কলকাতা, 20 জুলাই: মণিপুর নিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে বিধানসভায় বাদল অধিবেশনের আগে মুখ খুলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একুশে জুলাইয়ের প্রাক্কালে ধর্মতলায় এসে তার পালটা জবাব দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার মণিপুর নিয়ে নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে সরব হলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথমে ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্র এবং পরে ধর্মতলায় এ নিয়ে মোদি সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছেন তিনি। তিনি বলেন, "মণিপুর নিয়ে অনেক দুঃখ প্রকাশ হয়েছে, এবার মোদি সরকারের উচিত শান্তি প্রতিষ্ঠা করা।"
এদিন মণিপুরের হিংসা থামাতে কেন্দ্র যে চরম ব্যর্থ, তা জানিয়ে সুর চড়িয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, "এটা গতকালের ঘটনা নয়। তিন মাস আগে ঘটেছে। যেভাবে দু'জন মহিলাকে বিবস্ত্র করে রাস্তায় হাঁটানো হয়েছে এই ঘটনা স্বাধীন ভারতে কখনও দেখতে হবে বলে আমরা ভাবতে পারিনি। এটা কেন্দ্রীয় সরকার এবং ওই রাজ্য সরকারের চূড়ান্ত ব্যর্থতা। মণিপুরে যারা ডাবল ইঞ্জিনের সরকারের মডেল দেখায়, এই ডাবল ইঞ্জিন সরকারের চূড়ান্ত ব্যর্থতার নিদর্শন আমরা সেখানে দেখেছি। তারপরেও কেন্দ্রীয় সরকারের টনক নড়েনি।"
21 জুলাইয়ের প্রস্তুতি দেখতে এসে অভিষেক প্রশ্ন তুলে আরও জানান, 4 মে ঘটনার এতদিন পর দোষীরা ধরা পড়েছে ৷ 4, 5 এবং 6 মে প্রধানমন্ত্রী কোথায় ছিলেন, যখন এই ঘটনাটি ঘটছিল। কেন এতদিন কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি ৷ প্রধানমন্ত্রীর মুখে বাংলার প্রসঙ্গ শোনা নিয়ে অভিষেক বলেন, "বাংলায় কখনোই এধরনের ঘটনা ঘটেনি। গত 11 বছরে নেতাই, নন্দীগ্রাম, ধানতলা, বানতলার মতো ঘটনা ঘটেনি। সিপিএমের আমলে সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম হয়েছে। মানুষ পথে নেমেছিল।"
তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের কথায়, "মণিপুরের মানুষ এখন একত্রিত ৷ মণিপুরের মায়েদের, বোনেদের পাশে রয়েছি আমরা। যারা ভাবছেন ধর্মে ধর্মে লড়াই করিয়ে একটা অরাজকতার পরিস্থিতি তৈরি করে নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করবেন, তারা মূর্খের স্বর্গে বাস করছেন।" প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের বিপুল জয়ের পর এখন পাখির চোখ চব্বিশের লোকসভা ভোট। আর তার আগে এটাই শেষ একুশে জুলাই। একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লোকসভা নিয়ে নতুন কী কর্মসূচি ঘোষণা করেন, নতুন কী বার্তা দেন, সেই দিকেই তাকিয়ে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা।
আরও পড়ুন: 'মহিলাদের সম্মান লুটের সওদাগর বিজেপি', মণিপুরে যাওয়ার ইচ্ছেপ্রকাশ মমতার