ETV Bharat / state

Power Fencing in Forest: লোকালয়ে হাতির প্রবেশ রুখতে জঙ্গল সীমানায় পাওয়ার ফেন্সিং - পাওয়ার ফেন্সিং

হাতির হানা প্রাণহানি ও শষ্যের ক্ষতি প্রায়শই হয়ে থাকে ৷ বিশেষত, ঝাড়গ্রামের জঙ্গল সংলগ্ন এলাকায় ৷ তাই জঙ্গল থেকে শহরে ও গ্রামাঞ্চলে হাতির প্রবেশ ঠেকাতে দু’ভাগে সাড়ে 12 কিলোমিটার বিদ্যুতের তারের জাল বসানো হচ্ছে ৷ কয়েকদিন আগেই পশ্চিমাঞ্চেলর মুখ্য বনপাল পাওয়ার ফেন্সিং বসানোর কথা ঘোষণা করেছিলেন ৷ এবার সেই কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে ৷ এর জন্য আলিপুরদুয়ার থেকে বিশেষজ্ঞ কর্মীদের নিয়ে আসা হয়েছে ৷

Power Fencing in Jhargram Forest ETV BHARAT
Power Fencing in Jhargram Forest
author img

By

Published : Apr 23, 2023, 4:14 PM IST

হাতির প্রবেশ রুখতে জঙ্গল সীমানায় পাওয়ার ফেন্সিং

ঝাড়গ্রাম, 23 এপ্রিল: ঝাড়গ্রাম শহরকে হাতির থেকে সুরক্ষিত করতে পাওয়ার ফেন্সিং অর্থাৎ, বিদ্যুতের তারের জাল বসানো হচ্ছে জঙ্গল সীমানায় ৷ পাশাপাশি, ট্রেঞ্জ কাটা হচ্ছে জঙ্গলে ৷ ঝাড়গ্রাম জেলায় হাতির সংখ্যা গত কয়েক বছরে অনেকটাই বেড়েছে ৷ তাই খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে হাতির প্রবেশ ক্রমশ বাড়ছে ৷ ফলে ফসলের ক্ষতির পাশাপাশি প্রাণহানিও হচ্ছে ৷ কখনও কখনও জঙ্গল ছেড়ে শহরেও প্রবেশ করছে হাতি ৷ তাই হাতির দলকে গ্রাম ও শহরে প্রবেশ থেকে আটকাতে বিদ্যুতের তারের জাল লাগানো হচ্ছে ৷

বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে ঝাড়গ্রাম শহর সংলগ্ন জঙ্গলগুলিতে হাতির দলের আনাগোনা রয়েছে প্রতিনিয়ত ৷ মুখ্য বনপাল (পশ্চিমাঞ্চল) অশোক প্রতাপ সিং জানিয়েছেন, ঝাড়গ্রাম শহরকে সুরক্ষিত করার জন্য 12 কিলোমিটার পাওয়ার ফেন্সিং এবং 4 কিলোমিটার ট্রেঞ্জ কাটা হবে ৷ প্রথম পর্যায়ে শহরাঞ্চলের জঙ্গল সীমানায় কাজ হবে ৷ সেই কাজ শেষ হয়ে গেলে জঙ্গল সংলগ্ন গ্রামগুলিতে এই ফেন্সিং বসানো হবে ৷

মুখ্য বনপালের ঘোষণার কয়েকদিনের মধ্যে ঝাড়গ্রাম রেঞ্জের বাঁদরভুলা বিটের কলাবনির জঙ্গলে পাওয়ার ফেন্সিং বসানোর কাজ শুরু হয়েছে ৷ বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, দুবরাজপুরের কাছে পাওয়ার ফেন্সিং-এর দফতর করা হবে ৷ সেখানেই বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থাপনা থাকবে ৷ ফেন্সিং-এর বৈদ্যুতিক তারগুলিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ হবে ওই দফতর থেকে ৷ দুবরাজপুর, কুটুমগেড়িয়া, উত্তর মুরাকাটি, বালিজুরি, কইমা ফুলবেড়িয়া, ঘোড়াধরা এবং লালবাজার পর্যন্ত জঙ্গলের 12 কিলোমিটার অঞ্চলে পাওয়ার ফেন্সিং থাকবে ৷ এই এলাকায় বিদ্যুতের তার বসানোর জন্য 45 লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে ৷ একই সঙ্গে কন্যাডুবা ও শ্রীরামপুর শহরের জঙ্গল সীমানার 4 কিলোমিটার অঞ্চলে ট্রেঞ্জ কাটা হবে ৷ এই ট্রেঞ্জ কাটার জন্য 25 লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে বন দফতর ৷

পাওয়ার ফেন্সিং বসানোর জন্য আলিপুরদুয়ার থেকে এর বিশেষজ্ঞ কর্মীদের নিয়ে আসা হয়েছে ৷ এর কাজে নিযুক্ত এক কর্মী বলেন, ‘‘আলিপুরদুয়ারে প্রচুর হাতির উপদ্রব রয়েছে । হাতিদের আটকাতে বিভিন্ন জায়গায় এই পাওয়ার ফেন্সিং বসানো কাজ করেছি আমরা ৷ এখন ঝাড়গ্রামের এই জঙ্গলে পাওয়ার ফেন্সিং বসানোর কাজ চলছে ৷ হাতি যখনই এই বেড়াগুলি পেরোনোর চেষ্টা করবে, তখন হাতির শরীরে একটা কারেন্ট শক মারবে ৷ তার ফলে হাতি ভয়ের কারণে আর শহরের দিকে ঢুকবে না ৷’’ এখনও পর্যন্ত জঙ্গলের 4 কিলোমিটার অঞ্চলে এই ফেন্সিংয়ের কাজ শেষ হয়েছে বলে জানান ওই কর্মী ৷

আরও পড়ুন: সারেঙ্গায় হাতির দলের হানা; ভাঙল বাড়ি, আহত এক

তবে, হাতির শরীরে বিদ্যুৎ প্রবাহ হলে তাদের মৃত্যুর আশঙ্কাও তো থাকতে পারে ৷ এমনকী মানুষ ও অন্যান্য পশুপাখিরও ৷ এ নিয়ে বন দফতরের একটি সূত্র জানিয়েছে তেমন কিছু ঘটবে না ৷ মানুষ, ছোটখাট প্রাণি ও পাখি এই ফেসিংয়ে হাত দিলে বা বসলে কোনওরকম বিদ্যুৎ প্রবাহ হবে না ৷ এই তারের জালগুলিতে একটি নির্দিষ্ট ওজনের চাপ পড়লে তবেই বিদ্যুতের শক লাগবে ৷ সেক্ষেত্রে হাতির শরীরের ওজন অনেক বেশি ৷ হাতি ওই ফেসিং ভাঙার চেষ্টা করলে একটা তীব্র ঝটকা লাগবে ৷ তাতে হাতির মৃত্যুর কোনও আশঙ্কা নেই ৷ প্রাথমিক ওই ঝটকায় হাতি ভয় পেয়ে ফেন্সিংয়ের ধারে কাছে যাবে না ৷

ঝাড়গ্রামের এডিএফও পার্থ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মাঝেমধ্যেই দলছুট দাঁতাল হাতি ঢুকে পড়ে ঝাড়গ্রাম শহরে ৷ গত বছর ঝাড়গ্রাম শহরে হাতির হানায় মৃত্যু হয়েছিল তিনজনের ৷ তাই শহরকে সুরক্ষিত রাখার জন্য, যে পথ দিয়ে হাতির শহরের প্রবেশের রাস্তাগুলিকে বন্ধ করতে পাওয়ার ফেন্সিংয়ের কাজ চলছে ৷ দু’টি ভাগে মোট সাড়ে 12 কিলোমিটার পাওয়ার ফেন্সিং হবে ৷ পরবর্তী ক্ষেত্রে যে সমস্ত গ্রামগুলিতে হাতি ঢোকার প্রবণতা বেশি রয়েছে ৷ সেই গ্রামগুলিকে পাওয়ার ফেন্সিং-এর আওতায় নিয়ে আসা হবে ৷’’

হাতির প্রবেশ রুখতে জঙ্গল সীমানায় পাওয়ার ফেন্সিং

ঝাড়গ্রাম, 23 এপ্রিল: ঝাড়গ্রাম শহরকে হাতির থেকে সুরক্ষিত করতে পাওয়ার ফেন্সিং অর্থাৎ, বিদ্যুতের তারের জাল বসানো হচ্ছে জঙ্গল সীমানায় ৷ পাশাপাশি, ট্রেঞ্জ কাটা হচ্ছে জঙ্গলে ৷ ঝাড়গ্রাম জেলায় হাতির সংখ্যা গত কয়েক বছরে অনেকটাই বেড়েছে ৷ তাই খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে হাতির প্রবেশ ক্রমশ বাড়ছে ৷ ফলে ফসলের ক্ষতির পাশাপাশি প্রাণহানিও হচ্ছে ৷ কখনও কখনও জঙ্গল ছেড়ে শহরেও প্রবেশ করছে হাতি ৷ তাই হাতির দলকে গ্রাম ও শহরে প্রবেশ থেকে আটকাতে বিদ্যুতের তারের জাল লাগানো হচ্ছে ৷

বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে ঝাড়গ্রাম শহর সংলগ্ন জঙ্গলগুলিতে হাতির দলের আনাগোনা রয়েছে প্রতিনিয়ত ৷ মুখ্য বনপাল (পশ্চিমাঞ্চল) অশোক প্রতাপ সিং জানিয়েছেন, ঝাড়গ্রাম শহরকে সুরক্ষিত করার জন্য 12 কিলোমিটার পাওয়ার ফেন্সিং এবং 4 কিলোমিটার ট্রেঞ্জ কাটা হবে ৷ প্রথম পর্যায়ে শহরাঞ্চলের জঙ্গল সীমানায় কাজ হবে ৷ সেই কাজ শেষ হয়ে গেলে জঙ্গল সংলগ্ন গ্রামগুলিতে এই ফেন্সিং বসানো হবে ৷

