কলকাতা, 11 অগাস্ট : রাজ্য জয়েন্ট বোর্ডের অ্যালটমেন্টের পর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে রিপোর্টিং করেছিল পড়ুয়ারা ৷ কিন্তু তারপরও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়রিং বিভাগে 197 টি আসন ফাঁকা ছিল ৷ 24 জুলাই থেকে 6 অগাস্ট পর্যন্ত চলে বিশ্ববিদ্যালয়ে রিপোর্টিং করা পড়ুয়াদের ভরতি প্রক্রিয়া ৷ এতেই সামনে আসে আসল অঙ্ক ৷ জানা যায়, 197 নয় ফাঁকা রয়েছে 261 টি আসন ৷
261 টি আসনের মধ্যে 16 টি বিভাগ মিলিয়ে ডোমিসাইল সংরক্ষণের আওতায় ফাঁকা রয়েছে 138 টি আসন৷ অন্যান্য বাকি সব ক্যাটাগরিতে 16 টি বিভাগে 123 টি আসন ফাঁকা রয়েছে । এই ফাঁকা আসনগুলি ভরতি করতে 16, 17 ও 19 অগাস্ট ডিসেন্ট্রালাইজ় কাউন্সেলিং করতে চলেছে বিশ্ববিদ্যালয় ৷
এ বছর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়রিং ফ্যাকাল্টির সব বিভাগ মিলিয়ে মোট আসনসংখ্যা ছিল 1273 টি । রাজ্য জয়েন্ট বোর্ড মোট 1260 জন পড়ুয়াকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যালট করেছিল । প্রসঙ্গত, এ বছর থেকেই রাজ্যের পড়ুয়াদের জন্য 90 শতাংশ সংরক্ষণ চালু হয়েছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়রিংয়ে । তার ফলস্বরূপই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সার্বিকভাবে গত বছরের থেকে পড়ুয়া ভরতির চিত্রটা এ বছর ভালো বলে মনে করা হচ্ছিল প্রথমদিকে । কিন্তু ভরতির সময় বদলে যায় সেই চিত্র ৷
রাজ্য জয়েন্ট বোর্ডের 1260 জন পড়ুয়ার মধ্যে 1231 জন পড়ুয়া 5000 টাকা দিয়ে আসন বুক করেন ৷ তাঁদের মধ্যে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে রিপোর্টিংয়ে আসেন 1076 জন । যার ফলে ফাঁকা ছিল 197 টি আসন ৷ ২৪ জুলাই থেকে ৬ অগাস্ট পর্যন্ত চলে শেষ ধাপের ভর্তি প্রক্রিয়া । তারপরেই দেখা যায় ফাঁকা থাকা আসনের সংখ্যা আরও বেড়ে গেছে ।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহউপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, "ফাঁকা আসনের সংখ্যা গত বছরের তুলনায় এবছর বেড়েছে । গত বছর 255 টি আসন ফাঁকা ছিল ইঞ্জিনিয়রিংয়ে । এবছর 261 টি খালি আসন রয়েছে । এটা কেন হল বলা খুব মুশকিল । অনেকে যাদবপুরে অ্যালটমেন্ট পেয়েও বা অনেকে NIC পোর্টালে রিপোর্টিং করার পরেও NIT বা ছোটোখাটো IIT-তে সুযোগ পেয়ে চলে গেছে । "