জলপাইগুড়ি, 18 নভেম্বর: ফের স্ক্রাব টাইফাসে আক্রান্তের খবরে চাঞ্চল্য ছড়াল জলপাইগুড়িতে । মাকড়সার কামড় থেকেই এই রোগ ছড়াচ্ছে বলে দাবি চিকিৎসকদের । তাই ফুলের চাষিদের সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিলেন জলপাইগুড়ির স্বনামধন্য চিকিৎসক সুমন্ত্র মুখোপাধ্যায় । বিশেষ করে এই সময়ে ফুল ও চা গাছে স্ক্রাব টাইফাসের সংক্রমণকারী মশা বাঁসা বাঁধে । সেই সকল ফুল ও চায়ের গাছে বাসা বাঁধে মাকড়সাও । এই সময়ে যারা ফুল গাছ ভালোবাসেন এবং ফুল গাছের পরিচর্চা করেন তাদের সচেতন হওয়ার কথা বলা হয়েছে ৷
ইতিমধ্যে জলপাইগুড়ি শহরে স্ক্রাব টাইফাসে আক্রান্ত হয়েছেন বিবেকানন্দ পাড়ার একজন বাসিন্দা । জলপাইগুড়ি জেলা স্বাস্থ্য দফতর সুত্রে জানা গিয়েছে, জানুয়ারি মাস থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত জলপাইগুড়ি জেলায় 127 জন স্ক্রাব টাইফাস রোগে আক্রান্ত হয়েছেন । সঠিক সময়ে চিকিৎসা করালে এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব । সূত্রের খবর, চলতি মাসেই জলপাইগুড়িতে নতুন করে দু'জন এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন । আক্রান্ত দু'জনের মধ্যে একজন জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ও একজন জলপাইগুড়ির এক বেসরকারি নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ।
চিকিৎসক সুমন্ত্র মুখোপাধ্যায় বলেন, "এই সময় এই রোগের আক্রান্তের সম্ভাবনা বেড়ে যায় । কারণ এই সময়ে চা বাগানে ও ফুলের গাছে মাকড়সার আক্রমণ হয় । ফলে যারা ফুলের গাছ পরিচর্যা করেন তাঁদের বলব সাবধানে কাজ করতে । কোনওভাবেই যেন মাকড়সা কামড় না বসাতে পারে । গত তিন চার মাসে কয়েকজন স্ক্রাব টাইফাসের রোগী পেয়েছি । বর্ষার পর শীতের আগমন মুহুর্ত পর্যন্ত তিনজন রোগীকে পেয়েছি । স্ক্রাব টাইফাস আছে । জ্বর কোনওভাবেই না কমলে ফিভার প্রোটোকলে যে সমস্ত পরীক্ষা নিরীক্ষা করা উচিৎ ৷ তা করে দেখতে হবে জ্বরের কারন কী । সতর্ক থাকতে হবে । শীতের সময়ে ফুল ও চা চাষের ক্ষেত্রে আরও বেশি সতর্ক থাকতে হবে ।"
জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক চিকিৎসক অসীম হালদার জানান, জেলায় এখন পর্যন্ত 127 জন এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে । কারও জ্বর হলে হাসপাতালে এসে ডাক্তার দেখানোর পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে ৷ এতে আতঙ্কের কিছু নেই ।
আরও পড়ুন: