কলকাতা, 18 ডিসেম্বর: পরীক্ষা শেষে স্কুলগুলিতেও পড়েছে ছুটি । তাই বাড়িতে আর মন বসে না। পরিবার বা বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে ভীড় জমছে শহরের নানা প্রান্তে । তারমধ্যে সার্কাস থাকবে না তা কখনও হয় ৷ ইতিমধ্যেই সিঁথির মোড়ের সার্কাস ময়দানে এসেছে অজন্তা সার্কাস ৷ তা দেখতেই ভিড় জমাচ্ছেন অনেকে ৷ তবে তাতেও ভরছে না পর্যাপ্ত চেয়ার । যার অন্যতম কারণ সার্কাসে বন্ধ হয়েছে পশু-পাখির খেলা ৷ তাতেই কমেছে দর্শক সংখ্যা ৷ এমনটাই মনে করেছন দর্শক থেকে রিং মাস্টার সকলেই ৷ মোবাইলের দাপটে আজেকর প্রজন্ম আগ্রহ হারিয়েছে সার্কাসের প্রতি ৷
এই ধারণা যে খুব একটা মিথ্যে নয় বোঝা গেল ভাটপাড়া থেকে আসা দর্শক ভাস্বতী চক্রবর্তী কথাতেই ৷ তিনি বলেন, "এখনকার বাচ্চারা ফোনের প্রতি আসক্ত। সেই কারণে হয়তো সার্কাসের এই ভিড় আর দেখা যায় না । তবে আমি আর আমার মেয়ে যেখানেই সার্কাস হয় সেই জায়গায় গিয়ে সার্কাস দেখে আসি । তবে পশু পাখি না থাকায় ভিড় কমেছে সার্কাসের।" তাঁর কথার রেশ টেনেই বাগুইহাটি থেকে সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে সার্কাস দেখতে সঞ্চিতা নাগ বলেন, "আমরা জানি সার্কাস কী ৷ কিন্তু আমার ছেলে মেয়েরা তা জানে না। সেটা বোঝানোর জন্য আজ সার্কাস দেখাতে নিয়ে এসেছি। তবে আমার মনে হয় পশু পাখি বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং মানুষ এখন ব্যস্ত হয়ে গেছে তাই সার্কাসের মতন জায়গায় ভিড় কমছে ।"
দর্শক টানতে পশু পাখির বদলে বেশ কিছু নতুন খেলা নিয়ে হাজির হয়েছে অজন্তা সার্কাস । সার্কাসের ম্যানেজার খন্দকার আবু সালমান বলেন," করোনার পর যখন আবার সার্কাস শুরু হল তখন মানুষজন পুরনো আশা নিয়ে এসেছিলেন ৷ কিন্তু জন্তু-জানোয়ার না থাকার তার একটা প্রভাব পড়ছে । তবে আমরা সরকারের এই নির্দেশকে মান্যতা দিয়েই বিদেশ থেকে বেশ কিছু খেলা নিয়ে এসেছি ।" তবে এর পাশাপাশি সরকারের কাছে অনুরোধ অন্যান্য সমস্ত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে যাতে সার্কাস কেউ একটা জায়গা দেওয়া হয় ৷ সরকারের কোন মাঠে যাতে এই সার্কাস তারা করতে পারেন। তবেই এই ফাঁকা চেয়ার ভর্তি হবে বলেই আশ্বাস "রিং মাস্টার" দের।
আরও পড়ুন: