জলপাইগুড়ি, 28 জুন : বানভাসিদের উদ্ধার করে ফের একবার প্রশংসা কুড়োলেন পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায় ৷ কোভিডের সময়েও জীবনের ঝুকি নিয়ে কাজ করে শহরবাসীর প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন। এবার শহরে জলমগ্ন হয়ে যাবার পর করলা নদীর জলে বানভাসিদের স্পিডবোটে উদ্ধার করে আনতে উদ্ধারকারী দলের সঙ্গে নিজেই গেলেন সৈকতবাবু (Vice chairman of Jalpaiguri Municipality Rescued Flood Affected Person)।
গর্ভবতী মহিলা থেকে শুরু করে বৃদ্ধা, শিশুদের উদ্ধার করলেন সৈকতবাবু। সঙ্গে ছিলেন জলপাইগুড়ি পৌরসভার 25 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পৌষালী দাস, 3 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর স্বরূপ মণ্ডল।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই করলা নদীর জল বাড়তে থাকায় শহরের পরেশ মিত্র কলোনী ও নীচু মাঠে জল জমতে শুরু করে। গৃহবন্দি হয়ে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের উদ্ধার করার জন্য খবর পৌঁছয় সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের কাছে। এরপর তিনি 25 নম্বর ওয়ার্ডে পৌঁছে বানভাসিদের সঙ্গে কথা বলেন। স্পীডবোটে করেই সিভিল ডিফেন্স কর্মীদের সঙ্গে বানভাসি এলাকায় যান সৈকতবাবু ৷ সবাইকে আশ্বস্ত করে তাঁদের একে একে উদ্ধার করেন।
আরও পড়ুন : ফের পাহাড়ে ধস ! বন্ধ জাতীয় সড়ক, আটকে গেলেন ভোটকর্মীরাও
সকাল থেকে না খেতে পেরে বিপাকে ছিলেন তাঁরা। সৈকত চট্টোপাধ্যায় জানান, ভোটের সময় সাধারণ মানুষের কাছে গিয়ে ভিক্ষা করেছিলেন। জনগণ আশির্বাদ করেছিলেন। তাই তাঁদের সুখ দুঃখের সব দায়িত্ব আমার। যখন তাঁরা সমস্যার পড়েছেন তখন তো আমাকে জেতেই হবে। ঝুঁকি ছিল কিন্তু আমাকে তাঁদের কাছে পৌঁছনোটা জরুরি ছিল। তাঁরা আপ্রাণ বাঁচার চেষ্টা করছিলেন। মোট 29 জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এলাকায় শুকনো খাবার থেকে শুরু করে সব ধরনের সাহায্য করা হচ্ছে।