জলপাইগুড়ি, 14 জুন: বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি জলপাইগুড়িতে পঞ্চায়েত নির্বাচনে এখনও তৃণমূলের তরফে প্রার্থীদের তালিকা ঘোষণা করা হয়নি ৷ তবে হাতে তালিকা না পেলেও আর অপেক্ষা নয় ৷ মনোনয়ন জমা দেওয়ার জন্য রয়েছে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সময় ৷ তাই তার আগে আর সময় নষ্ট না করে বুধবার মনোনয়ন জমা করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীরা । এদিন সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে শাসকদলের প্রার্থীদের একটি তালিকা ৷ সেই তালিকা ধরেই জলপাইগুড়িতে দলবল নিয়ে মনোনয়ন জমা দিলেন প্রার্থীরা । দল পরে বাতিল করলেও করতে পারে প্রার্থীদের মনোনয়ন ৷ সে কথা মাথায় রেখেই এ দিন মনোনয়ন পেশ করলেন তৃণমূল নেতারা ৷
জলপাইগুড়ির প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা কৃষ্ণ দাস জলপাইগুড়ি বিডিও অফিসে তাঁর অনুগামীদের নিয়ে মনোনয়ন জমা করতে আসেন । তাঁর দাবি, দলের তরফে যে তালিকা দেওয়া হয়েছে তা ধরেই তাঁরা মনোনয়ন দিতে এসেছেন । এদিন ইন্দিরা কলোনি থেকে বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকরা মিছিল করে জলপাইগুড়ি সদর বিডিও অফিসে মনোনয়ন জমা করেন ৷ তারা সকাল থেকে প্রার্থী তালিকা প্রকাশের জন্য অপেক্ষা করে ৷ কিন্তু সেই তালিকা না পেয়ে আগের প্রস্তাব মত তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা একে একে মনোনয়ন জমা দেন ।
আরও পড়ুন: তালিকা ঘোষণা হয়নি, মহুয়া গোপের বাড়ির সামনে প্রার্থী নিয়ে বিক্ষোভ তৃণমূলের কর্মীদের
পাতাকাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, প্রধান হেমব্রম বলেন, আমরা অনেক অপেক্ষা করেছি ৷ তালিকা এখনো হাতে পাইনি । আর ঝুঁকি নিতে পারছি না । সবাই তো ভোটে দাঁড়াতে চায় । সিদ্ধান্ত দেরি করা ঠিক না । দল কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না । দিনটা শেষ হয়ে যাচ্ছে । দল যদি মনে করে আমাদের বাতিল করে দিতে পারে । আমরা ছয়টি অঞ্চলের প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিয়েছি ৷ এ দিকে সদর 1-এর যুব সভাপতি মেহবুব আলম নিজেই মনোনয়ন জমা করে দিয়েছেন । তিনি বলেন, "পঞ্চয়েত সমিতির প্রার্থী তালিকা এখনও পাইনি ৷ শুধু খারিজা বেরুবাড়িতে সবকটি প্রার্থী পেয়েছি । পুরো তালিকা আমি হাতে পাইনি । আমরা আজ মনোনয়ন জমা করছি । পঞ্চায়েতেও প্রার্থী তালিকা নিয়ে ঘাটতি হয়েছে । আমরা অনেক আসন পাইনি ।" প্রার্থী তালিকা প্রকাশ না হওয়ায় মনোনয়নে সমস্যা একটা হচ্ছেই বলে জানান তিনি ।
আরও পড়ুন: নেই তৃণমূল, 'উৎসবের মেজাজে' মনোনয়ন জমা চলেছে বিরোধীদের
কৃষ্ণ দাস জানান, শুধু দলের মধ্যেই বিষয়টা থাকবে বলে এবার সেইভাবে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হয়নি । তাঁরা শৃঙ্খলবদ্বভাবে ছয়টি অঞ্চলের দলীয় প্রার্থীদের নিয়ে বিডিও অফিসে এসেছেন মনোনয়ন জমা করতে । সবাই একসঙ্গে এসেছেন কিন্তু কোন 144 ধারা ভাঙেননি বলে দাবি করেন এই তৃণমূল নেতা ।