির নেতৃত্ব নিয়মিত তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেন‌। এখনো প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের পরামর্শ মেনেই পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন বামপন্থী কর্মসূচি গ্রহণ করা হয় বলে জানিয়েছেন রবিন দেব। বাড়িতে থেকে এখনো নিয়মিত পড়াশোনা করেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। পড়াশোনার ক্ষেত্রে চোখের সমস্যা থাকলেও, বাড়িতে সর্বক্ষণের কর্মী রয়েছেন। যিনি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে বিভিন্ন সংবাদপত্র এবং পড়ার বই পড়ে শোনান। বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে সম্পূর্ণ ওয়াকিবহাল আছেন তিনি। পরিস্থিতির ওপরে দাঁড়িয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে আগামী নির্বাচন গুলিতে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের পরামর্শ কিভাবে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে কিভাবে বাস্তবে পরিণত করা যায়। পার্টির নেতৃত্ব তাকে সামনে আনতে চাইবে। কিন্তু প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শারীরিক অবস্থার ওপর নির্ভর করবে কি করা যাবে সেই সময়। চলতি বছরের 3 ফেব্রুয়ারি ব্রিগেড সমাবেশ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী গিয়েছিলেন। শারীরিক অসুস্থতার কারণে মঞ্চে উঠতে পারেননি। বা পার্টির কর্মীদের উদ্দেশ্যে কোন বক্তব্য গাড়িতে বসেও রাখতে পারেননি। কারণ চিকিৎসকদের নিষেধ ছিল। নাকি লাগানো ছিল অক্সিজেনের নল। সাদা পায়জামা পাঞ্জাবি পরে তিনি গিয়েছিলেন ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে। সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্য। আর পারিবারিক চিকিৎসক ফুয়াদ হালিম। চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে শৃঙ্খলা পরায়ন জীবন যাপন করেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। দেশ এবং রাজ্যের রাজনীতিতে তার অবদানের কথা অনস্বীকার্য বলে জানিয়েছেন রবিন দেব। বিগত লোকসভা নির্বাচনে তার পরামর্শ এবং বক্তব্য পার্টির কর্মীদের উৎসাহিত করে ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি। শারীরিক সমস্যার জন্য বাগ্মী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এখন গৃহবন্দী।


Conclusion: দেশের সংকট মোকাবিলায় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের পরামর্শ এবং উপস্থিতি খুবই জরুরী এবং প্রয়োজন বলে মনে করেন পার্টির নেতৃত্ব। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের গুরুত্ব অপরিসীম সিপিআইএম কর্মী সংগঠনের কাছে। শ্রমজীবী মানুষ তার বক্তব্য শুনতে চান বলে জানিয়েছেন পার্টির আরেক নেতৃত্ব সুজন চক্রবর্তী। পার্টির বাম ঐক্য এবং সহযোগী ঐক্যবদ্ধ দলগুলিকে একত্রিত করতে বৃহত্তর অংশ, মঞ্চ গড়ে তোলার কাজ করার জন্য বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য অনস্বিকার্য ভূমিকা পালন করেছিলেন বলে জানিয়েছেন রবীন দেব।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.