কলকাতা, 11 মার্চ: রাজ্যে অ্য়াডিনো ভাইরাসের বাড়বাড়ন্ত নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্যের সঙ্গে কথা বললেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury on Adenovirus) ৷ শনিবার একথা নিজেই জানান তিনি ৷ অধীর বলেন, বাংলায় যেভাবে অ্য়াডিনো ভাইরাসের প্রকোপ বাড়ছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক ৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কেন্দ্রের সহযোগিতা একান্ত কাম্য ৷ কিন্তু, কেন্দ্রের তরফে তেমন কোনও উদ্যোগ নজরে পড়েনি ৷ কেন বাংলার প্রতি কেন্দ্রের এই আচরণ, তা জানতেই তিনি মনসুখ মাণ্ডব্যের সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানিয়েছেন অধীর ৷
এদিন অধীররঞ্জন চৌধুরী বলেন, "রাজ্যে অ্যাডিনো সংক্রমণের বাড়াবাড়ি নিয়ে গত পরশু আমি কেন্দ্রীয় স্বাথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি ৷ এই মুহূর্তে বাংলায় অ্যাডিনো ভাইরাস ছাড়াও আরও দু'টি ভাইরাসের প্রকোপ দেখা যাচ্ছে ৷ এ নিয়ে আমি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে প্রশ্ন করি ৷ জানতে চাই, কেন তাঁরা সংক্রমণ রুখতে রাজ্য সরকারকে সাহায্য করছেন না ৷ জবাবে মনসুখ বলেন, রাজ্যের তরফে তাঁদের কাছে কোনও সাহায্য চাওয়া হয়নি ! তবুও তিনি গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখে যথাসম্ভব ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন ৷"
অধীরের অভিযোগ, করোনাকালেও রাজ্য় সরকার আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্য়া সংক্রান্ত তথ্য ধামাচাপা দিয়েছিল ৷ অ্য়াডিনোর ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটছে ৷ তিনি বলেন, "আমি বলছি না, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য রাজ্যে করোনার বাড়বাড়ন্ত হয়েছিল ৷ আমি বলছি না, মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের জন্য অ্যাডিনো বেড়েছে ৷ কিন্তু, এগুলি তো সব ভাইরাস ৷ একে রুখতে গেলে কেন্দ্রের সহযোগিতা দরকার ৷ সেই সহযোগিতা চাইতে হবে ৷ রাজ্য সরকার তথ্য গোপন করছে বলেই নাইসেডের কাছে যাচ্ছে না ৷ তাদের ডাকছে না ৷ আমাদের বুঝতে হবে, নাইসেড বিজেপির কোনও শাখা সংস্থা নয় ৷ এটি একটি কেন্দ্রীয় সংস্থা ৷ কংগ্রেসের আমলে তৈরি হয়েছিল ৷ প্রয়োজনে তাদের সাহায্য নিতে হবে ৷"
আরও পড়ুন: অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হুগলিতে ফের শিশুমৃত্যু
প্রসঙ্গত, অ্যাডিনো আতঙ্কের মধ্যেই রাজ্যে একের পর এক শিশুমৃত্যুর ঘটনা ঘটে চলেছে ৷ তবে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মৃত্যুর কারণ হিসাবে নিউমোনিয়াকে দায়ী করা হয়েছে ৷ বেসরকারি হিসাব বলছে, গত দু'মাসে রাজ্য়ে অন্তত 137টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে ৷ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মরশুমি ইনফ্লুয়েঞ্জায় শিশুদের একটা বড় অংশ আক্রান্ত হচ্ছে ৷ কোনও কোনও সময় তা প্রাণঘাতী হয়ে উঠছে ৷ তবে, আশার কথা হল, গরম যত বাড়বে, ততই এই ধরনের রোগ, ব্যধির বালাই কমবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল ৷