মুখ্য বনপালের ঘোষণার কয়েকদিনের মধ্যে ঝাড়গ্রাম রেঞ্জের বাঁদরভুলা বিটের কলাবনির জঙ্গলে পাওয়ার ফেন্সিং বসানোর কাজ শুরু হয়েছে ৷ বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, দুবরাজপুরের কাছে পাওয়ার ফেন্সিং-এর দফতর করা হবে ৷ সেখানেই বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থাপনা থাকবে ৷ ফেন্সিং-এর বৈদ্যুতিক তারগুলিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ হবে ওই দফতর থেকে ৷ দুবরাজপুর, কুটুমগেড়িয়া, উত্তর মুরাকাটি, বালিজুরি, কইমা ফুলবেড়িয়া, ঘোড়াধরা এবং লালবাজার পর্যন্ত জঙ্গলের 12 কিলোমিটার অঞ্চলে পাওয়ার ফেন্সিং থাকবে ৷ এই এলাকায় বিদ্যুতের তার বসানোর জন্য 45 লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে ৷ একই সঙ্গে কন্যাডুবা ও শ্রীরামপুর শহরের জঙ্গল সীমানার 4 কিলোমিটার অঞ্চলে ট্রেঞ্জ কাটা হবে ৷ এই ট্রেঞ্জ কাটার জন্য 25 লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে বন দফতর ৷

পাওয়ার ফেন্সিং বসানোর জন্য আলিপুরদুয়ার থেকে এর বিশেষজ্ঞ কর্মীদের নিয়ে আসা হয়েছে ৷ এর কাজে নিযুক্ত এক কর্মী বলেন, ‘‘আলিপুরদুয়ারে প্রচুর হাতির উপদ্রব রয়েছে । হাতিদের আটকাতে বিভিন্ন জায়গায় এই পাওয়ার ফেন্সিং বসানো কাজ করেছি আমরা ৷ এখন ঝাড়গ্রামের এই জঙ্গলে পাওয়ার ফেন্সিং বসানোর কাজ চলছে ৷ হাতি যখনই এই বেড়াগুলি পেরোনোর চেষ্টা করবে, তখন হাতির শরীরে একটা কারেন্ট শক মারবে ৷ তার ফলে হাতি ভয়ের কারণে আর শহরের দিকে ঢুকবে না ৷’’ এখনও পর্যন্ত জঙ্গলের 4 কিলোমিটার অঞ্চলে এই ফেন্সিংয়ের কাজ শেষ হয়েছে বলে জানান ওই কর্মী ৷

আরও পড়ুন: সারেঙ্গায় হাতির দলের হানা; ভাঙল বাড়ি, আহত এক

তবে, হাতির শরীরে বিদ্যুৎ প্রবাহ হলে তাদের মৃত্যুর আশঙ্কাও তো থাকতে পারে ৷ এমনকী মানুষ ও অন্যান্য পশুপাখিরও ৷ এ নিয়ে বন দফতরের একটি সূত্র জানিয়েছে তেমন কিছু ঘটবে না ৷ মানুষ, ছোটখাট প্রাণি ও পাখি এই ফেসিংয়ে হাত দিলে বা বসলে কোনওরকম বিদ্যুৎ প্রবাহ হবে না ৷ এই তারের জালগুলিতে একটি নির্দিষ্ট ওজনের চাপ পড়লে তবেই বিদ্যুতের শক লাগবে ৷ সেক্ষেত্রে হাতির শরীরের ওজন অনেক বেশি ৷ হাতি ওই ফেসিং ভাঙার চেষ্টা করলে একটা তীব্র ঝটকা লাগবে ৷ তাতে হাতির মৃত্যুর কোনও আশঙ্কা নেই ৷ প্রাথমিক ওই ঝটকায় হাতি ভয় পেয়ে ফেন্সিংয়ের ধারে কাছে যাবে না ৷

ঝাড়গ্রামের এডিএফও পার্থ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মাঝেমধ্যেই দলছুট দাঁতাল হাতি ঢুকে পড়ে ঝাড়গ্রাম শহরে ৷ গত বছর ঝাড়গ্রাম শহরে হাতির হানায় মৃত্যু হয়েছিল তিনজনের ৷ তাই শহরকে সুরক্ষিত রাখার জন্য, যে পথ দিয়ে হাতির শহরের প্রবেশের রাস্তাগুলিকে বন্ধ করতে পাওয়ার ফেন্সিংয়ের কাজ চলছে ৷ দু’টি ভাগে মোট সাড়ে 12 কিলোমিটার পাওয়ার ফেন্সিং হবে ৷ পরবর্তী ক্ষেত্রে যে সমস্ত গ্রামগুলিতে হাতি ঢোকার প্রবণতা বেশি রয়েছে ৷ সেই গ্রামগুলিকে পাওয়ার ফেন্সিং-এর আওতায় নিয়ে আসা হবে ৷’’

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.