কলকাতা, 11 ডিসেম্বর : কৃষকদের একাধিক দাবি নিয়ে এবার সিঙ্গুরে আন্দোলন শুরু করতে চলেছে রাজ্য বিজেপি (bjp to start protest in singur for farmers issue) ৷ আগামী 14, 15 ও 16 ডিসেম্বর সিঙ্গুরে অবস্থান বিক্ষোভে বসছে বিজেপি। বিজেপির কিষাণ মোর্চার উদ্যগে এই বিক্ষোভ হবে। এবিষয়ে শনিবার রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরকে একটি স্মারকলিপিও দিয়ে আসে বিজেপির কৃষক সংগঠনের নেতৃত্ব ৷ উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৷
এদিন শুভেন্দু মুখ্যমন্ত্রীর নাম না করে বলেন, "রাজ্যের কৃষক যোজনা ব্যর্থ। মুখ্যমন্ত্রী ইগো ছাড়ুন। সরকার যদি এই বিষয় নিয়ে ইতিবাচক না হয়, তবে মঙ্গলবার ১৪ তারিখ থেকে আমরা ৭২ ঘন্টার সিঙ্গুরে অনশনে বসছি। হাজার হাজার কৃষকরা অবস্থান করবেন। অবস্থানের পরে কৃষকদের একাধিক দাবিতে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে বিজেপি।" শুভেন্দু অধিকারী এদিন অভিযোগ করে বলেন, "আজ বিজেপির কিষাণ মোর্চার সভাপতির নেতৃত্ব রাজ্যপালের সঙ্গে আমরা দেখা করলাম। কয়েকদিন ধরেই বলা হচ্ছে রাজ্যে কৃষকরা অসুবিধায় আছেন। কিন্তু রাজ্য সরকার এই বিষয়ে উদাসীন। অকাল বর্ষণের কারণে আলু, আমন ধান, শীতকালীন সবজি তোলা যায়নি। এই নিয়ে মুখ্যসচিবের সঙ্গে কথা বলতে চাইলেও তা করা যায়নি ৷ তাই রাজ্যপালকে আমরা সাতটি দাবি জানিয়েছি। এখানে বিদ্যুৎতে ছাড় দেওয়া হয় না। ডিজেলেও কৃষকরা ভর্তুকি পান না। এখানও অবধি তিনজন কৃষক আত্মহত্যা করেছেন। বিডিও অবধি তাঁদের বাড়ি যাননি। আমরা তাঁদের পাশে আছি। কৃষকদের অবিলম্বে ক্ষতিপূরণ দিক সরকার। সারের কালোবাজারি বন্ধ হোক।"
আরও পড়ুন : মহুয়াকে প্রকাশ্যে ধমক, মমতার সমালোচনায় সরব শুভেন্দু
জমি আন্দোলনকে অস্ত্র করেই 2011 সালে রাজ্যে ক্ষমতায় এসেছিল মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস ৷ মমতার সেই রাজনৈতিক উত্তরণে প্রধান ভূমিকা নিয়েছিল সিঙ্গুরের কৃষক ও নন্দীগ্রামের জমি আন্দোলন ৷ সম্প্রতি রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে শোচনীয় ফল হয়েছে বিজেপির ৷ তিন কৃষি আইন নিয়েও বেকায়দায় পরে কৃষক আন্দোলনের চাপে অবশেষে তা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ রাজনৈতিক মহল মনে করছে, এই অবস্থায় রাজ্যে নিজেদের রাজনৈতিক জমি ফিরে পেতে ও অন্নদাতাদের আস্থা অর্জন করতে কৃষক আন্দোলনকেই হাতিয়ার করতে চাইছে গেরুয়া শিবির ৷